বাংলাদেশের জলবায়ু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ!
বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে ।
ক্লাইমেট চেঞ্জ: এক্টিভিটস অব সিলেকটেড এজেন্সি টু অ্যাড্রেস পোটেনশিয়াল ইমপ্যাক্ট অন গ্লোবাল মাইগ্রেশন শীর্ষক ওই প্রতিবেদন গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন: বৈশ্বিক অভিবাসনের সম্ভাব্য প্রভাব চিহ্নিতকরণে সুনির্দিষ্ট কিছু সংস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনটিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের অভিবাসন ব্যবস্থায় কী প্রভাব ফেলছে, তা তুলে ধরা হয়েছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন।২০১৬ সালে তার প্রচেষ্টায় তৈরি হয় ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি’ নামে প্রেসিডেন্টশিয়াল মেমোরেন্ডাম।
মেমোরেন্ডামের আলোকেই মার্কিন ফেডরেল ডিপার্টমেন্ট ও এজেন্সিগুলোকে সারাবিশ্বে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকাশ করা হয় সাম্প্রতিক ওই প্রতিবেদন।
পরি যাওয়া অভিবাসন বাস্তবতার প্রভাব শনাক্তে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন ভূমিকার পর্যালোচনা করা হয়েছে মার্কিন ওই জলবায়ুর প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও মোকাবেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গ।
বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন, শিল্পবিপ্লব পরবর্তী যুগে উন্নত দেশগুলোর মাত্রাতিরিক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৈশ্বিক উষ্ণতার মাত্রাকে ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে গলছে উত্তর মেরুর হিমবাহের বরফ, উত্তপ্ত হচ্ছে সমুদ্র, বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক ঋতুচক্র।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিবাসন এখন বেঁচে থাকার সাধারণ কৌশল। অনেক কৃষক এখন লবণাক্ত পানির প্রভাবে নিজেদের চাষাবাদের কৌশল পাল্টেছেন।
কেউ এখন লবণ সহিষ্ণু ধান উৎপাদন করছেন, আবার কেউ ফসল ফলানো বাদ দিয়ে চিংড়ি চাষ শুরু করেছেন। আর অনেকে গ্রাম ছেড়েছেন।
জীবিকার আশায় পাড়ি জমিয়েছেন শহরে। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট আর সাসেস্ক সেন্টার ফর মাইগ্রেশন রিসার্চ নামের দুই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিবাসনের এই ধারা ভবিষ্যতে আরও তীব্র হতে পারে।
ক্লাইমেট চেঞ্জ রিলেটেড মাইগ্রেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৯৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবেন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অভিবাসী বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা ডেকে আনতে পারে। আইপিসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর প্রভাব বাংলাদেশে প্রায় ১৫ শতাংশ দারিদ্র্য বাড়াতে পারে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন