বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

মণিরামপুরে ভিজিএফের গম বিতরণে অনিময়ের অভিযোগ

সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এবং পরিমাণে কম দিয়ে ভিজিএফের গম বিতরণের অভিযোগ উঠেছে মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টুর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার সরকারি ছুটির দিনে ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে সকালে তিনি গম বিতরণ শুরু করেন। সরকারি কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে জনপ্রতি তিন কেজি করে কম দিয়ে গম বিতরণের অভিযোগ করা হচ্ছে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

পরে ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবারে গম বিতরণের পর খবর পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বিতরণের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন চেয়ারম্যান। তবে হাতে সময় না থাকায় ট্যাগ অফিসারের অনুমতি নিয়েই গম বিতরণ শুরু করেছেন বলে দাবি চেয়ারম্যান মন্টুর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঝাঁপা ইউনিয়নের চার হাজার ৪২৮টি পরিবারের মধ্যে সোয়া ১৩ কেজি করে ভিজিএফের বরাদ্দ ৪৪ টন গম বিতরণের কথা ছিল ঈদের আগেই। গুদামে গমের সংকট থাকায় খুলনা থেকে গম এসে ইউনিয়নে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ঈদের ছুটির পরেই তা বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বুধবার গম বিতরণের কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান মন্টু মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়নের এক, দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডে গম বিতরণ শুরু করেন। চেয়ারম্যান জনপ্রতি ১৩ কেজির বদলে দশ কেজি করে গম বিতরণ করতে থাকলে ইউপি সদস্যসহ দুস্থদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা গণমাধ্যম কর্মীসহ উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। খরব পেয়ে পিআইও গম বিতরণ বন্ধ করে দেন।

ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘১৩ কেজি ২৭০ গ্রামের পরিবর্তে দশ কেজি করে গম বিতরণ হচ্ছে।’

টিকতে পারবেন না ভয়ে তার নাম প্রকাশ না করতে এই প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন তিনি। ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গম বিতরণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরিমাণে কম দেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মেম্বর নিজে কথা না বলে চেয়ারম্যানকে ফোন ধরিয়ে দেন।

চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, ‘৩০ জুনের মধ্যে গম বিতরণ শেষ করতে হবে। হাতে সময় না থাকায় ট্যাগ অফিসারের সাথে কথা বলে গম বিতরণ শুরু করা হয়।’
পরিমাণে কম দিচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নে সরাসরি উত্তর দেননি চেয়ারম্যান। বলেন, ‘আমি কখনো বালতি মেপে মাল দিই না। ওজন করে দিই।’
আগামীকাল বিতরণের সময় সরেজমিন দেখার আহ্বান করেন তিনি।

জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পারভেজ মোল্লা বলেন, ‘মেম্বরদের উপস্থিতিতে মাল বিতরণ করতে বলেছি।’

কম দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গরিবের মাল এভাবে মেরে খাওয়া লোকদের গুলি করে মারা উচিৎ বলে এই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
মণিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল হক বলেন, ‘সকালে খবর পাওয়ার পর ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে গম বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্যাগ অফিসার বাদে ও সরকারি ছুটির দিনে গম বিতরণের নিয়ম নেই।’
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অতুল মন্ডল বলেন, ‘এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা

বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন

ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত

যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

  • কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মিনা দিবস পালিত
  • কেশবপুরে মটরসাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
  • কেশবপুরে তৃণমূল সাংবাদিক দলের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা
  • কেশবপুরে জয় সাহাকে পুনরায় ক্রীড়া সংস্থার সা.সম্পাদক করার দাবী
  • ঝিকরগাছার বাঁকড়ায় আ.লীগের বর্ধিত সভা
  • শার্শার হাড়িখালি আমবাগান থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
  • কেশবপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই মহিলা চোরকে কারাদন্ড
  • কেশবপুর উপজেলা দলিত পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
  • কেশবপুরের ভাল্যুকঘর মাদরারাস নিয়ে এক প্রভাষক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত!
  • মারধর করায় বাচ্চা কোলে নিয়ে কেশবপুরে থানায় হনুমানের দল
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশমাছ ভারতে পাচারের সময় গ্রেফতার-২
  • বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে পত্রিকা প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছা