শুক্রবার, নভেম্বর ২৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

কলারোয়ায় আ.লীগের দু’গ্রুপে ধাওয়া-সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫, ফাঁকা গুলি বর্ষণ (ভিডিও)

কলারোয়ায় আ.লীগের দু’গ্রুপের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন পুলিশসহ ১৫জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এমনকি থানা চত্বরেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপটি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ায় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার অনুষ্ঠানে চেয়ার ছুড়ে দেয়া ও পটকা বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে এ ধাওয়া ও সংঘর্ষের শুরু ঘটে।

শনিবার দুপুর ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে উপজেলা মোড় ও থানার সামনে কয়েক দফায় ধাওয়া-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। দলটির দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের রেশ সংঘর্ষে রূপ নিলো।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- শনিবার ওই সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করায় সরকারি ভাবে সারা দেশের ন্যায় কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছিলো। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের নেতৃত্বে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনীতিক ও সুধিজনদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা রেব হয়। শোভাযাত্রাটি কলারোয়া বাজারের সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শুরুর স্থানে ফিরে আসার আগেই উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর নেতৃত্বে অপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা মোড় পেরিয়ে পৌরসভা ভবনের পাশ দিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে। এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের ওই শোভাযাত্রাটিও সেখানে পৌছে যায়।
এসময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশস্থলের মঞ্চে প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিচে দাড়িয়ে ছিলেন আমিনুল ইসলাম লাল্টুর নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী। পটকাবাজি ফুটিয়ে উৎফুল্ল নেতাকর্মীদের আনন্দ উল্লাস আর বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে স্লোগানে মুখোরিত হয়ে গোটা স্থানটি। তখন হঠাৎ মঞ্চের সামনে বসে থাকা আ.লীগের অপর গ্রুপের এক নেতা প্লাস্টিকের চেয়ার ছুড়ে মারে। শুরু হয় হট্টোগোল, হাতাহাতি, গালিগালাজ। এসময় ইউএনও ও ওসির অনুরোধে লাল্টু গ্রুপের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে চলে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিসের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে উপজেলা মোড়ে কলারোয়া প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন প্রশাসনের অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভবে শেষে করতে উদ্যত হন। তখন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ভাই মোশারফ ও ভাইপো রানাসহ ৫/৬জন উপজেলা পরিষদ গেট পেরিয়ে প্রধান সড়কে এসে আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক লাল্টুর নামে কটুক্তি করে প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত লাল্টুর সমাবেশের দিকে ধাওয়া করে। এসময় ওই সমাবেশ থেকে লাল্টু গ্রুপের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের উপর চড়াও হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেয়া সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। শুরু হয় পাল্টা-পাল্টি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। ভাংচুর করা হয় মোটরসাইকেল ও রাস্তারধারে সরকারি জায়গায় (প্রেসক্লাবের স্থান) দখলকৃত সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের টিনশেড। টানটান উত্তেজনায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন এবং ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেনসহ তাদের কর্মীসমর্থকরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে লাল্টুর নেতৃত্বে তার গ্রুপের নেতাকর্মীরা কাছারী অফিস সংলগ্ন দলীয় অফিসে ফিরে যায়। বেলা ১টার দিকে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার উপস্থিত হয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে এসে থানায় বৈঠকে বসেন। এসময় এডিশনাল এসপির আসার খবরে আমিনুল ইসলাম লাল্টুও তার গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিয়ে থানায় আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান- সেসময় উপজেলা আ.লীগের দু’গ্রুপের কয়েকজন নেতারা থানা ভবনের ভিতরে যান। বাইরে থানা চত্বরে অবস্থান নেন উভয় গ্রুপের বিপুল সংখ্যক কর্মীসমর্থক। দীর্ঘক্ষণ এডিশনাল এসপির সাথে বৈঠকের পর ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন থানা ভবন থেকে বাইরে আসলে থানা চত্বরের মধ্যেই আবারো হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সসময় পুলিশের সামনেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে শীর্ষনেতৃবৃন্দসহ দু’গ্রুপের কর্মীরা। পুলিশসহ আহত হয় উভয় গ্রুপের ১৫জন নেতাকর্মী। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে মৃদু লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে থানা চত্বর থেকে উপস্থিত কর্মীদের বাইরে বের করে দেন। থানার গেটের বাইরের রাস্তায় এসেও ফের হাতাহাতিতে জড়ায় দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা। পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে দু’গ্রুপের বিক্ষুব্ধরা।

এ ঘটনার পর দিনভর ও রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলারোয়া উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিলো বিভিন্ন স্পটে।

ঘটনা সম্পর্কে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন সাংবাদিকদের জানান- ‘এটা সরকারি গ্রোগ্রাম। ইউএনও’র দাওয়াতে উপজেলার সকল নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীর স্বত:স্পূর্তভাবে অংশগ্রহনে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সমাবেশ চলছিল। এ সময় লাল্টুর নেতৃত্বে মিছিল এসে উপজেলা চত্ত্বরের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার বাজি ফুটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে, তাদেরকে বিদায় করে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে ইউএনও অফিসে বসে নাস্তা খাচ্ছিলাম। তখনই লাল্টুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী পরিষদের মধ্যে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আমার অফিসসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ সময় আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। বিশেষ করে ছোট ভাইয়ের মন্টুর অবস্থা আশংকাজনক।’

উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু সাংবাদিকদের জানান- ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের চিটি মারফত দাওয়াত পেয়ে তিনিসহ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা একটি আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে সভাস্থলে গেলে স্বপন ভাইয়ের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার লোকজনের উপর চেয়ার নিক্ষেপ করে। এ সময় সংঘাত এড়াতে তিনিসহ তার লোকজন সভাস্থল ত্যাগ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্মমাল্য অর্পন শেষে কলারোয়া প্রেসক্লাবের সামনে এক পথসভা করেন। ওই সভায় তিনি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখনই স্বপন ভাইয়ের কয়েকজন সন্ত্রাসীরা সভাস্থলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।’

উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুকে দাওয়াতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাংবাদিকদের জানান- ‘আ.লীগের উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এমনকি এ সময় ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করা হয়। দিনভর পুলিশ মোতায়েন ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।’

সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান- ‘পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রেণ আছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

এদিকে, সংঘর্ষের আগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে চলচিত্র প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসন।

ভিডিও দেখতে নিচে ক্লিক করুন: (বিভিন্ন টিভি মিডিয়া থেকে সংগৃহীত)

https://web.facebook.com/JamunaTelevision/videos/1507192252709964/

কলারোয়ায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

একই রকম সংবাদ সমূহ

ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালানো মোদি’র তা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডবিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রদলের কাউন্সিল: ৮ভোটে হেরে গেলেন কেশবপুরের সেই শ্রাবণ

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোটে হেরে গেছেনবিস্তারিত পড়ুন

ছাত্রদলের নতুন সভাপতি খোকন, সম্পাদক শ্যামল

কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল।বিস্তারিত পড়ুন

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ
  • ড. কালাম ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড’ গ্রহণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • শোভন-রাব্বানী বাদ, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে জয় ও লেখক
  • শোভন-রাব্বানীকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
  • তৃণমূল থেকে সংগঠনকে গড়ে তুলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শোভন-রাব্বানির ভাগ্য নির্ধারণ
  • পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • বিএনপি অর্থ-সম্পদ অর্জনে বেশি ব্যস্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
  • বিশ্বের শীর্ষ নারী নেতৃত্বের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • আগুন নিয়ে খেলতে বারণ করলেন শামীম ওসমান
  • ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের চিঠি দেয়া হবে : ওবায়দুল কাদের
  • মইনুল হোসেন ফের কারাগারে