যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের চায়ের দোকানগুলোতে ভারতীয় ভেজাল, রং মেশানো চা পাতি ব্যবহার হচ্ছে দেদারছে৷ প্রশাসনের নাকের ডোগায় ভেজাল ভারতীয় চা পাতির অবাধ ব্যবহার হলেও তারা রয়েছে নিরব ভূমিকায়৷

জানা গেছে, কিছু চোরাকারবারিরা ভারত থেকে ভেজাল, রং মেশানো চা পাতি এনে উন্নত মানের প্যাকেটে ভরে মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের চায়ের দোকানগুলোতে হকারী করে বিক্রি করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত ধরে৷ কম দামে উন্নত মানের প্যাকেটে ভরা চা পাতি কিনে রাজগঞ্জ এলাকার চায়ের দোকানদাররা সেই ভেজাল, রং মেশানো চা পাতি অবাধে ব্যবহার করছে৷ যা মানুষের দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে যে সমস্ত ভেজাল, রং মেশানো চা পাতি বিক্রি হচ্ছে৷ তা খাওয়ার পর মানুষের বিভিন্ন জটিল রোগ-বালাই দেখা দিতে পারে৷ এমনকি মরন ব্যাধি ক্যান্সারও হতে পারে৷ গত রোববার রাতে রাজগঞ্জ বাজারের চৌ-রাস্তা মোড়ের একটি চায়ের দোকানে বসে আসি; এমন সময় স্থানীয় দুই জন লোক চা খাবে বলে দোকানদারকে চা দিতে বলে, নিজেরাই আলোচনা করছিলো ভেজাল চা পাতি নিয়ে৷ তারা দুইজন বার বার দোকানদারকে বলতে লাগলো, কি চা পাতি ব্যবহার করো, ভালো চা পাতি দিয়ে দুই কাপ চা দিতে৷

বিশেষজ্ঞরা জানান, কাপড়ের রং আর কাঠের গুড়া এক সাথে করে এক বিশেষ ফর্মুলায় তৈরি করা চা পাতি ভারত থেকে চোরাকারবারিরা সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে এনে মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের চায়ের দোকানগুলোতে দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে৷

রাজগঞ্জ এলাকার সচেতন সমাজ বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে৷

Kalaroa News

---

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

---