সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

মণিরামপুর হাসপাতালে রোগীর ভিড়, ডাক্তার মিটিংয়ে

ঘড়ির কাঁটা জানাচ্ছে, সময় তখন সকাল দশটা বেজে দশ মিনিট। বহির্বিভাগে টিকেট নিয়ে বসে আছেন ৩০-৪০ জন রোগী। নেই কোনো ডাক্তার। রোগীদের কেউ কেউ টিকেট হাতে ঘোরাফেরা করছেন। কেউবা আবার টিকেট কাউন্টারে গিয়ে ডাক্তারের খোঁজ নিচ্ছেন। কারো আবার অপেক্ষার প্রহর পেরিয়েছে ঘণ্টার ওপরে। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা মিলছে না।
চিত্রটি (২৮ মার্চ) বুধবারের, মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের। হাসপাতালটির এমন চিত্র অবশ্য নতুন কিছু না। প্রায়ই বহির্বিভাগে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। হাসপাতালে এসে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রোগীদের নিত্যদিনের।

ওই বিভাগের এক নম্বর কক্ষে ডাক্তার অনুপকুমার বসুর সাক্ষাৎপ্রার্থী নারী-পুরুষসহ অন্তত দশ রোগী টিকেট জমা দিয়ে বসে আছেন। ডাক্তার চেম্বারে নেই। খবর নিতেই তার সহকারী বললেন, স্যার আছে, আসবে।
দুই নম্বর কক্ষের দরজা মুখোমুখি লাগানো। ভেতরে কেউ নেই। ওই কক্ষের বাইরের দেয়ালে ডা. আমিরুজ্জামান ও ডা. রাজিবকুমার পালের নামফলক রয়েছে।
চার নম্বর কক্ষের দরজা টানা। ভেতরে ডাক্তারের চেয়ার খালি। ওই কক্ষে বসেন ডাক্তার রেহেনেওয়াজ।
১৩ নম্বর কক্ষে রোগী দেখেন ডাক্তার জেসমিন সুমাইয়া। তার চেয়ারটাও খালি। ছয় নম্বর কক্ষে রোগী দেখেন একজন উপ-সহকারী। রুমে ফ্যান চলছে, তিনি নেই।
ডা. অনুপকুমার বসুকে দেখাবেন বলে তার কক্ষে বসে ছিলেন হেলাঞ্চি গ্রামের বৃদ্ধা হালিমা বেগম। তিনি বলেন, সকাল আটটার পরে আইছি। এখনো ডাক্তার পাইনি।
ওই ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে ছিলেন একই গ্রামের তানজিলা। তিনিও এসেছেন সাড়ে নয়টায়।
একই চিকিৎসকের অপেক্ষায় দুর্গাপুর গ্রামের বৃদ্ধ রোগী মাসুদ আলী। তিনিও ডাক্তার পাননি বলে জানালেন।
এদিকে, বহির্বিভাগে গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি চেম্বারে ঢোকেন ডা. অনুপ বসু ও ডা. জেসমিন সুমাইয়া। বাকিরা কেউ বহির্বিভাগে তাদের চেম্বারে আসেননি।

জানতে চাইলে ডাক্তার অনুপ বসু বলেন, ‘স্যারের রুমে মিটিংয়ে ছিলাম।’ ডা. জেসমিন সুমাইয়াও একই কাজে ছিলেন বলে জানান।
কর্মচারীরা জানালেন, ডাক্তার আমিরুজ্জামান জরুরি বিভাগে আছেন। তবে সেখানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবর্তে সেবা দিচ্ছেন একজন উপ-সহকারী। আর ডাক্তার রেহেনেওয়াজ দোতলায় ট্রেনিং করাচ্ছেন বলা হলো। তবে এদের কেউই আজ সকাল পৌনে দশটার আগে হাসপাতালে আসেননি বলে অপেক্ষমাণরা নিশ্চিত করেলেন। যদিও সকাল সাড়ে আটটায় তাদের কর্মস্থলে আসার কথা। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা আব্দুল গফ্ফার বলেন, ওদের নিয়ে মিটিং করছিলাম।

রোগীদের অপেক্ষায় রেখে মিটিং করা সঙ্গত কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ডিজি মহোদয় যশোর অঞ্চল ভিজিটে আছেন। কখন এখানে এসে পড়ে! তাই ওদের মোটিভেশন করছিলাম।
Quick Reply

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন

‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে

সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন

  • নড়াইলে শিশু মহিমা খুন ।। দাদা-দাদিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
  • নড়াইলে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন এসপি জসিম উদ্দিন
  • এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
  • তবু নড়াইলের দিপালী’র মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি! মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রত্যাশা
  • আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সুপ্রিম কোর্টে মিন্নি
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
  • নড়াইলে ইয়াবাসহ ইউএনও অফিসের সহায়ক গ্রেফতার
  • নড়াইলে ভাইস চেয়ারম্যানের জামিন ও রিমান্ড না মঞ্জুর
  • ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাগেরহাট জেলা…