পাটকেলঘাটায় সোনালী মুরগী পালনে ভাগ্যের চাকা ঘোরাচ্ছে তরুণ যুবকরা
বেকারত্বের সংখ্যা ক্রমেই যেন পাটকেলঘাটা থানার প্রত্যেকটা ইউনিয়নে বেড়েই চলেছে। চাকুরির আবেদন করতে করতে অবশেষে কিছু একটা করার তাগিদে মুরগী পালন করে ইতোমধ্যে অনেকেই স্বাবলম্বীও হয়েছেন। এতে সংসারের স্বচ্ছলতা যেমন ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন তেমনি বেকারত্বের সংখ্যা কিছুটা হলেও হ্রাস পাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটকেলঘাটার কুমিরা, রাঢ়ীপাড়া, ইসলামকাটি, সরুলিয়া, ধানদিয়া সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে মুরগী পালন বেশ চোখে পড়ার মতো। সীমিত জায়গা আর মুলধন বিনিয়োগে সুবিধা পাওয়ায় এ অঞ্চলে মুরগী পালন যেন একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তবে সরকারী ভাবে ঋণ সুবিধা পেলে সোনালী ও পোল্ট্রি শিল্পকে এ অঞ্চলের মানুষের জনপ্রিয় ব্যবসায় পরিণত করা সম্ভব হতো তা বলার অবকাশ রাখে না। থানার কুমিরা গ্রামের শহিদুল ইসলাম তার একটি শেটে ২’হাজার মুরগী পালন করে ইতোমধ্যেই লাভের আশা লক্ষ্য করছেন। তিনি একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বলেন, এ বছরই নতুন সোনালী মুরগীর ফার্ম করলাম। ফার্মে ২’হাজার বাচ্চা উঠিয়েছি। প্রায় ২’মাসের মাথায় গিয়ে গ্রোথ সম্পন্ন মুরগীগুলো বিক্রি করলে মোটামুটি লাভজনক খাতে পৌছাবে। ফার্ম মালিক কুমিরার আমিনুর রহমান, মিজানুর রহমান, রেজাউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সামরুল খা জানান, পাটকেলঘাটা থানাধীন যেভাবে সোনালী, পোল্ট্রি শিল্পে মানুষ ঝুকছে তাতে এর বাজার কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বলা যাচ্ছে না। নোয়াকাটি গ্রামের যোবায়ের আহম্মেদ বলেন, গরু ও খাসির মাংসের দাম উত্তোরত্তর যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে পোল্ট্রিই গরীবের একমাত্র সহায় সম্বল।
খাদ্যদাতা ডিলার ইমদাদুল ইসলাম জানান, বেকারত্বের অভিশাপ কতটা ভয়াবহ তা এ অঞ্চলের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা বুঝতে পারছে। তাই অর্থের সুবিধা আমরা দেয়ায় তারা উদ্ধুদ্ধ হয়ে ক্রমেই এ অঞ্চলে পোল্ট্রি শিল্প, সোনালী শিল্প সঠিকভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে তা লাভজনক খাতে পৌছে দিয়েছে। আবার লোকসানের পরিমাণ খুবই কম হওয়ায় তা সহজে সকলে মেনে নিতে পারে। তাই সোনালি, পোল্ট্রি শিল্পই হোক এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের অন্যতম সহায়ক সেই প্রত্যাশায় পাটকেলঘাটাবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন