বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

খুলনা জুড়ে দানবাক্স, টাকা যায় কোথায়?

খুলনা মহানগরীর রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি, হোটেল, চায়ের দোকান, বাস স্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, আদালত প্রাঙ্গন, হাসপাতালে ঝুলছে বিভিন্ন দানবাক্স। চলার পথে নিরাপদে থাকতে অলি-কামেলদের অদৃশ্য সহায়তা পেতে চায় মানুষ।
আবার কোর্ট এলাকায় মানুষ মনে করে- এসব বাক্সে দান করলে মামলার রায় নিজের পক্ষে পেতে সহজ হবে। আর এ কারণেই এসব স্থানকেই বেছে নেয় অর্থ উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট।

প্লেন সিটের তৈরি লাল রঙের গোলাকার দানবাক্স। সাদা কালিতে লেখা মির্জাগঞ্জ মরহুম ইয়ার উদ্দিন খলিফা(র.)মাজারের দান বাক্স। পীরের প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে তারা এসব করছেন। ইসলাম ধর্ম কখনো মাজার সংস্কৃতিকে অনুমোদন করে না, তারপরও ধর্মকে পুঁজি করে আর সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করছে।

সাধারণ মানুষ পুণ্যের আশায় বক্সে অর্থ ভরছেন প্রতিদিন। কেউ জানতে পারছেন না, তালাবদ্ধ এসব বাক্সের টাকা কারা নেয়, এসব বাক্সের টাকা দিয়ে কি করা হয়। অনেকে জানবার চেষ্টা করেও বিফল হচ্ছেন। যেসব স্থানে এসব বাক্স লাগানো হয়েছে তারাও কোন তথ্য জানাতে পারছে না।

বিষয়টির গভীর যাবার চেষ্টা করা হলো।
কথা হয় চা বিক্রেতা এক মধ্য বয়সী চাচার সঙ্গে। জানতে চাওয়া হলো- চাচা, আপনার দোকানে এই যে দানবাক্স এই টাকাগুলো কে বা কারা নেন?
তিনি জবাব দিলেন- আমি চিনি না বাবা। তবে তিনমাস পরপর এসে খুলে নিয়ে যায়।

একটু ভাবুন দেশের সবজায়গাতেই এই বাবার দানবাক্স আছে, তাহলে তিন মাসে দানের হিসেব মোটা অংকে দারিয়ে যায়। এর মধে্ই চোখে পরে এক যুবকের দানকরার দৃশ্য।

জানতে চাওয়া হলো- ভাই, কি কারনে দান করলেন? মসজিদের দানবাক্সে বা ফকিরকে দিতে পারতেন।
তিনি জবাব দিলেন- ভাই, আমি পীরের একজন ভক্ত। পীর মরহুম ইয়ার উদ্দিন খলিফা (র.) বাবা পারেন না এমন কোন কাজ নেই।

বাক্সর বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের মহাসচিব মাওলানা গোলাম কিবরিয়া বলেন- নিজের সওয়াবের জন্য মাজার জিয়ারত করলেও দান বাক্সে কোন অবস্থাতেই টাকা পয়সা লেনদেন করা যাবে না। মাজার নিয়ে এ ধরনের টাকা আদায় সম্পূর্ণ হারাম।

দেশের ধমীয় জ্ঞানে অজ্ঞ লোকগুলোই এই ব্যবসার পুজি। যদি কোনো আলেম, অথবা বড় কোনো ধার্মিক ব্যক্তি মারা যায় তাহলে তার মৃত্যুর পরে তার কবর হয়ে যায় মাজার শরীফ। কিছু মানুষ মনে প্রাণে এ বিশ্বাস করে যে কবরে শায়িত আল্লাহর প্রিয় ও মৃত সৎব্যক্তি পৃথিবীর সকল আবেদন নিবেদন শুনতে পায়। সকল প্রকার প্রয়োজন মিটাতে পারে। সকল বিপদ আপদ দূর করতে পারে। তাই জীবনের সমস্যার সমাধানের জন্য মাজারে দান খয়রাত করে থাকে।

‌‌’ধর্মান্ধতা আর অজ্ঞতা’ আমাদের মতো সাধারণ ধর্মভিরু মানুষদের পিষে চলেছে প্রতি পদে পদে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাগেরহাট জেলা

গত ১৩ তারিখ অনুষ্ঠিত ‘গ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতেবিস্তারিত পড়ুন

এমটিসি গ্লোবাল একাডেমিক লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন এনইউবিটি খুলনার উপাচার্য

নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা-এর উপাচার্য প্রফেসর ড.বিস্তারিত পড়ুন

  • এনইউবিটি খুলনাতে ফল সেমিস্টার ২০১৯- এর এ্যাডমিশন ফেয়ার
  • পরিশ্রম আর ইচ্ছাশক্তিতে গ্যারেজে কাজে করে পড়ালেখা কলারোয়ার মোশাররফের
  • ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে ছাত্র গ্রেফতার
  • সুন্দরবন অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে পরামর্শ সভা
  • ভারতে জেল খাটার পর ৪ বাংলাদেশি যুবককে বেনাপোলে হস্তান্তর
  • খুলনা এনইউবিটি’র উদ্যোগে ‘বেস্ট ট্যালেন্ট খুলনার মেধা যাচাই’ প্রতিযোগিতা
  • কলারোয়ার এক কলেজ ছাত্র নিখোঁজ ॥ থানায় জিডি
  • মঠবাড়িয়ায় মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজ
  • সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরার ৮টি গ্রামে ঈদুল আযহা পালিত
  • এনইউবিটি খুলনাতে জাতীয় শোক দিবস পালন
  • গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কলারোয়ায় জীবন বীমা অফিসে দুদকের ঝটিকা অভিযান
  • খুলনায় উপকূলীয় পানি সম্মেলন অনুষ্ঠিত