সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নতুন প্রধান বিচারপতি
নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে গতকাল তাকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন নতুন প্রধান বিচারপতি।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর থেকে প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য ছিল। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি হিসেবে আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা গত বছরের ৩ অক্টোবর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে এটা ‘রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার’ বলে উল্লেখ করে আসছিলেন আইনমন্ত্রী। সর্বশেষ গতকাল দুপুরেও এক অনুষ্ঠানে একই প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। এর পর পরই প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নিয়োগের খবর আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বেলা ২টার পর প্রধান বিচারপতির নিয়োগসংক্রান্ত পত্রে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের কথা জানান। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করা চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইন মন্ত্রণালয়ও। এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের কথাও জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তিনি বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি লন্ডন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ছয় মাসের ‘কমনওয়েলথ ইয়াং লইয়ার্স কোর্স’ সম্পন্ন করেন। ১৯৮১ সালে জেলা আদালতে ও ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী হন তিনি। আর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন