ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনকে ‘রাইসিনা হিলস’ বলা হয় কেন?
পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বীরভূম থেকে রাইসিনা হিলসে পৌঁছাতে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সময় লেগেছিল প্রায় পঞ্চাশ বছর। সেখানে তার প্রায় অর্ধেক সময়েই কানপুর থেকে রাইসিনা হিলসে পৌঁছে গেলেন রামনাথ কোবিন্দ। ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন তিনি।
তবে এই মুহূর্তে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের বিস্তারের সাক্ষী রাষ্ট্রপতি ভবনটি। ভারত স্বাধীন হওয়ার পূর্বে এই ভবনকে বলা হত ভাইসরয় হাউস। কিন্তু কেন এই ভবনকে ‘রাইসিনা হিলস’ বলা হয় কিংবা এই ইতিহাসই বা কী? সে সম্পর্কে জানতে এই ভবনের সঙ্গে জড়িত বিশেষ কিছু তথ্য রইল আপনার জন্য-
১) ইতালির কিউরেনল প্যালেসের পরে বিশ্বের সবথেকে বড় বাসভবন এই রাষ্ট্রপতি ভবন। এই ভবন তৈরি হতে ১৭বছর সময় লেগেছিল। ১৯১২সালে এর নির্মাণকার্য শুরু হয়েছিল। ১৯২৯সালে এটি ব্রিটিশ সরকারের হাতে সমর্পণ করে দেওয়া হয়। প্রায় ২৯ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর সাহায্যে তৈরি হয়েছিল এই বিশাল বাসস্থান।
২) এই ভবনে ৩০০টি কক্ষ রয়েছে।
৩) এখানে ৭৫০ জন কর্মচারী কাজ করে। ৫০ জন রান্নার কাজ করে। বিশ্বের যেকোনো ধরনের পদ তৈরি করতে দক্ষ এই রাঁধুনিরা।
৪) এই বাসভবন তৈরি করতে গিয়ে মালচ গ্রামের রায়সিনি পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। এলাকা ছিল পাহাড়ি। তাই রাষ্ট্রপতি ভবনকে রাইসিনা হিলস্ ও বলা হয়ে থাকে। এর নির্মাণের সময় আর্কিটেক্ট এডিয়ন ল্যান্ডসির-এর সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। তিনিই এর নকশা তৈরি করেছিলেন।
৫) স্বাধীনতার আগে ভাইসরয় এখানেই থাকতেন।
৬) রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যে মুঘল গার্ডেন কে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জনসাধারণের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক আসেন এই বাগানের শোভা উপভোগ করতে।
৭) এছাড়াও এখানে অনেক বাগানও রয়েছে। যার মধ্যে গোলাকৃতি বাগান সবথেকে উল্লেখযোগ্য।
৮) রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েত হলে ১০৪ জন অতিথির একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিদের ছবি এই হলে রয়েছে।
৯) রাষ্ট্রপতি ভবনের এক সংগ্রহশালায় একটি রুপার চেয়ার রয়েছে, যার ওজন ৬৪০ কিলোগ্রাম। ১৯১১ সালে দিল্লি দরবারে পঞ্চম জর্জ এই চেয়ারে বসেছিলেন বলে জানা যায়।
১০) রাষ্ট্রপতি ভবনের অশোক হলে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হয়। দেশ বিদেশের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের ছবি দিয়ে সজ্জিত এই হল।
১১) প্রতি শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ৩০ মিনিটের জন্য চেঞ্জ অব গার্ড-এর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এটি দেখার জন্য শুধুমাত্র নিজের ছবিসহ পরিচয়পত্র দেখাতে হয়।
১২) রাষ্ট্রপতি ভবনে শিশুদের জন্য ২টি গ্যালারি রয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন