বেনাপোলে মাদকের ছড়াছড়ি পুুলিশ নিরব
বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন এলাকয় মাদক ব্যবসায়িরা মাদক ব্যবসা শুরু করেছে । এতেকরে মাদক সেবনে ঝুকে পড়েছে এলাকার উঠতি বয়সের যুবক সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
সম্প্রতি সরকারের পুলিশ বিভাগ থেকে মাদক একেবারেই নির্মুল করার জন্য বিভিন্ন কর্মসুচি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ করেছে । এ ছাড়াও শার্শা বেনাপোল থেকে বাস ভর্তি করে মাদক ব্যবসায়িদের নিয়ে যশোরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে বিশাল এক সেমিনারে আত্মসমর্পন করানো হয়েছে। কিন্তু মাত্র কয়েকদিন এরা এলাকায় এসে চুপচাপ থেকে আবার ও বিভিন্ন কৌশলে আবারো মাদক ব্যাবসা শুরু করেছে।
মাদক ব্যবসা সহ একাধিক মামলার আসামি বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় গ্রামের বাবা কালু পরিবারকে বেনাপোলে মাদক সম্রাট পরিবার বলে সবাই জানে। সেই লেটা কালুর স্ত্রী হনুফা খাতুন আবার ও এলাকায় মদ, গাজা, হেরোইন, ইযাবা সহ বিভিন্ন নেশাজাতিয় দ্রব্য বিক্রির কাজে তৎপর রয়েছে বলে এলাকার এক ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ।
এ ছাড়া বেনাপোলের মাদক ব্যাবসার স্বর্গরাজ্য ভবারবেড় ব্লাক পাড়া ও দিঘিড় পাড়, বারোপোতা বাজার, পুটখালী, দৌলতপুর ও সাদিপুরে হাজিরা খাতুন এবং মরিয়ম নামে দুজন মাদক ব্যাবসায়ী মদ, ফেন্সি,হেরোইন ও গাজা বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও সেখানকার কিছু মহিলা ও পুরুষ এ পেশার সাথে যুগ যুগ ধরে যুক্ত। তারা যশোর থেকে আত্মসমর্পন করে আসার পর কিছুদিন থমকে থাকলে ও আবার এ মাদকের ব্যাবসা তারা শুরু করেছে নতুন করে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন সহ আশে পাশে বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরনের মদ পাওয়ায় নেশার দিকে ঝুকে পড়েছে স্কুল কলেজ গামি ছেলেরা। অনেকে মাদক সেবনকে বিলাসিতা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি ও শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকুল হোসাইন বলেন আজ মাদক বেনাপোল শার্শা দিয়ে এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, অনেক ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্র্মীরা এটা সেবন করতে দ্বিধাবোধ করছে না। তিনি বলেন সত্যি আমি খুব উদ্দিগ্ন , আজ যুবসমাজের অবক্ষয় মাদক যে ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে তাতে সমাজটা আস্তে আস্তে ধ্ববংস হতে চলেছে। যারা মাদক বিক্রি করছে তারা ও কোন না কোন নেতার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এলাকার একটি সুত্র জানায় দিঘিরপাড় এলাকার সুফিয়া, সাহিদা ভবারবেড় গ্রামের পারুল, পারভিন এ পেশা থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। তারা আত্মসমর্পনের পর থেকে এখন নতুন কৌশলে মাদক ব্যাবসা করছে। এরা ঘরের পাশে কোন গাছের নিচে মাদক রেখে আসছে আর ক্রেতাদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে তাদের বলে দেয় ওখানে রাখা আছে নিয়ে যাও। নিজের গাঁ বাচানোর জন্য প্রশাসনের লোকের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে এ কৌশল অবলম্বন করছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে মাদক ব্যাবসায়িদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি তদন্ত ফিরোজের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন কোন মাদক ব্যাবসায়ি এবং মাদক ব্যাবসায়িদের গডফাদারের সাথে আপোস নেই আমাদের। যেখানে মাদক সেখানে সাথে সাথে অভিযান চালানো হবে। তিনি পুিলশকে মাদক ব্যাবসায়িদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য পরমর্শ দেন।
এলাকার একটি সুত্র জানায় বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি ও দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমানে ফেনসিডিল আসে বাংলাদেশে। সাদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আনাহয় হেরোইন ও মদ। ঘিবা রগুনাথপুর সীমান্ত দিয়ে আসে শত শত কেজি গাজার বস্তা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার তদন্ত ওসি ফিরোজ জানান, মনে হয় বাংলাদেশে ফেনসিডিলের চাহিদা এত বেশী যে সীমান্তে বিজিবির কড়া প্রহরা সত্বে ও চোরাকারবারিা ভারত থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে সহজে। তিনি বলেন আমরা ও ধরছি। তবে মাদক ব্যবসায়িরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। তিনি আরো বলেন আগের থেকে অনেক কম আসছে মাদক। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি মাদক সম্পুর্ন রুপে নির্মুল করার জন্য।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
সেই ৩৫ বস্তা টাকা জ্বালানী বানালেন স্থানীয়রা
বগুড়ার শাহজাহানপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া বস্তা ভর্তি কুচি কুচি করাবিস্তারিত পড়ুন
টাকার স্তূপ নিয়ে হুলুস্থুল, যুবকের কাণ্ড মুহূর্তে ভাইরাল
বগুড়ার শাজাহানপুরের জালশুকা এলাকার খাউড়া ব্রিজের পূর্ব দিকের সড়ক ওবিস্তারিত পড়ুন
বগুড়ায় রাস্তার পাশে ৩৫ বস্তা ছেঁড়া টাকা!
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা গ্রামের খাওড়া ব্রিজের কাছ থেকে ৩৫বিস্তারিত পড়ুন