রাজগঞ্জে সন্ত্রাসী মুক্তারের গুলিবৃদ্ধ লাশ উদ্ধার
যশোরের রাজগঞ্জে মুক্তার আলী (৪৫) নামের এক ডাকাতের গুলিবৃদ্ধ লাশ উদ্ধার হয়েছে৷
বুধবার সকাল আটটার দিকে থানা পুলিশ রাজগঞ্জের হানুয়ার মাঠ থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে৷ এর আগে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে স্থানীয়রা লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড গুলি, গুলির দুইটি খোসা ও অপরিচিত এক ব্যক্তির দুটি ছবি উদ্ধার করেছে৷ লাশের ডান কানের নিচে গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে৷ মুক্তার আলী রাজগঞ্জের চালুয়াহাটী ইউনিয়নের রতনদীয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে৷
থানা পুলিশের দাবি, দুই দল ডাকাতের মধ্যে সংঘর্ষে মুক্তার আলী নিহত হয়েছে৷ সে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী৷ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে দশটি মামলা রয়েছে৷
তবে মুক্তারের স্বজনদের দাবি, সে সাত মাস ধরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলো৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তারের স্ত্রী সুমি খাতুন তাকে জেলখানায় দেখে এসেছে৷ তাকে সেখান থেকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের৷
স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হাঁটতে বেরিয়ে স্থানীয়রা রাজগঞ্জ-পুলেরহাট সড়কের হানুয়ার মাঠের মাহাবুরের মাছের ঘেরের বিপরীত পাশে রাস্তার ধারে আফতাফ গাজীর জমিতে একটি লাশ দেখতে পান৷ খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ঝাঁপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু৷ তিনি গিয়ে সনাক্ত করেন লাশটি রতনদীয়া গ্রামের মুক্তার আলীর৷ পরে খবর পেয়ে সাড়ে সাতটার দিকে থানার ওসি মোকাররম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন৷
জানা যায়, সাত মাস আগে কোতয়ালী থানায় চার শত পিস ইয়াবা মামলায় জেলে যান মুক্তার আলী৷
মুক্তারের পিতা হবি ও মা শহরবানু বলেন, মুক্তার সাত মাস ধরে জেলখানায়৷ দুই-তিন দিন আগে সে জামিন পায়৷ কিন্তু আমরা ওর জেল থেকে বের করিনি৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তারের বউ জেলখানায় ওর সাথে দেখা করে এসেছে৷ পূর্বশত্রুতার জেরে স্থানীয় তিন যুবক মুক্তারকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনে গুলি করে মেরেছে বলে দাবি তাঁর পিতা-মাতার৷
স্থানীয় এক যুবক জানান, মুক্তারের লাশের খবর সকালে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেলে ওর মা-বাবা ও স্ত্রী প্রথমে বিশ্বাস করেনি। তাঁর স্ত্রী বলেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে জেলখানায় দেখে এসেছি৷ একথা বিশ্বাস করি না৷ পরে মুক্তারের বাবা এসে দেখে লাশটি তাঁর বড় ছেলের৷
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকাররম হোসেন বলেন, মুক্তার এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী৷ তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ মণিরামপুর, সদর, বেনাপোলসহ বিভিন্ন থানায় দশটি মামলা রয়েছে৷
ওসি আরও বলেন, এই সড়কে গত দুই-তিন মাস ধরে ডাকাতরা রাস্তার গাছ কেটে ডাকাতির চেষ্টা করে৷ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে গত রাতে দুই দল ডাকাতের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবৃদ্ধ হয়ে মুক্তার মারা গেছে৷ মুক্তারের লাশ উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে৷
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন