দেবহাটায় মৎস্য ঘের ও বসতবাড়ীতে লুটপাটের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার দেবহাটায় ক্রয়কৃত সম্পত্তির মৎস্য ঘের ও বসতবাড়ীতে লুটপাটের সঠিক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই অসহায় পরিবারের সদস্য।
শনিবার সকালে দেবহাটা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন দেবহাটার মাঘরী গ্রামের ওয়াজেদ আলী খাঁ’র পুত্র আব্দুস সেলিম (৩৮) ও দেবহাটা গ্রামের নাসরিন সুলতানা(৪৫)।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন- তাদের পূর্বপর মালিকেরা ৩টি দলিলে ১৯৭৯ সালে বসন্তপুর গ্রামের সোনাই সরদারের পুত্র ফজলুর রহমান ও গোলাম রব্বানী সরদারের কাছ থেকে দুই দলিলে .৯৪একর এবং অপর দলিলে .৩৬ একর জমির সর্বমোট ১.৩০ একর জমি ক্রয় করে। কিন্তু ফজলু ও রব্বানীর বোনের মেয়ে মিনা পারভীন ও তার স্বামী আবু বক্কার সিদ্দিক উক্ত জমির কিছু অংশ নিজের দাবী করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে উক্ত জমির ফসল নষ্ট করে জমির সীমানায় থাকা গাছ কেটেফেলে দিয়েছে। একই সাথে উক্ত জমিতে নির্মানকৃত বসতবাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র এবং ঘেরের মাছ লুটপাট করেছে।
উল্লেখ্য যে, চন্ডিপুর মৌজার ১২৪ নং এসএ খতিয়ানের একাধিক দাগে উল্লেখিত ৪.০৬ একর জমির মধ্যে হতে ফজলুর রহমান ও গোলাম রব্বানীর নিকট হতে ৬ দাগে ২.২৪ একরের মধ্যে আপোষ চিহ্নিত মতে ৩৫,৭৫,৭৬ দাগে .৯৪একর জমি এবং ১০৪ দাগে .৩৬ একর জমি খরিদ করে। ১৯৭৯ সাল হতে পূর্বপর মালিকগনের কাছ থেকে তারা খরিদ করিয়া শান্তিপূর্ন ভোগদখল করে আসিতেছিল। তাদের পূর্বপর মালিকগন ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে ৪১৪ নাম্বার মিস কেস মূলে ৩৫,৭৫,৭৬ দাগে .৯৪ একর জমি রেকর্ড করিয়া খাজনা প্রদান করেন। ১২৪/১ এর খন্ড খতিয়ান খুলে হাল জরিপে ৪২১ নাম্বার ডিপিতে রেকর্ড প্রস্তুত করেন তাদের পূর্বপর মালিকগন। পরে উক্ত .৯৪ একর জমি আব্দুস সেলিম খরিদ করিয়া ভোগদখল করে আসিতেছিল। অপরদিকে, নাসরিন সুলতানার পূর্বপর মালিকেরা নাম খারিজ করে ১২৪/৪ খতিয়ান খুলে ৭৩৪ নাম্বার হোল্ডিং এ ১০৪ দাগে .৩৬একর জমিতে খাজনা প্রদান করার পর জরিপ রেকর্ডে ২৮নং ডিপি খতিয়ান প্রস্তুত করেন। পরে ২০১৩-১৪ সালে ৪০২ নাম্বার নামজারী কেসের হুকুম মোতাবেক ১২৪/৪ নাম্বার খতিয়ান প্রস্তুত করে নাসরিন সুলতানা ভোগ দখল করে আসিতেছেন। কিন্তু গত শনিবার ২৬ আগষ্ট সকালে আব্দুস সেলিম ও নাসরিন সুলতানার ক্রয়কৃত ১.৩০ একর মালিকানা জমিতে নলতা গ্রামের মিনা পারভীন ও তার স্বামী আবু বক্কার সিদ্দিক ৩০/৩৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তারা ফসলি জমির ফসল নষ্ট করে, মৎস্য ঘেরের মাছ ও বসতবাড়ির মুল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। এসময় সীমানায় থাকা ছোট-বড় মুল্যবান গাছ কেটে সাবার করে চলে যায়।
এমন অবস্থায় নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা এবং ষড়যন্ত্র থেকে রেহায় পেতে পুলিশ সুপারসহ সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী গ্রেফতার ১৩, ইয়াবা-ফেন্সিডিল-গাঁজা উদ্ধার
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক মামলারবিস্তারিত পড়ুন