বছর বছর ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে মুক্তি দেবে নতুন এক ভ্যাক্সিন
নিউজ ডেস্ক : একটি ভ্যাক্সিনের প্যাটেন্ট রেজিস্টার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই ভ্যাক্সিনের প্রয়োগে সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে দূরে থাকা যায়।
এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার তেমন কোনো কার্যকর উপায় নেই। এতদিন ধরে বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, ঠাণ্ডা-সর্দিতে কেবলমাত্র বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খেতে হবে।
মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ রুডল্ফ ভ্যালেন্টা রাইনোভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিলেন। এই জীবাণুর কারণেই গলায় চুলকায় আর নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে। সাধারণ সর্দিকে সহজে দূরে রাখা যায় না। এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধী ব্যবস্থাও নেই। কারণ এই ভাইরাসের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে।
প্রফেসর ভ্যালেন্ট জানান, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে সহজাতভাবেই ভাইরাসের কেন্দ্রে আঘাত হানে প্রতিরোধীব্যবস্থা। কিন্তু এটা খুব বেশি কার্যকর পন্থা নয়। কিন্তু এই ভ্যাক্সিন ভাইরাসের শেল টার্গেট করে। এর মাধ্যমেই ভাইরাস আপনার মুখের মিউকাস মেমব্রেন, গলা, নাসারন্দ্র এবং পাকস্থলীতে সংক্রমণ ঘটায়।
প্রফেসর আরো বলেন, আমরা রাইনোভাইরাসের শেল নমুনা হিসাবে জোগাড় করেছি। এতে যোগ করা হয়েছে বহনকারী প্রোটিন। জীবাণুর প্রতিক্রিয়া দেখতে এটা পুরনো একটি পদ্ধতি।
এই ভ্যাক্সিনটি রাইনোভাইরাসের বাইরের অংশকে সুষ্ঠুভাবে শনাক্তকরণ ও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন ধরনের রাইনোভাইরাসের বাইরের অংশ প্রায় একই ধরনের হয়ে থাকে।
ঠাণ্ড-সর্দি হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করলে কিংবা আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে। আক্রান্তের হাঁচি বা কাশি থেকে অন্যদের মাঝে ছড়ায়।
প্রফেসর ভ্যালেন্টা জানান, এই ভ্যাক্সিন রাইনোভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে ৬-৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। যে প্রোটিন তৈরি করা হয়েছে তার ব্যবহারে দারুণ ফলাফল মিলেছে। ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে দূরে থাকতে এই ভ্যাক্সিনটি শতভাগ কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদি নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা চালানো যায়, খুব দ্রুত এর ব্যবহার শুরু করতে পারবে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। তা ছাড়া এটা মোটেও খরচবহুল হবে না।
ইউনিভার্সিটি অব নটিংহামের মলিকিউলার ভাইরোলজি বিভাগের প্রফেসর জোনাথন বলেন, বিশেষজ্ঞরা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ভ্যাক্সিনটি মানুষকে বহুদিন ধরে ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে দূরে রাখবে। রাইনোভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে রীতিমতো বিখ্যাত এক ভাইরাস। সারাজীবন এটা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়ে আসছে। কিন্তু একে থামানোর কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনো মেলে নাই।
একটি ভ্যাক্সিন দেহের জন্য শতভাগ কার্যকর কিনা তা বুঝতে শতাধিক ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আর এ কাজটি বেশ কঠিন। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরেরবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন
ভালোবাসার সুড়ঙ্গ রহস্য (ভিডিও)
প্রকৃতি অপার রহস্যের ভান্ডার। তাই সে মাঝে মাঝেই আমাদের চমকেবিস্তারিত পড়ুন