যেভাবে বুঝবেন আপনার সঙ্গী পরকীয়া করছেন!
সম্পর্কের ঘরবাড়ি এমনই যে, কখন যে তাতে নোনা ধরে বলা কঠিন। আচমকাই দেখা যায় খসে পড়ছে পলেস্তার। তখন অনেক মেরামতির চেষ্টা করেও আর কিছু করা যায় না। ফলে অবধারিত ভাঙন। বিচ্ছেদ ও যন্ত্রণা। কিন্তু কোনও কি উপায় নেই, যা দেখে আপনি আগেভাগেই পরিস্থিতি আঁচ করতে পারবেন? হয়তো প্রাত্যহিকতার অভ্যাসে নিজেদের সম্পর্কের দিকে ভাল করে না তাকানোর ফলেই এই দুরবস্থা ঘটে। তাই গোড়াতেই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
এদিকে ব্যস্ত কর্পোরেট দুনিয়ায় পরকীয়ার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। পুলিশের দ্বারস্থ হওয়াই যায় এ বিষয়ে, কিন্তু তাতে তো কাচের গায়ে ফাটলের দাগ মোছা যায় না। তাই সম্পর্ক বাঁচাতে হলে আগে তার ভাঙনের লক্ষণগুলিও জেনে রাখা উচিত।
তা কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে আপনার সঙ্গীটি পরকীয়ায় লিপ্ত? তার কয়েকটি তুলে ধরা হল এখানে-
১. আকস্মিক ব্যবহারে পরিবর্তন:
খুব চেনা কাছের মানুষটির ব্যবহারে যদি আকস্মিক কোনও পরিবর্তন আসে তবে সন্দেহের কারণ আছে। ধরা যাক, যিনি পারিবারিক ব্যাপারে বরবারই ইনভলভড, তিনি যদি উল্টোটা করেন তাহলে বুঝতে হবে কোনও আকস্মিক কোনও নতুন ঘটনা ঘটছে তাঁর জীবনে। আর পরিবারের প্রতি উদাসীন লোকও যদি আচমকা আগ্রহী হয়ে ওঠেন তাহলেও সন্দেহের অবকাশ আছে। সঠিক পর্যবেক্ষণই এই ব্যবহারিক পরিবর্তন গোচরে আসতে পারে।
২.সঙ্গীর সঙ্গে কম সময় কাটানো:
মূলত হতাশা, একাকীত্ব, একঘেয়েমি বা যৌনতায় অপূর্ণতাবোধ থেকেই কোনও মানুষ সম্পর্কে থাকাকালীনও নতুন সম্পর্কের দিকে ঝোঁকেন। তাই কেউ যদি সঙ্গীর সঙ্গে কম সময় কাটান তাহলে বুঝতে হবে এই সমস্যাগুলির কোনও একটা তাঁকে পেড়ে ফেলেছে। সেখান থেকেই নতুন সম্পর্কের অঙ্কুরের সম্ভাবনা দেখা যায়।
৩. গোপনীয়তা:
প্রত্যাশিতভাবেই কেউ কারও পরকীয়া পরিবারের সামনে আনতে চান না। তাই যদি দেখা যায় কেউ নানা সাধারণ বিষয়ও কাছের মানুষের থেকে লোকাচ্ছেন, তবে তাঁর পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এছাড়া এক সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অপরাধবোধও কোনও ব্যক্তির অবচেতনে থাকে। এ থেকেও আসে গোপনীয়তা বা যে কোনও কিছু লুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা।
৪. সন্দেহজনক ফোন:
সাধারণত সঙ্গী ফোনে কী ধরনের কথা বলেন বা কোন স্বরে কথা বলেন তা কারও অজানা নয়। কিন্তু আচমকা যদি এতে পরিবর্তন আসে তবে সন্দেহ জাগা অমূলক নয়। যদি বিশেষ বিশেষ কোনও ফোন কলের ক্ষেত্রে সঙ্গী নিচু স্বরে কথা বলেন, যাতে অন্য কেউ তা জানতে না পারেন এরকম স্বর বজায় রাখেন, তবে পরকীয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
৫. রাত করে ফেরা বা ঘনঘন ট্রিপ:
কোনও পরিকল্পনা নেই। আগে থেকে জানানোও নেই। অথচ বিশেষ দরকারে সঙ্গী বাইরে যাচ্ছেন। হয়তো অফিসের কাজের কথা বলেই। এ জিনিস যদি বারবার ঘটতে থাকে তবে সন্দেহ হতেই পারে। সাধারণত কাজের সময় অনুযায়ী বাড়ি ফেরার সময়ও মোটামুটি নির্ধারিত থাকে। দু-একদিন তার ব্যতিক্রম থাকে। কিন্তু ক্রমাগত যদি এ নিয়ম ভাঙতে থাকে, তবে পরকীয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
৬. অকারণ ব্যাখ্যা দেওয়া:
কোনও কিছু না জিজ্ঞেস করতেই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা যদি দেখা যায় সঙ্গীর আচরণে, তবে সন্দেহের অবকাশ আছে। আসলে অপরাধবোধ থেকে বা তিনি যে কোনও খারাপ কাজ করছেন না, তা প্রতিপন্ন করতেই এ কাজ করে থাকেন পরকীয়ায় লিপ্ত মানুষরা। তাই এ বিষয়ে আগেই সতর্ক থাকা উচিত।
৭. নিজের প্রতি বিশেষ নজর:
নিজের খেয়াল রাখা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু প্রতিটি মানুষ কতটা নিজের খেয়াল রাখেন তা তাঁর কাছের মানুষ জানেন। এতে আচমকা পরিবর্তন এলে ভাবনার বিষয় আছে। যদি দেখা যায় এতদিন একজন যেভাবে পোশাক পরতেন, যা পছন্দ করতেন তাতে দ্রুত বদল আসছে, তাহলে বোঝা যায় তাঁর মধ্যে বড় পরিবর্তন এসেছে। তিনি অন্য কারও পছন্দ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন, এ অনুমান সহজেই করা যায়।
৮. বিরক্তি-খিটখিটে মেজাজ:
সংসারের দৈনন্দিনতায় আক্রান্ত হয়ে মেজাজ খারাপ কারও হতেই পারে। সে সমস্যা প্রতি সম্পর্কে দেখা দেয়। আমার সম্পর্কে থাকা মনুষরা তা নিজেদের মতো করে মিটিয়েও নেন। কিন্তু এর অন্যথা হলে ভাবনা আছে। যদি সঙ্গী আপনার উপর ক্রমাগত খিটখিটে ব্যবহার করেন, মেজাজ হারান বা বিরক্তি প্রকাশ করেন তাহলে বুঝতে হবে অন্য কোনও সম্পর্কে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন।
অর্থাৎ মূলত ব্যবহারিক পরিবর্তনটাই মুখ্য। আচার-আচারণ, রুচি, ব্যবহার, যৌনতায় যদি স্বাভাবিকের থেকে বেশি ও দ্রুতহারে পরিবর্তন আসে তবে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার সম্ভাবনা জোরদার। প্রতিটি সম্পর্কে সঙ্গী এক অপরকে যে মাত্রায় চেনেন, সেভাবে অন্য কেউ চেনেন না। আর তাই স্বাভাবিক প্রবৃত্তিবশতই একজন বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গী কতটা তাঁর আছেন আর কতটা নেই।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরেরবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন
ভালোবাসার সুড়ঙ্গ রহস্য (ভিডিও)
প্রকৃতি অপার রহস্যের ভান্ডার। তাই সে মাঝে মাঝেই আমাদের চমকেবিস্তারিত পড়ুন