সোনাগাজীতে এবার কলেজছাত্রকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
ফেনীর সোনাগাজীতে এবার এক কলেজছাত্রকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। হাত-পা-মুখ বেঁধে ওই কলেজছাত্রের গায়ে কেরোসিনও ঢালা হয়।
গতকাল বুধবার রাতে সোনাগাজীর পূর্ব চরগণেশ এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত যুবকের নাম আবু সালেহ মিম। তিনি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালামের ছোট ছেলে।
আহত আবু সালেহর পরিবারের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর তিন থেকে চারজন যুবক সালেহর পরিচয় জানতে চায়। তাঁর (সালেহ) বাবা এলাকায় বাড়াবাড়ি করছে এমন কথা বলার পর তাঁর হাত-মুখ রশি ও কাপড় দিয়ে বেঁধে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় তারা। এ সময় সালেহর শরীরে কোরোসিন ঢেলে দেয় ওই যুবকরা। ওই সড়ক দিয়ে কয়েকজন পথচারীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা।
পরে আহত অবস্থায় সালেহকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার।
সালেহর ভগ্নিপতি মো. সবুজ ইউএনবিকে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা সাত/আটজন সবাই মুখোশ পরা ছিল। যার কারণে তাদের চেনা যায়নি।’
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু তাহের বলেন, ‘ছেলেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। শরীর না পুড়লেও আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ায় অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার কারণ জানাতে না পারলেও তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনা তারা জেনেছেন। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে নিজ মাদ্রাসা ভবনের ছাদে দুর্বৃত্তরা নুসরাত জাহানের গায়ে আগুন দেয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
পোড়া শরীর নিয়ে টানা পাঁচ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল বুধবার রাতে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন নুসরাত।
নুসরাত জাহান এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এ কে এম মুসা মানিকের মেয়ে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন