পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ১৩০নং দক্ষিন পূর্ব বাদুরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কর্মকান্ড নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও সচেতন অভিভাবকগন বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও করেছেন। এবিষয়ে গত ৮ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্য (পিরোজপুর-৩), বরিশাল বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, দুদকের বিভাগীয় উপ-পরিচালক, পিরোজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার, মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারি শিক্ষা অফিসারের নিকট বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতালেব হোসেন মাস্টার শতাধিক অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান (ইউনুছ মুন্সী) এর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় বিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌছেছে। প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। যদিও সপ্তাহে ২/১ দিন আসেন তাও আবার ১টার মধ্যে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। বিদ্যালয়ে ৫জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অন্য বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের স্লিপের টাকার কোন উন্নয়নমূলক কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেন। টিআর এর টাকা, ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়- বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে তোয়াক্কা না করে নিজের মনগড়া ও বিধি বহির্ভুতভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন মিজানুর রহমান। বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক খরচের কোন হিসাব কমিটিকে অবহিত না করে স্থানীয় শিক্ষা অফিসারদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত প্রধান শিক্ষক এ অনিয়ম চালিয়ে আসছেন।
২০১৮ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কতৃক প্রদত্ত স্লিপের ৪০ হাজার টাকার কোন কাজ না করে এবং শিশু শ্রেনীর উপকরণ ক্রয় বাবদ ৫ হাজার টাকা খরচ না করে আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
২০১৯ অর্থ বছরের প্রাক- প্রাথমিকের জন্য বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা, ভোট কেন্দ্র সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, স্লিপের ৫০ হাজার টাকা,রুটিন মেইনটেনেন্স এর ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসায় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যথাযথভাবে কাজ সম্পন্ন করার জন্য মিটিং ডেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করতে বলা হলেও প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান তাতে কর্নপাত না করে স্বেচ্ছাচারি মনোভাব নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে সরকার বিরোধী কাজে লিপ্ত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সহকারি শিক্ষা অফিসার ইউনুস আলী জানান, “কিছু কিছু প্রধান শিক্ষক অনিয়ম করেন এটা সত্য। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমরা প্রধান শিক্ষকদের কাছে অসহায়। তাদের অনিয়ম ধরলে উল্টো তারা আমাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন- ‘দেখতেছি’।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতালেব হোসেন মাস্টার জানান, “উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ কৌশলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। তিনি দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকদের প্রশ্রয় দিয়ে অনিয়ম ও সরকারি টাকা আত্মসাতের সুযোগ করে দিচ্ছেন। এছাড়া শিক্ষা অফিসারের কর্মকান্ড সন্দেহজনক। সরকারের গোয়োন্দা সংস্থাগুলোর খতিয়ে দেখা উচিত।”
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন