রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের উপর নির্মিত
‘ভাসমান সেতু’ দেখতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের উপর প্লাস্টিকের ড্রামের সাহায্যে ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ৫৯ জন যুবকের উদ্যোগে নির্মিত জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতুটি এখন ভ্রমণ পিপাশু মানুষের মনোরম বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে৷ উদ্বোধনের পর থেকেই প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকে নারী, পুরুষ, শিক্ষার্থীরা ও দর্শনার্থীরা এ সেতুটি এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন কপোতাক্ষ নদের অববাহিকা ঝাঁপা বাঁওড় পাড়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত অবধি৷
বিশেষ করে ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে যেন মিলন মেলায় পরিণত হয় সেখানে৷ ভাসমান সেতুকে ঘিরে বাঁওড়ের দুই পাশে গড়ে উঠেছে স্থায়ী, অস্থায়ী বিভিন্ন দোকান পাট৷ ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে বড় একটি আমবাগানে ও একটি শিশু বাগানে পিকনিক কর্ণার দর্শনার্থীদের জন্য৷ সেখানে নাগরদোলাও আনা হয়েছে৷ ব্রীজ দেখতে এসে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ভাড়া করে বাঁওড় ভ্রমণ করে বিনোদন উপভোগ করছে উৎসুক দর্শনার্থীরা৷ এই ধরনের ৪/৫টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে থাকে মাঝিরা৷ এব্যাপারে শুক্রবার বিকালে কথা হয়, ময়মনসিংহ থেকে ব্রীজ দেখতে আসা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিনা, নিপা ও অনন্যার সাথে, তারা বলেন, দেশের বৃহত্তম ভাসমান সেতুটি এক পলক দেখার খুব শক, তাই এতোদুর থেকে ছুটে এসেছি৷ কেশবপুর উপজেলার ওহিদুল ইসলামের সাথে, তিনি বলেন, এমন দৃশ্যমান সেতু দেখতে আগ্রহ জেগেছে৷ তাই দেরি না করে চলে আসছি পরিবার নিয়েই দর্শনীয় এই সেতু দেখতে এবং দেখে অনেক আনন্দ পেয়েছি৷ ঝাঁপা বাঁওড় তীরে এই আনন্দ উপভোগ করতে শুক্রবার সকালে হাজির হয়েছে ঢাকা থেকে একদল বাই সাইকেল ভ্রমণকিরি দল৷ তারা সারাদিন ব্রীজের উপর আনন্দ উপভোগ করেন৷
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারী যশোরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে এক হাজার ফুট লম্বা দেশের দীর্ঘতম এই ভাসমান সেতুটি উদ্বোধন করেন৷
উদ্যোক্তা আসাদুজ্জামান সেতুটিকে ‘দেশের দীর্ঘতম ভাসমান সেতু’ দাবি করে বলেন, পরিকল্পিত ভাবে সেতুটি তৈরি করতে ৮৩৯ টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮শ’ মণ লোহার পাত ও ২৫০ টি লোহার শিট ব্যবহার করা হয়েছে৷ সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে৷ বাঁওড়ের পানি কমে গেলেই সেতুর দুই পাশে নির্মান করা হবে দেড় শ’ ফুট করে এপ্রোস সংযোগ৷
রাজগঞ্জ বাজারে শীতকালিন সবজির দাম বৃদ্ধি, কিনতে হিমশিম খাচ্ছে অল্প আয়ের মানুষ
যশোরের রাজগঞ্জ বাজারে শীতকালীন সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এলাকার দরিদ্র মানুষেরা সবজি কিনতে চরম হিমশিম খাচ্ছে৷
বৃহস্পতিবার বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, শীতের ভরা মওসুমে বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা সকল প্রকার সবজির দাম আগুন হয়ে রয়েছে৷ তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে৷ বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ টাকায়৷ এছাড়া বাজারে শীতকালিন সবজি বেগুন, শিম, ফুলকপি, ওলকপি, টমেটো এবং মরিচ সহ অন্যান্য সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুন হয়েছে৷ বেগুন গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ছিলো ২৫ টাকা, বর্তমান ৪৫ টাকা, ফুলকপি প্রতিকেজি ২০ টাকা থেকে বর্তমান ৪০ টাকা, ওলকপি ২০ টাকা থেকে বর্তমান ৩০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, শিম ২০ টাকা থেকে বর্তমান ৩৫/৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা থেকে বর্তমান ৮০ টাকা, আলু নতুন ২৫ টাকা, পুরাতন ১৮ টাকা, ডাটা প্রতিকেজি ২৫ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ১৫/২০ টাকা, পটল প্রতিকেজি ৬০ টাকা, মেটে আলু প্রতিকেজি ৪০ টাকা, পুঁইশাক প্রতিকেজি ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকা, মেচুড়ী প্রতিকেজি ৪০ টাকা, বাধাঁ কপি ১২ টাকা প্রতিকেজি, গাজর প্রতিকেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মূলা, পালংশাক, লাল শাক, সবুজশাক ও লাউয়ের মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে৷
এদিকে, বর্তমান বাজারে সবজির মূল্য নিয়ে চিন্তিত অল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের৷ তারা সারাদিন কাজ করে যে টাকা আয় করে তা দিয়ে চাল, তেল কিনে সবজির বাজারে যেয়ে চাহিদা মতো কিনতে পারছে না বললেন অনেকেই৷ অল্প আয়ের মানুষের দাবি, এখন শীতকাল সবজির দাম থাকবে সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে৷ কিন্তু এখন প্রত্যেক সবজির দাম ডবল৷ বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকারি বেসরকারি চাকরীজিবিদের জন্য কোন অসুবিধা না হলেও চরম হতাশায় রয়েছে খেটে মানুষেরা৷
খুচরা সবজি বিক্রেতা মফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে সবজি কেনা পড়ছে৷ যে ভাবে কিনছি, সেই ভাবেই বিক্রি করছি৷ তবে অন্য বছরের তুলনায় এবছর শীতকালিন সবজির দাম একটু বেশি৷ একথা মানতে নারাজ রাজগঞ্জ বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসা খেতোয়াল রাজগঞ্জের শাহপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন, তিনি বলেন, বর্তমান চাষ কাজে লাভ করা খুব কঠিন ব্যাপার৷ বাজারে সবজির দাম পাচ্ছি ভালোই৷ কিন্তু খচরও তো কম নয়৷ এখন শ্রমিকের দাম, সার, কীটনাশকের দাম অনেক বেশি৷ সেই তুলনাই লাভ কম৷
এদিকে কৃষকদের কথা বিশ্বাস করতে চাইছেনা রাজগঞ্জ বাজারে সবজি কিনতে আসা শ্রমজীবি খেটে খাওয়া অল্প আয়ের মানুষেরা৷ তাদের দাবি, কৃষক এবং ব্যাবসায়ী উভয়মিলে বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ি৷ এজন্য বর্তমান সফল আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে৷
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন