সোমবার বিকাল চারটায় যখন হামিদা মেয়ে শরিফা ও ছেলে সোহানের লাশ নিয়ে এম্বুলেন্স বিদায়ের সুর বাজাতে বাজাতে রুদ্রপুর তার বাপের বাড়ী এসে পৌছালো পুরো গ্রাম তখন স্তব্দ। শোকে সবাই পাথর।

হামিদার বাবা মায়ের চোখে আর জল নেই। শুকিয়ে গেছে।মেয়ের সাথে আদরের দুই নাতি নাতনির লাশ। পাষান হৃদয়ও কি সইতে পারে? গোটা পরিবারের সাথে গোটা গ্রাম শোকের সাগরে ভাসছে। শত শত নারী পুরুষের ভীড় অহেদ আলীর বাড়ীতে।

সন্ধ্যার পরে রুদ্রপুর স্কুলমাঠে সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে তিনটি লাশ। জানাজার পরে হামিদার বাপের ভিটেয় ছেলেমেয়ে সহ সমাহিত করা হলো তাকে।

হামিদা এখন চিন্তামুক্ত। তাকে আর কেও জালাবে না। তার সন্তানদেরও সৎ মায়ের গঞ্জনা সইতে হবে না। নির্ভাবনায় চিরনিদ্রায় সে।

কি নিষ্ঠুর শাশুড়ী। হামিদা তখনো মরেনি। মৃত ছেলে সোহানকে কোলে নিয়ে নিরবে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। মেয়ে শরিফা যখন বিষের জ্বালায় বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। পাষানী শাশুড়ী তখন তার স্বামী আরাফাতকে নিয়ে ঘরে দরজা লটকে শুয়ে আছে। শুনলেও গা শিউরে ওঠে।

হামিদার শাশুড়ীর ভয়ে প্রতিবেশীরা আস্তে করে বাড়ীর পিছন দিয়ে ইব্রাহিমের ঘরে প্রবেশ করে উদ্ধারে ব্যস্ত তখনো আসেনি পাষানী শাশুড়ী ও তার শশুর।

অহেদ আলীর ৩ মেয়ে ১ ছেলে। হামিদা ২য়। ১৫ বছর আগে ইব্রাহিমের সাথে তাকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ীর গঞ্জনা শুরু হয় হামিদার ওপর। আজ তার ইতি ঘটলো।

উল্লেখ্য, শাশুড়ীর গঞ্জনার শিকার হয়ে হামিদা রবিবার রাতে তার ছেলেমেয়েকে বিষ খাওয়ানোর পর নিজেও বিষ খায়। এর পর পর সকলেই মারা যায়।

শার্শায় শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া, নিজের দুই সন্তানকে হত্যার পর পুত্রবধূর আত্মহত্যা

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---