রাজগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসে বিল দিতে ভোগান্তি
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ মণিরামপুরের আওতাধীন রাজগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসে গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে এসে দীর্ঘলাইনে দাড়িয়ে চরম ভোগান্তির পাচ্ছেন৷ সেখানে জায়গা সংকটসহ পর্যাপ্ত ছাউনী না থাকায় গ্রাহকেরা বাধ্য হয়েই প্রখোর রোদের মধ্যে দীর্ঘলাইনে দাড়িয়ে বিল পরিশোধ করছেন, এদৃশ্য প্রতিদিনের৷
জানা গেছে, রাজগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের এরিয়ায় রয়েছে, পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জ অঞ্চলের রোহিতা, খেদাপাড়া, হরিহরনগর, ঝাঁপা, মশ্বিমনগর, চালুয়াহাটী ও কাশিমনগর এই ৭টি ইউনিয়নের হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক৷ উল্লেখিত ৭টি ইউনিয়নের কোনোনা কোনো এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা প্রতিদিন এ অফিসে আসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে৷ কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ হচ্ছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ তারা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে সজনপ্রীতিও করছেন৷ যেমন সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকেও বিল দিতে পারছে না৷ অথচ অফিসের কর্মকর্তারা লাইনে দাড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের সামনের উপর থেকে মুখ চেনা কিছু লোকের বিল অফিসের পিছনের দরজা দিয়ে পরিশোধ করছেন৷ এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর অব্যবস্থাপনায় দায়ী করছেন চরম ভূক্তভোগী সাধারন গ্রাহকেরা৷
বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে আসা দীর্ঘলাইনে দাড়িয়ে থাকা মশ্বিমনগর ইউনিয়নের চাকলা গ্রামের আব্দুল খালেক (৪৫), জাফর আলী (৫৫), ঝাঁপা গ্রামের সবুর মিয়া (৪৮), খেদাপাড়া এলাকার সোহাগ হোসেন (২৫), মোসলেম উদ্দিন (৫৫) সহ ভুক্তভোগী আরো অনেকেই এপ্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, এখানে একটা বুথে বিল নেওয়ার হচ্ছে৷ অফিসের সামনে গ্রাহকদের জায়গা ও ছাউনী কম থাকার কারণে গ্রাহকদের দীর্ঘলাইনের সৃষ্টি হচ্ছে৷ তাছাড়া লাইন লম্বা হতে হতে চলে যাচ্ছে রাস্তার উপর৷ যে কারণে দুর্ঘটনা ঘটার আশংকাও রয়েছে৷ এই প্রখোর রোদের মধ্যে, গরমে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের৷ এরমধ্যে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্ট অফিসের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এক নজর দেখার প্রয়োজন মনে করেন না৷ এরকম পরিস্থিতিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা মাঠপাড়া গ্রামের ওলিউল্লাহর ছেলে তালতলা বাজারের ডেকরেটর ব্যবসায়ী নূর নবী (৪৫) রাজগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসে আসে বিদ্যুৎ বিল দিতে৷ সেখানে গ্রাহকদের অনেক ভীড় থাকায় রোদের মধ্যেই দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে থাকে সে৷ এক পর্যায় লাইনে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায়, সেখানেই মাথাঘুরে অসুস্থ্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে৷ তাৎক্ষনিক সেখানকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজগঞ্জ বাজারে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়৷ কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয় এবং সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার আগেই সে মারা যায় বলে নূর নবীর পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে৷
এবিষয়ে সাব-জোনাল অফিসের ইনচার্জ ফাকরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন- লোক অসুস্থ্য হয়ে মারা যাওয়ার ব্যাপারটি আমি জানিনা৷ যেখানে গ্রাহকরা দাড়িয়ে বিল দেন, সেখানে একটা ফ্যানের ব্যবস্থা করে দেবো৷ আর বিল গ্রহনের জন্য বুথ বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই৷ যেহেতু অনলাইনে বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে, এজন্য বুথ বাড়ানো হবে না৷
এদিকে, রাজগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন কাজে আসা ভুক্তভোগী গ্রাহকদের দাবী, বিল গ্রহনের বুথ, অফিসের সামনে ছাউনীসহ সেবার মান বৃদ্ধি করা৷
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন