বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন।’
রবিবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, গত শুক্রবারও জার্মানির মিউনিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রমাণ হলে খালেদা জিয়ার শাস্তি হবে। সেখানে তিনি আরও বলেন,জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ চলমান বিচারাধীন মামলাগুলো ১/১১ এর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা। কিন্তু বাস্তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাসহ বেশির ভাগ মামলা করা হয়েছে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ব্যবহার করে এসব মামলার চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে তাদের আমলে। এমনকি যে মামলাগুলো ১/১১ সরকারের সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত ছিল সেই মামলাগুলোও তারা পুণরায় চালু করেছে। অথচ একই মামলাগুলোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীরও নাম ছিল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ১/১১ এর সরকার যতগুলো মামলা দিয়েছিল তার তিনগুণ মামলা দায়ের করা হয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি ১৫টি মামলা মাথায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। সেই মামলাগুলি হাওয়ায় উড়ে গেল কীভাবে? প্রধানমন্ত্রী তো আইন মোকাবিলা করে মামলামুক্ত হননি।’
বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সেই সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির অনেক মামলাতেই স্বয়ং তার ভাই এবং তার দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক যেসব বক্তব্য দিয়েছিলেন তা দেশবাসী ভুলে যাননি। এর চেয়ে বড় সাক্ষী আর কী হতে পারে? কিন্তু ক্ষমতাসীন হয়েই শেখ হাসিনার মামলাগুলো প্রত্যাহার হয়ে গেল কিভাবে? ক্ষমতায় থাকলে যে নিজের মামলা তুলে নেওয়া যায় এবং অন্যের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যায়, তার উজ্জল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু তাকে হয়রানি করতেই মামলাগুলো চালু রাখা হয়েছ।’
রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে সুস্পষ্টভাবে আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করার সামিল। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন আইন, বিচার, প্রশাসন সবকিছুই তার করায়ত্বে। সেজন্য মামলা ও শাস্তি দেওয়া তার ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করে। তিনি নির্ধারণ করে দিয়েছেন বিরোধী দল হলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালানো মোদি’র তা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ডবিস্তারিত পড়ুন
ছাত্রদলের কাউন্সিল: ৮ভোটে হেরে গেলেন কেশবপুরের সেই শ্রাবণ
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোটে হেরে গেছেনবিস্তারিত পড়ুন
ছাত্রদলের নতুন সভাপতি খোকন, সম্পাদক শ্যামল
কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব পেল বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল।বিস্তারিত পড়ুন