ডেরায় গোপন সুরঙ্গ ও বিস্ফোরক কারখানা
পানির নিচে যৌন প্রাসাদ! : ‘বাবা’র কীর্তি দেখলে চমকে যাবেন
গুরমিত রাম রহিম সিংহ। আপাতত নামই যথেষ্ট।
এক ডাকেই ‘রকস্টার বাবা’কে এখন সকলে চেনেন। তার কীর্তিকলাপ সম্বন্ধেও ধারণা রয়েছে অনেকের। বাবার ফিল্মি ক্যারিয়ারও নেহাত খারাপ নয়। কিন্তু সে সব ছবিতে বাবা এমন কিছু কাণ্ড করেছেন, ঠান্ডা মাথায় ভাবলে বুঝবেন তা নেহাতই অসম্ভব। বাবার তেমনই পাঁচ অদ্ভুত কীর্তি।
১. জমকালো স্টেজ। সামনে অগণিত দর্শক। থুড়ি, ভক্ত বলাই ভালো। স্টেজে দাঁড়িয়ে স্বয়ং বাবা রাম রহিম সিংহ। তিনি ভগবানকে ডাকছেন। কিন্তু সাধু-সন্তদের মতো ঢোল বাজিয়ে সাধন-ভজন নয়। বরং ‘বাবা’র হাতে রয়েছে ইলেকট্রিক গিটার!
২. বাবা একাই হিরো। পরিচালনা, প্রযোজনা, অভিনয়-সবই একার হাতে সামলান। ফলে ভিলেনদের একাই সামলে নেবেন, এ তো স্বাভাবিক। কিন্তু তা করতে গিয়ে হাওয়ায় ভেসেও বেড়িয়েছেন ‘বাবা’! এ বোধহয় একমাত্র ‘বাবা’ই পারেন!
৩. হলফ করে বলা যায়, রাম রহিমের মতো অ্যাকশন সিকোয়েন্সের কাছে তাবড় তাবড় ফিল্ম মেকাররা হার মেনে যাবেন। বাইক নিয়ে শূন্যে চক্কর…বিশ্বাস না হলে নিজেই দেখে নিতে পারেন।
৪. বাবার কীর্তি দেখুন! হাতির উপর হাওদায় বসে এক রাজা। বাবার হাতের এক থাবায় হাতির মাথা থেকে সরাসরি মাটিতে ল্যান্ড করলেন! ‘মেসেঞ্জার অব গড’র হাত বলে কথা! এ তো হবেই।
৫) রাম রহিমের ইংরেজি নিশ্চয়ই আপনি শুনেছেন। বাবার ‘নেভার এভার’ মনে আছে নিশ্চয়ই। কী বললেন? শোনেননি এখনও! বাবার বিচারে এ তো অপরাধ। এমন বলতে আছে। সূত্র: আনন্দবাজার
পানির নিচে ধর্ষক রাম রহিমের যৌন প্রাসাদ!
ধর্ষণ মামলার রায়ের পর ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিলাসী জীবনের নানা কাহিনী প্রকাশ পাচ্ছে। কথিত এ ধর্মগুরু তার হরিয়ানায় ডেরায় পানির নিচে গোপন ‘সেক্স কেভ’ বা ‘যৌন গুহার’ সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওই গোপন গুহার মধ্যেই নারীদের নিয়ে নানারকমের কুকীর্তি করতেন বাবা রাম রহিম সিং। জোর করে সেখানে তাদের নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করা হতো।
‘ধর্ষকগুরু’র প্রাসাদ চত্বরে যে সুইমিং পুল রয়েছে, তার নিচেই ওই সেক্স কেভ অর্থাৎ যৌন গুহা গড়ে তুলেছিলেন ডেরাপ্রধান। যৌন গুহা ছাড়াও ডেরার ভেতরে আছে বিলাসবহুল ১৫টি রিসোর্ট। এগুলো তার ব্যক্তিগত ডিজনিল্যান্ডের ভেতরে অবস্থিত। এ ডিজনিল্যান্ডের ভেতরে আইফেল টাওয়ার, ক্রুজ জাহাজ ও তাজমহলসহ বিখ্যাত ভবনের আদলে রিসোর্ট তৈরি করেন ধর্ষকগুরু।
এসব রিসোর্টে তিনি নারীদের (সাধ্বী) নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেখানে ভোগবিলাসের যাবতীয় ব্যবস্থাসহ সুইমিং পুলও আছে। প্রতিটি রিসোর্টে দুই থেকে তিনটি কক্ষ রয়েছে।
ডেরার ভেতরের ওই ডিজনিল্যান্ডে রাম রহিমের পালক মেয়ে হানিপ্রীত ইনসানের প্রবেশাধিকার ছিল। এছাড়া অল্প কয়েকজন বিশ্বস্ত সহযোগী ছাড়া সেখানে আর কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। সাজানো বিলাসবহুল এ ডিজনিল্যান্ডেই তিনি সাধ্বীদের ধর্ষণ করতেন।
রোজ রাতে রাম রহিম প্রধান সাধ্বীকে ফোন করে একজন অল্প বয়সী মেয়েকে ব্যক্তিগত ডিজনিল্যান্ডে তার কক্ষে পাঠানোর জন্য বলতেন। আর সেখানেই তিনি ওই সাধ্বীকে ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতন করতেন, যা ডেরায় ‘বাবার মাফি’ নামে পরিচিত।
ধর্ষণ মামলার এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, কথিত ধর্মগুরু রাম রহিমের ডেরায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক ওষুধ জব্দ করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।
যৌন নির্যাতনের কারণে ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে ২০০ নারী রাম রহিমের ডেরা ছেড়ে গিয়েছিলেন। গত ২৫ আগস্ট দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় রাম রহিমকে। এরপর নেয়া হয় রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে। পরে তাকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
রাম রহিমের ডেরায় গোপন সুরঙ্গ ও বিস্ফোরক কারখানা
ধর্ষণের দায়ে ভারতের স্বঘোষিত ধর্মীয়গুরু গুরুমিত রাম রহিম সিংকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তিনি এখন কারাগারে বন্দী।
এদিকে গুরুর বিশাল সাম্রাজ্যে শুক্রবার থেকে কমান্ডো তল্লশি শুরু করেছে পাঞ্জব ও হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ।
শনিবার ছিল সিরসার ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরে পুলিশি তল্লাশির দ্বিতীয় দিন। এ দিনের তল্লাশিতে বিশাল একটি বিস্ফোরক কারখানার খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৮০ কার্টনের বেশি বিস্ফোরক।
সূত্র জানায়, তল্লাশি অভিযান শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খোঁজ মেলে কারখানাটির। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা যে, এখানে বহু দিন ধরে তৈরি করা হত বিস্ফোরক। কারখানাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজে লাগানো হয়েছে রুরকি থেকে আসা ফরেন্সিক দলকে।
বিস্ফোরকের প্রকৃতি এবং তা কতটা শক্তিশালী সে সব পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কারখানায় তৈরি বিস্ফোরক বাইরে বিক্রি করা হত কি না সে বিষয়টিরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিনের তল্লাশিতে দুইটি গোপন সুরঙ্গের খোঁজ মিলেছে।
বিপুল এ তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ এবং সরকারি নানা বিভাগের ১০টি দল। রয়েছে ৪১ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী, ফরেন্সিক দলও। পুরো বিষয়টি ভিডিও করে রাখতে লাগানো হয়েছে ৬০টিরও বেশি ক্যামেরা।
প্রথম দিনের তল্লাশিতে মিলেছিল ১ টাকার নীল, ১০ টাকার কমলা রঙের প্লাস্টিকের কয়েন। মিলেছে ১২০০টা নতুন নোট। বাতিল পাঁচশো-হাজারের ৭০০০টা নোট। পাওয়া গিয়েছে ১৫০০ জোড়া জুতো, ৩ হাজারেরও বেশি ডিজাইনের জামাকাপড়! বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অজস্র ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ। ডেরার সদর দফতরে বহু লাশ কবর দেয়া রয়েছে বলেও খবর মিলেছে। সে জন্য ইতিমধ্যেই জেসিবি মেশিন এনে মাটি খোঁড়া শুরু করেছে পুলিশ।
নিরাপত্তার খাতিরে এ দিনও তল্লাশির সময়ে জেলায় মোতায়েন রয়েছেন পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। গতকালের মতো এ দিনও ডেরা সদর দফতরের বাইরে রয়েছে ডগ স্কোয়াড। রয়েছে বম্ব স্কোয়াড, দমকল, অ্যাম্বুল্যান্সও।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন