মনিরামপুরের রাজগঞ্জে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, দিশেহারা ক্রেতারা
মনিরামপুরের রাজগঞ্জ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বাজেটের পর থেকে বেড়েছে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম। এ ছাড়া ডিম, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল, মাছ ও আলুর দামও বেড়েছে।
সব মিলিয়ে বর্তমানে বেশ চাপে আছে সীমিত আয়ের মানুষ। আয়ের তুলনায় তাদের বাজারের ব্যয় বেশ বেড়ে গেছে। এদিকে, কমেছে পোল্ট্রি মুরগির দাম। বাজারে কাটা পোল্ট্রি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা প্রতিকেজি দরে। যা একমাস আগেও ছিলো ২১০ টাকা প্রতিকেজি।
সোমবার রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে জানাগেছে, খুচরা দোকানে উল্লেখিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার খবর। এ বাজারের কয়েকজন দোকানদার জানান, আগে চিনি ৫২ টাকায় বিক্রি হতো প্রতিকেজি, এখন সেই চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা প্রতিকেজি। একইভাবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা।
বাজার ঘুরে আরো জানা গেছে, ফার্মের ডিম প্রতিপিচ ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক দিন আগে ছিলো ৮ টাকা থেকে সাড়ে ৮ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা প্রতিকেজি দরে। যে রসুন ক্ষেতে বিক্রি হয়েছিলো মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টাকা প্রতিকেজি। মজুদদারেরাই রসুনের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য সাধারণ ক্রেতাদের।
মাছ বাজারে মাছের সংকট দেখা দেওয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে সব শ্রেণির মাছের দাম। সীমিত আয়ের মানুষেরা মাছের দামটাই শুনে শেষ। কেনা পর্যন্ত আর যাচ্ছে না। আবার অনেকেইতো মাছ বাজারের দিকেই হচ্ছে না।
এমনই একজন সবুর গাজী (৫৫)। তিনি দরিদ্র মানুষ, পুরো মাসের মধ্যে মাছ কেনেন ৩/৪ দিন।
তিনি জানান- সারাদিন পরের জমিতে কাজ করি। এখনতো জনের দাম কম। তাও আবার প্রতিদিন হয় না। তাই ইচ্ছা থাকলেও, বাজার ইচ্ছা মতো করা হয়না। আর এখন মাছের বাজারে যাওয়ায় বাদ দিছি। কারণ দাম বেশি। দাম কমলি আবার ২/১ দিন কিনবানে।
তবে এলাকার কিছু সাধারণ মানুষের মন্তব্যে বলা হচ্ছে, প্রবাসীর স্ত্রীরা আর চাকরীজিবিরা (যারা বাজার করে) বাজার থেকে যেসমস্ত পণ্যসমগ্রী ক্রয় করেন, তা দরাদাম না করেই ক্রয় করেন। এদের জন্যেই বাজারের ব্যবসায়ীরা পণ্যসামগ্রীর দাম বেশি করে নিচ্ছেন। ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও সেই দাম দিয়ে কোনো পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারছে দরিদ্র, সীমিত আয়ের মানুষ। পারছে তারা তাদের সন্তানদের মুখে ভালো ভালো খাবার তুলে দিতে।
তাই বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন