শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

ভারতে বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে তোলপাড়

আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার সিনিয়র এক কর্মীকে পুলিশ মাঝরাতে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলার ঘটনা নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে ভারতে। ওই ব্যক্তি নাকি দু’জন পুলিশ-কর্মীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে তাদের মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন, তাই আত্ম-রক্ষার্থে গুলি চালায়- এমনটাই বলা হয়েছিল প্রথমে।

সেই সূত্রেই এমন এক তথ্য সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে গত ২০ বছরে এক হাজারেরও বেশি মানুষ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধ বা এনকাউন্টারে মারা গেছেন। এনকাউন্টারে মৃত্যুর ভারতব্যাপী পরিসংখ্যান প্রায় তিন হাজার।

মানবাধিকার কর্মী আর আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু আসলে বিচার-বহির্ভূত হত্যা। উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌতে কয়েক দিন আগে পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন অ্যাপেল স্টোরের ম্যানেজার বিবেক তিওয়ারী।
তার বিধবা স্ত্রী কল্পনা তিওয়ারী প্রশ্ন তুলেছিলেন, পুলিশ বলেছিল গাড়ি থামাতে, তা-ও যদি সে না থামিয়ে থাকে, গ্রেফতার করা হল না কেন! যে নারীর সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় ছিল বলে সন্দেহ করেছিল পুলিশ, তিনি আমার স্বামীর সহকর্মী। রাত হয়ে যাওয়ায় তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। যদি মেনেও নিই সে অনৈতিক কিছু করছিল, সেটা কি সরাসরি বুকে গুলি চালানোর মতো অপরাধ?

পুলিশ পরে অবশ্য স্বীকার করেছে, যে পুলিশ সদস্য গুলি চালিয়েছিলেন। তার পিস্তলটিও বেআইনি ছিল।
এই ঘটনাটা নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়েছে, কিন্তু ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, গত ২০ বছরে শুধু ওই উত্তরপ্রদেশ রাজ্যেই এক হাজারেরও বেশি মানুষ এনকাউন্টারে মারা গেছেন।
সারা দেশে যত মানুষ বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন, তার ৩৪ শতাংশই ওই একটা রাজ্যে। মানবাধিকার সংগঠন রাইটস এন্ড রিস্কস অ্যানালিসিস গ্রুপ বলছে, বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৯৯৮-৯৯ সালে ৮৫টি কথিত এনকাউন্টার মৃত্যু হয়েছিল, ২০১৭-১৮ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৫৫-তে।
রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালিসিস গ্রুপের পরিচালক সুহাস চাকমা বলেছেন, এই ঘটনাগুলো প্রায় সবই বিচার বহির্ভূত হত্যা।

‘পুলিশ সব সময় বলে থাকে ওদের ওপরে হামলা করার পরেই নাকি তারা একমাত্র গুলি চালায়। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। শুধু উত্তরপ্রদেশের কথাই যদি ধরা যায়, সেখানে তো কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ নেই, তাহলে কারা পুলিশকে আক্রমণ করছে? এটা যদি কাশ্মীর হতো বা উত্তরপূর্বাঞ্চল হতো বা মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা হত, একটা যুক্তি থাকত। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে কেন সবচেয়ে বেশি এনকাউন্টার হবে?

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে যে পরিসংখ্যান জমা পড়েছে, সেটাও যে সম্পূর্ণ নয়, তা বোঝাই যায়, কারণ ২০ বছরে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে মাত্র দশজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, আবার দিল্লিতে ৬৪টি মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যার বিচারে কাশ্মীরের পরই আসামের স্থান।
কলকাতার ন্যশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিকাল সায়েন্সের অধ্যাপক সরফরাজ আহমেদ খান বলছিলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে পুলিশকে গুলি চালানোর অধিকার দিয়েছে আইন। বন্দুকযুদ্ধ বলে পৃথক কোনও শব্দ নেই। তবে দুটোভাবে এর স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে আইন অনুযায়ী।

প্রথমত, পুলিশের ওপরে যদি কোনও দুষ্কৃতি গুলি চালায়, এবং সেই আক্রমণের ফলে পুলিশের মৃত্যু হতে পারে, তাহলে আত্ম-রক্ষার্থে গুলি চালানো যায়। দ্বিতীয়ত আইন বলে দিয়েছে পুলিশ কোন কোন ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করতে পারবে। সেখানেও কিন্তু প্রতিপক্ষ কীভাবে আক্রমণ করছে, তার ওপরেই কিন্তু নির্ভর করছে পুলিশ কতটা বলপ্রয়োগ করবে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এনকাউন্টারে মৃত্যুর তদন্ত হয়তো শুরু হয়, কিন্তু নিহতের পরিবার সুষ্ঠু বিচার পায় না। সুহাস চাকমার কথায়, বিচার বা তদন্তের ক্ষেত্রে প্রথম যেটা প্রয়োজন, তা হল সাক্ষী। কিন্তু সেটাই পাওয়া যায় না।
‘এমন সময়ে প্রায় প্রতিটি এনকাউন্টার হয়, বা যে জায়গায় হয়, সেখানে কোন সাক্ষীই থাকে না। উত্তরপ্রদেশের কথাই যদি ধরি, অনেকগুলো তথাকথিত এনকাউন্টার হয়েছে ভোর চারটে থেকে ছটার মধ্যে। চারপাশে কোনো সাক্ষী নেই। পুলিশই সাক্ষ্য দেয়। তাহলে ন্যায় বিচার কীভাবে আশা করবেন আপনি?’ প্রশ্ন চাকমার।

সরফরাজ আহমদ খান বলছেন, একদিকে শক্তিশালী রাষ্ট্র-যন্ত্রেরই একটা অংশ হত্যা করছে, আবার তাদেরই অন্য একটি অংশ সঠিক তদন্ত করবে, এটা কি আশা করা যায়?

হত্যার অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সে তো রাষ্ট্র-যন্ত্রের অংশ। আবার তদন্তকারীও পুলিশ অফিসার, বিচারের ক্ষেত্রেও সরকারী উকিল – তিনিও রাষ্ট্রের অংশ। উল্টোদিকে নিহতের পরিবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রান্তিক মানুষজন। রাষ্ট্রের সঙ্গে তো অসম লড়াই লড়তে হচ্ছে তাকে, বলছিলেন খান।

বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু এবং তার সুষ্ঠু বিচার প্রসঙ্গে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে পুলিশ সব সময়ে একটাই যুক্তি দিয়ে থাকে, যে নিহতরা হঠাৎ করে পুলিশকে আক্রমণ করেছিল অথবা তারা পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল, সেজন্যই গুলি চালাতে হয়েছে। কিন্তু তাই যদি হবে, তাহলে কখন কোথায় বন্দুকযুদ্ধ হবে, সেটা আগে থেকেই জেনে গিয়ে কী করে সংবাদ মাধ্যমকে খবর দিয়ে দেয় পুলিশ?

একই রকম সংবাদ সমূহ

পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু

পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা

ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন

  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে চীন
  • ৩য় বারের মতো কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্ততার প্রস্তাব ট্রাম্পের
  • এক রাজার ১০০ স্ত্রী ও ৫০০ সন্তান! (ভিডিও)
  • মুখে মাকড়সা চড়লে ‘রিল্যাক্স’ অনুভূত হয় এই নারীর! (ভিডিও)
  • পানির নিচে বিয়ের প্রস্তাব দিতে গিয়ে মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু
  • মাথায় ৪ ইঞ্চি লম্বা শিং নিয়ে হাসপাতালে বৃদ্ধ!
  • ১৩০টির বেশি দেশ ঘুরে বেড়ানো এক অন্ধ পর্যটকের গল্প
  • হেলমেট ঢোকেনি মাথায়, জরিমানা নিতে ব্যর্থ ট্রাফিক পুলিশ!
  • ৪ বছর প্রেম শেষে ৩০০ বছর বয়সী ভূতকে বিয়ে! (ভিডিও)
  • ছাগল চুরির ৪১ বছর পর ধরা পড়ল চোর!
  • যে গ্রামে প্রতিটা বাড়িই দরজাহীন, ব্যাংকে নেই তালা!