প্রতিদিনের যে অভ্যাসগুলো আপনার দাঁত ধ্বংস করছে!
প্রতিটি মানুষেরই নানা রকম বদঅভ্যাস আছে। ধুমপান বা নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণই শুধু নয়, দাঁত দিয়ে পেন্সিল কামড়ানো, কিংবা যেকোনো জিনিস দিয়ে দাঁত খোঁচানো, কামড়ে বরফ খাওয়া-ইত্যদিও মারাত্মক বদঅভ্যাস। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। কিন্তু এই অভ্যাসগুলো আপনার অজান্তেই আপনার মুখের স্বাস্থ্যের ও দাঁতের ক্ষতি করছে।
জেনে নিন এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কেঃ
১. টুথপিক ব্যবহার করা
দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকা খুবই অস্বস্তিকর হয় বলে এর থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য অনেকেই টুথপিক ব্যবহার করেন। যদি আপনার দাঁতে ছিদ্র থাকে তাহলে তা ঠিক করার ব্যবস্থা করুন। টুথপিক ব্যবহার করলে দাঁতের এই ছিদ্রে ইনফেকশন হতে পারে বা ছিদ্রটি আরো বড় হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ব্যথা আরো বৃদ্ধি পায়। তাই টুথপিক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে দাঁতের ভেতর আটকে থাকা খাবার বের করার জন্য ফ্লস বা ব্রাশ ব্যবহার করুন।
২. রাতে দাঁত ব্রাশ না করা
দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার একটি সহজ উপায় হচ্ছে রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা। প্রতি ১২ ঘন্টা পর পরই ব্যাকটেরিয়ার অ্যাটাক হয় মুখে। যার ফলে দাঁত ক্ষয় হয়। এই অবস্থাকে প্রতিহত করার জন্যই সকালে ও রাতে ব্রাশ করা জরুরী। কোন অবস্থাতেই রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করতে ভুলে যাবেন না।
৩. দাঁতের স্ক্রাবিং করা
দাঁত মাজার সময় খুব বেশী চাপ দিয়ে ব্রাশ করা উচিৎ নয়। এতে দাঁতের ও মাড়ির ক্ষতি হতে পারে। খুব বেশী ঘষাঘষি করলে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। তাই ব্রাশ করুন গ্লাস পরিষ্কার করার মতোই মধ্যম চাপে।
৪. শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করা
শক্ত বা মাঝারি শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে দাঁতের মাড়ি ও মুখের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। টুথব্রাশের ব্রিসল নরম হলে দাঁতের ফাঁকে প্রবেশ করে এবং খুব সহজেই বাঁকানো যায় বলে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করা যায়। তাই শক্ত ব্রাশের পরিবর্তে নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৫. ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা
দাঁতের ব্যথার প্রাথমিক লক্ষণকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যখন আর সহ্য করা সম্ভব হয়না তখন বেশিরভাগ মানুষই পেইন কিলার সেবন করেন। এতে হয়তো তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যথা কমে যায় কিন্তু আসল সমস্যার সমাধান হয়না। অল্প ব্যথা থাকতেই আপনি যদি দন্ত চিকিৎসকের কাছে যান তাহলে হয়তো দাঁত পরিষ্কার (স্কেলিং) করলেই এই ব্যথা থেকে মুক্ত হতে পারেন। কিন্তু এই ব্যথা দীর্ঘদিন পুষে রাখলে দাঁতের আরো বেশী ক্ষতি হতে পারে এবং চিকিৎসার খরচের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
৬. কিছু ঘরোয়া নিরাময় পদ্ধতি:
কিছু ঘরোয়া রোগ নিরাময় পদ্ধতি দাঁতের সমস্যার ক্ষেত্রে উপকারী হলেও কিছু আবার দাঁতের ক্ষতিও করতে পারে। যেমন- অ্যাসপিরিন বা অন্য কোন ব্যথানাশক গুঁড়ো করে দাঁতের ফাঁকে ব্যবহার করলে পুড়ে যেতে পারে। তেমনি লবঙ্গের তেল উপকারী প্রতিকার হলেও লবঙ্গ ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এর সূক্ষ্ম প্রান্ত থাকে যার দ্বারা গালে ব্যথা পেতে পারেন।
এছাড়া দাঁত কিড়মিড় করা, দাঁত দিয়ে শক্ত কৌটার মুখ খোলার চেষ্টা করা, চকলেট বা ক্যান্ডি খাওয়ার পরে কুলকুচি না করা, দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানো ইত্যাদি কারণেও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরেরবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক
কলারোয়ায় উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে পুষ্টি বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন
ভালোবাসার সুড়ঙ্গ রহস্য (ভিডিও)
প্রকৃতি অপার রহস্যের ভান্ডার। তাই সে মাঝে মাঝেই আমাদের চমকেবিস্তারিত পড়ুন