মনিরামপুরে ভেজাল চা পাতির আধিক্যতা, রোধ করা যাচ্ছে না কিছুতেই
প্রশাশনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও রোধ করা যাচ্ছে না মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে ভেজাল চা পাতির অবাধ ব্যবহার৷রাজগঞ্জ বাজারসহ আশপাশের বাজারগুলোর চায়ের দোকানে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ভারত থেকে আসা ভেজাল রং মেশানো চা পাতির৷
জানা গেছে, স্থানীয় কিছু অসাধু চোরাকারবারিরা ভারত থেকে ভেজাল রং মেশানো চা পাতি এনে উন্নতমানের প্যাকেটে ভরে পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারের চায়ের দোকানগুলোতে মোটর সাইকেলে হকারি করে বিক্রি করে যাচ্ছে৷উন্নতমানের প্যাকেটে ভরা ভেজাল চা পাতি কিনে রাজগঞ্জ এলাকার চায়ের দোকানদাররা অবাধে সাধারণ জনগণের মাঝে বিক্রি করছে৷যা মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী এবং ক্ষতিকারক৷
সম্প্রতি কথা হয় উপজেলার ডুমুরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ. কে. এম বজলুর রশীদের সাথে৷ তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন- বাজারের দোকান থেকে চা খাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছি৷স্কুলের চাও খাচ্ছি না৷কারণ, জানলাম, চা পাতিতে ব্যাপক ভেজাল দেওয়া হচ্ছে৷ভেজালকারিরা না-কি, কাপড়ের রং, কাঠের গুড়োর সাথে মিশিয়ে চা পাতিতে ভেজাল দিচ্ছে৷এসব ভেজাল খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে চাই না৷
রাজগঞ্জ বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা মফিজুর রহমান (৪৫) ও আশিকুর রহমান (৩৬) জানান- দোকান থেকে আমরা যে চা খাচ্ছি আসলে, এটা চা পাতি কি-না আমাদের সন্দেহ আছে৷কারণ, স্বাদ চায়ের মত না৷এই চা খেলে মুখে দুর্গন্ধ হয়৷তাহলে এটা কি চা, না অন্য কিছু৷
রাজগঞ্জ বাজারের এক চায়ের দোকানদার (নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক) জানান- আমাদের কাছে কম দামের চা এবং বেশি দামের চা, দুই ধরনের চা পাতি রয়েছে৷সুযোগ বুঝে ব্যবসা করতে হয়৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- বাজারে যে সমস্ত চা পাতিগুলো বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো যদি জেভাল হয়, তা হলে খাওয়ার অনুপযোগী এবং তা খাওয়ার পর মানুষের দেহে গ্যাস্টিক, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগ হতে পারে৷
সূত্রে জানা গেছে- কাপড়ের রং আর কাঠের গুড়া এক সাথে করে নিম্নমানের চা পাতির সাথে মিশিয়ে তৈরি করা হয় ভেজাল চা পাতি৷আর এই ভেজাল চা পাতি ভারত থেকে চোরাকারবারিরা সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে দেশে এনে থাকে চোরাকারবারিরা৷তারপর লোক মারফত (হকার দিয়ে) চায়ের দোকানগুলোতে বিক্রি করা হয়৷
রাজগঞ্জ সচেতন সমাজ বলছে- বিষয়টি নিয়ে জন সাধারণের মধ্যে সচেনতা বাড়াতে হবে এবং বিষয়টি প্রশাসনের নজরে দিতে হবে৷
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন