মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

রাজগঞ্জের খেদাপাড়া ইউপি সচিবকে ধাওয়া করলেন চেয়ারম্যান

মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে পরিষদের সচিব মৃণালকান্তি সাহাকে গালিগালাজ করাসহ মারপিট করতে ধাওয়া করার অভিযোগ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান এই কাণ্ড ঘটান। তবে ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বারান্দায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার ব্যাপারে সন্ধ্যায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন সচিব। একই সঙ্গে তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন।
এদিকে দুপুরের পর পরিষদে ফিরে চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান সচিবের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
সচিব মৃণাল কান্তি বলেন, এলজিএসপি প্রকল্প-৩ এর কাজ এখনো অনেক বাকি। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চেয়ারম্যান বিল-ভাউচার দেওয়ার পর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ক্লিয়ারেন্স দেন। এরপর বিষয়টি ডিস্ট্রিক্ট ফেসিলেটেটরকে (ডিএফ) জানাতে হয়। ওনার অনুমতি পেলে বিলে স্বাক্ষর করতে হয়।
মৃণালকান্তি অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পের কাজ অনেক বাকি থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান আমাকে বিলে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। আমি রাজি না হওয়ায় পিআইও অফিসের সামনে আমাকে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান আমার দিকে তেড়ে আসলে আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর কার্যালয়ে আশ্রয় নিই। পরে তিনি এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।
চেয়ারম্যানের অনেক সাঙ্গোপাঙ্গ আছে, পরিষদে ফিরলে তারা আমাকে মারধর করতে পারে আশঙ্কায় থানায় ডায়েরি করেছি, বললেন সচিব।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সরদার মুজিবর রহমান বলেন, সকাল থেকে সচিবকে বহুবার কল করার পরও সে রিসিভ না করায় তাকে বেয়াদব বলেছি। সচিবও আমাকে পাল্টা বেয়াদব বলেছে। তখন আমি গরম হয়েছি। এই বিষয়েতো ডায়েরি হওয়ার কথা না।
এক প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, এলজিএসপির কাজ শেষের পথে। লোকজন টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাই সচিবকে চেকে স্বাক্ষর করতে বলেছি।
চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, এই সচিব কথা শোনেন না। তিনি ইচ্ছামতো চলেন। এভাবে চললে তো পরিষদ চালানো যায় না।
কক্ষে তালা দেওয়া প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, সচিব নিজেই তার কক্ষে তালা দিয়েছে। আমি চৌকিদারকে বলেছি, আমার অনুমতি বাদে যেন কেউ ঘর না খোলে।
মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, সচিব আমার কাছে অভিযোগ করেছে যে, চেয়ারম্যান তাকে বিভিন্ন সময়ে অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি করে। কাজ না করে চেয়ারম্যান বিলে স্বাক্ষর দিতে বলে। এসব কাজে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ চত্বরে সচিবকে গালমন্দ করাসহ তাড়া করে।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের এসব অনিয়মের বিষয় আমার মাধ্যমে জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছে সচিব। দ্রুত অভিযোগটি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা

বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন

ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত

যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

  • কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মিনা দিবস পালিত
  • কেশবপুরে মটরসাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
  • কেশবপুরে তৃণমূল সাংবাদিক দলের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা
  • কেশবপুরে জয় সাহাকে পুনরায় ক্রীড়া সংস্থার সা.সম্পাদক করার দাবী
  • ঝিকরগাছার বাঁকড়ায় আ.লীগের বর্ধিত সভা
  • শার্শার হাড়িখালি আমবাগান থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
  • কেশবপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই মহিলা চোরকে কারাদন্ড
  • কেশবপুর উপজেলা দলিত পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
  • কেশবপুরের ভাল্যুকঘর মাদরারাস নিয়ে এক প্রভাষক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত!
  • মারধর করায় বাচ্চা কোলে নিয়ে কেশবপুরে থানায় হনুমানের দল
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশমাছ ভারতে পাচারের সময় গ্রেফতার-২
  • বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে পত্রিকা প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছা