সংগীতে পিএইচডি করতে চাই আসিফ
বুকের জমানো ব্যথা কান্নার নোনা জলে ঢেউ ভাঙ্গে চোখের নদীতে অন্যের হাত ধরে… জনপ্রিয় গানটি শুনলে অনেকের চোখের সামনে চলে আসে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের কথা। কিন্তু সাতক্ষীরারসহ পার্শবর্তী জেলা এবং ভারতের বিভিন্ন গানের মঞ্চে নজরুল সংগীত ও আধুনিক বাংলা গান গেয়ে মঞ্চ মাতাচ্ছেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান আসিফ নেওয়াজ। ইতোমধ্যে সে ব্যাপক সুনাম করেছে। সংগীত শিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই এলাকার মানুষের কাছে। আসিফের সুুমধুর কণ্ঠের সংগীত ভারতীয় কয়েকটি টিভি চ্যানেলে পরিবেশিত হয়েছে।
আসিফ নেওয়াজ সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার কৃষক মো. আকবর আলী ও গৃহিনী সালমা বেগমের সন্তান। ২০১০ সালে পলাশপোল স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১২ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। বর্তমানে সে বিখ্যাত ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ।
১৬ ডিসেম্বর মোজাফ্ফর গার্ডেনে নুর মনুবেন্ড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ডাক্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠানে এই বাংলার মাটিতে (মাগো) জন্ম আমায় দিও। এই আকাশ, নদী, পাহাড় আমার বড় প্রিয়। কোথায় বলো এতো স্বপন হাওয়াতে ভাসে……..দেশত্বগান এবং নজরুল সঙ্গীতের……..আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনি আমারি পিয়াসী বাসনায়। আমার মনের তৃষিত আকাশে ফেরে সে চাতক আকুল পিয়াসে কভু সে চকোর সুধাচোর আসে নিশীথে স্বপনে জোছনায়……..এমনিভাবে সুরের মুর্ছনায় ভাসিয়ে নিয়ে যান তিনি। আর এই রকম দশটি গানে মুগ্ধ হয়ে রাজবাড়ীর জেলার বিশিষ্ট কার্ডিওলোজি চিকিৎসক ডা: মোমিনুজ্জামান ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা করেছেন আসিফ নেওয়াজকে।
সংগীত শিল্পী আসিফ নেওয়াজ বলেন, ছোটবেলা থেকে গান আমার খুব টানতো। কিন্তু জন্ম কৃষক পরিবারে। আমার বাবা মা চাইতেন না আমি গান করি। তারা চাইতেন আমি লেখাপড়া করে বড় হয়ে চাকরি করি এবং পরিবারের হাল ধরি। কিন্তু আমার নিচের ইচ্ছায় শহরের ওস্তাদ জাকির হোসেনের কাছে গানের রেওয়াজ নিতে শুরু করি। এরপর সাতক্ষীরার বিভিন্ন মঞ্চে গান গাওয়া শুরু করি। এর পাশাপাশি আমার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে থাকি। ২০১০ সালে পলাশপোল স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ২০১২ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর। সংগীত নিয়ে পড়াশুনার ইচ্ছা পোষন করি। আমার স্বপ্ন পুরনে এগিয়ে আসেন তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তা লুৎফুল্লাহ ও তার সহধর্মিনী সাংস্কৃতিক কর্মী নাসরিন খান লিপি। সংগীতের জন্য বিখ্যাত ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ করে দেন। সেখানে আমি বিখ্যাত গুরুজী জয়দীপ চক্রবর্তীর চত্ববধানে গানের রেওয়া করে থাকি। গানের বুলবুল খ্যাত নজরুল সংগীত নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে দেশের জন্য জন্য করতে পারে সে জন্য সকলের আর্শিবাদ কামনা করেছেন আসিফ নেওয়াজ।
সাংস্কৃতিক কর্মী নাসরিন খান লিপি বলেন, আসিফ যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ে তখন ওদের স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে আমি গানের বিচারক ছিলাম। ওর গান শুনে আমি মুগ্ধ হয়। পরবর্তীতে গানের প্রতি ভালোবাসা দেখে এবং ওর (আসিফের) গানের গলা দেখে আমি বলি সে যেন থেমে না থাকে। আমাদের গণ শিল্পী সংস্থায় ওকে সদস্য করে নেয়। ২০১৩ সালের গণ জাগরণ মঞ্চে সে নিয়মিত গান গেয়ে মাতিয়ে রাখতেন। এর পর থেকে আসিফ আমার বাড়ির ছেলের মতো হয়ে গেছে। ওর বাবা চাইতেন না ও গানে ক্যারিয়ার গড়–ক। সে বড় হয়ে চাকরি করবে এটাই তাদের আশা ছিলো। আমি ওর বাবাকে বলি সে সঙ্গীতে ভালো করবে। আর আসিফের ইচ্ছা ছিলো সে সংগীতে পড়াশুনা করবে। ভারতের ওস্তাদ ডা. নারগীসের সাথে যোগাযোগ করি সে আসিফকে রবিন্দ্র ভারতীতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে সাহায্য করে। সে ভর্তি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে সেখানে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করছে। সে সংগীতে খুব ভালো করছে। তার পড়াশুনার জন্য জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ ও ডা: মনিরুজ্জামান তাকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে থাকেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
এবার অভিনয়ে পরিচালক শিমুল সরকার
নজরুল ইসলাম তোফা:: পরিচালক শিমুল সরকার। সময়ের তরুণ জনপ্রিয় একজনবিস্তারিত পড়ুন
সালমানকে উৎসর্গ করে গাইলেন টুটুল
জনপ্রিয় রেডিও উপস্থাপক জহিরুল ইসলাম টুটুল শ্রোতা মহলে আরজে টুটুলবিস্তারিত পড়ুন
সন্তানকে নিয়ে নিউইয়র্কের পথে পথে তাহসান-মিথিলা
সন্তানকে নিয়ে নিউ ইয়র্কের পথে পথে তাহসান-মিথিলা। বিচ্ছেদ হলেও তাহসান-মিথিলাবিস্তারিত পড়ুন