মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

যশোর- বেনাপোল সড়কের গাছকেটে চারলেনের রাস্তা করলে ক্ষতিকি

যশোর বেনাপোল রোডের দুই পাশের গাছ কাটা নিয়ে যে ভিন্ন মত সৃষ্টি হয়েছে, তা আর থামছেনা। কলারোয়া নিউজ এর আয়োজনে আজকেও জনগনের মতামত প্রকাশ করা হলো। জনৈক ব্যাক্তি তার মতপ্রকাশ করে বলেছেন, বাস্তব অবস্থার আলোকে বিচার না করেই কথা বলছে। যারা বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়, তারা দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামো এগিয়ে যাক সেটা চায় না, তারাই যশোর বেনাপোল মহাসড়ক উন্নয়ন হোক সেটার বিরুদ্ধে বা গাছ কাটার বিরুদ্ধে বলছে। কিছু মোল্লা বা পরিবেশবাদী নাম ধারী লোক বাস্তব অবস্থা না বুঝেই আতেল মার্কা কথা বলছে, এরাই হলো রক্ষণশীল, উন্নয়নের পথে বাধা, এবং যারা ৭১ সালে চেয়েছিল পাকিস্তান টিকে থাক তাদের দলের অন্তর্ভুক্ত। আরে যে গাছগুলো প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, এবং নষ্ট হয়ে যাচ্চে সেগুলোর জন্য কি উন্নয়ন থেমে থাকবে? আমি একজন এই অঞ্চলের বাসিন্দা হয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যারা মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ার খবর শুনে বলছেন, তারা অন্তত একবার এই রাস্তায় যশোর থেকে বেনাপোল ঘুরে যান তাহলে বুঝবেন যন্ত্রনা আর বিরক্তি কাকে বলে! রাস্তা সম্প্রসারিত না হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত বড় বড় দুঘটনা ঘটছে,দুইটা গাড়ী পাশাপাশি পর হতে গেলে ঘটছে দুর্ঘটনা, তাছাড়া এই রাস্তা দিয়েই বাংলাদেশের প্রধান স্থল বন্দর বেনাপোল, প্রতিদিন হাজার হাজার মালবাহী বড় বড় গাড়ী চলাচল করছে, আমার মনে হয় বাংলাদেশের সবচাইতে নষ্ট খারাপ ও অবহেলিত রাস্তা এটা। শুধুমাত্র একদিন আসেন এই রাস্তায় , তাহলে বাস্তবটা কি টের পাবেন। আর যারা পরিবেশের কথা বলছেন আমি তাদের বিপক্ষে না, পরিবেশের ইকোসিস্টেম বজায় থাকুক এটা আমরা সবাই চাই, কিন্তু অনেক বড় স্বার্থের জন্য তো কিছু স্বার্থ বিসর্জন দিতে হবে। আবার অনেকে ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা প্রত্নতাত্ত্বিক কথা বলছে, আরে তাহলে তো যশোর বেনাপোল রোড আর রাস্তার দুই পাশের গাছগুলোকে উঠিয়ে নিয়ে জাদুঘরে রেখে আসতে হবে, তা নাহলে তো জনগণের ব্যাপক জানমালের ক্ষতি রোধ সম্ভব নয়। তাছাড়া ভাবতে হবে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে আন্তর্জাতিক ভাবে ভারতের সাথে স্থল পথে যোগাযোগের এটা একটা প্রধান পথ, তাই অবকাঠামোগত, বাণিজ্যিক, আর্থসামাজিক, উন্নয়ন ও পরিবহন তথা এই অঞ্চলের সাধারণ জনগণের ব্যাপক সমস্যা ও জান মালের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে যশোর বেনাপোল মহাসড়ক কে এশিয়ান হাই ওয়েতে রুপান্তরিত করার জন্য সরকার তথা সবার সার্বিক সহযোগিতা সর্মথন ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ দরকার। হা অবশ্যই গাছ কাটলে পরিবেশের ক্ষতি, একজন সচেনতন নাগরিক হিসেবে সবারই সেটা জানতে হবে, কিন্তু তার জন্য যদি প্রতি বছর শত শত সাধারণ জনগণের জান মালের ক্ষতি হয় সেটা কি আমাদের কাম্য হতে পারে? তাছাড়া রাস্তার উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের পর কি আমরা পারিনা হাজার হাজার গাছ সরকারি উদ্যোগে লাগিয়ে সামাজিক বনায়ন সৃষ্টি করে পরিবেশের ক্ষতি রক্ষা করতে? সবচেয়ে বড় কথা হলো এই রাস্তাটি মোটেও চলার উপযুক্ততা নেই , মানুষ তো দূরের কথা পশুরাও এই রাস্তা দিয়ে চলতে পারেনা। সেখানে কিছু মানুষ বাঁধ সেধেছে, আসলে তারা এই সমস্ত কথা বলে দেশ, মাটি ও মানুষের অগ্রযাত্রাকে পশ্চাতে নিয়ে যেতে চায়, এরা আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন চায় না, জনগণের কষ্ট লাঘব হউক সেটা চায় না, বাণিজ্যিক ভাবে দেশ এগিয়ে যাক সেটা চায় না, দেশের আধুনিকায়ন হউক সেটা চায় না। তাছাড়া এই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ জনগণের যুগ যুগের প্রানের দাবী যশোর বেনাপোল মহাসড়ক প্রশস্ত ও আধুনিকায়ন করা হউক। যারা বাস্তব অবস্থার কথা ও জনগণের সমস্যা চিন্তা না করে কথা বলছে, তারা মোটেও ঠিক করছেন না। তাছাড়া রাস্তার যে বেহাল দশা আর গাছগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং শুধু তাই নয় প্রায় প্রতিটি গাছের ভেতরে বড় বড় ফোকড় তৈরী হয়েছে তাতে যেকোনো সময় বড় বড় ডাল পালা ভেঙে সাধারণ পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। যারা পরিবেশ নিয়ে কথা বলে তাদের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই পরিবেশবাদী তাদেরকেই বলে যারা প্রাকৃতিক ও মনুষ্য পরিবেশের মধ্যে সুনিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কাজ করে তাদেরকেই পরিবেশবাদী বলে। আপনি জানলেন না, বাস্তব অবস্থা দেখলেন না, জনগণের দুর্ভোগ দেখলেন না, অযথা পরিবেশ রক্ষার নামে সঠিক উপলব্ধি না করে দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থকে পশ্চাতে ঠেলে দিবেন না। তাই আসুন সরকার কিংবা জেলা প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হই ও জনমত গড়ে তুলি।

এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে সারা বিশ্ব যে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, আই সি টি বিশ্বে আমরা যখন কানেকটিং টেকনোলজি দিয়ে সারা বিশ্বে মুহূর্তেই সব কিছু আদান প্রদান করছি, তখন কেন আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে পায়ে ঠেলে দিবো? আমরা আসলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে বুঝিনা, খালেদা জিয়া সরকারের আমলে যখন ফ্রি-তে সাবমেরিন কেবল সংযোগ দিতে চাইলো উনারা নিলেন না, অথচ পরে টাকা খরচ করে সেই সংযোগ নিতে হয়েছে, এ ধরণের দৃষ্টান্ত আমাদের দেশে বহু আছে। তাছাড়া কিছু মানুষ থাকবেই যারা চিরকাল বিরোধিতা করবে, গোড়ামী করবে, পিছনে হাটতে চাইবে, এরা সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ঘুনে ধরা আর উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। এটা তো মানতেই হবে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ছোট স্বার্থকে বিসর্জন দিতে হবে। আমরা যদি সচেতন হই সরকার যদি সচেতন হয়, তাহলে অবশ্যই পরিবেশের যতটুকু ক্ষতি হবে তা পূরণ সম্ভব।খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটি যদি চারলেনে উন্নিত হয় তাতে ক্ষতি কি? এটা মনে রাখতে হবে কিছু নিলে কিছু দিতে হয়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা

বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন

ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত

যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

  • কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মিনা দিবস পালিত
  • কেশবপুরে মটরসাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
  • কেশবপুরে তৃণমূল সাংবাদিক দলের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা
  • কেশবপুরে জয় সাহাকে পুনরায় ক্রীড়া সংস্থার সা.সম্পাদক করার দাবী
  • ঝিকরগাছার বাঁকড়ায় আ.লীগের বর্ধিত সভা
  • শার্শার হাড়িখালি আমবাগান থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
  • কেশবপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই মহিলা চোরকে কারাদন্ড
  • কেশবপুর উপজেলা দলিত পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
  • কেশবপুরের ভাল্যুকঘর মাদরারাস নিয়ে এক প্রভাষক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত!
  • মারধর করায় বাচ্চা কোলে নিয়ে কেশবপুরে থানায় হনুমানের দল
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশমাছ ভারতে পাচারের সময় গ্রেফতার-২
  • বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে পত্রিকা প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছা