বুধবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

আরো খবর...

নড়াইলে মেধার ভিত্তিতে পুলিশ নিয়োগ : পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা

নড়াইলে ঘুষ ও দুর্নীতি ছাড়াই মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ দেওয়ায় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নিয়োগপ্রাপ্ত ও তাদের অভিভাবকেরা।
গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইমরান হোসেন, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, পিপিএম, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান, নড়াইল জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ এসএম ইকবাল হোসেনসহ নড়াইল জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যবৃন্দ।

গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ, ভোরের বাংলা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

এরই ধারাবাহিকতায় এ সময় নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিং চলাকালে উপস্থিত গণমাধ্যকর্মীদের সামনে নিয়োগপ্রাপ্ত ও তাদের অভিভাবকেরা বলেন, নড়াইলের পুলিশ সুপার সত্যিই একজন মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর মহানুভবতার দরুণ আজকে আমরা দরিদ্র হয়েও পুলিশে চাকুরি করার সুযোগ পেয়েছি। ঘুষ ও দুর্নীতি ব্যতিরেকে যে চাকুরি পাওয়া সম্ভব তার নজির সৃষ্টি করেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার। আমরা যতদিন বাঁচবো তার নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো। এ প্রসঙ্গে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি দক্ষ করতে মেধাবী নিয়োগের বিকল্প নেই। তাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় কোনো তদবির ছাড়াই যোগ্যদের কনস্টবল ট্রেইনি পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। ২৯ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত কয়েক ধাপে পরীক্ষা শেষে সহস্রাধিক প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়েছে। যার মধ্যে নারী ও পুরুষ। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা মেধার পরিচয় দিয়ে আগামী দিনে পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তিকে আরো উজ্জ্বল করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদের প্রত্যেকের খরচ হয়েছে মাত্র ১০৩ টাকা। চাকরী প্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংকশরই পিতা দিনমজুর। কারো পিতা মৎস্যজীবী, কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ রিকসা ভ্যান চালক, কেউ এতিম কেউবা কৃষক, কেউবা রুটি বিক্রেতার সন্তান। অর্থ বিত্তের জোরে এবার চাকরী হয়নি কারো। দালাল চক্র ভিড়তে পারেনি ধারে কাছে। মেধা ও যোগ্যতার বলে বিনা ঘুষে পুলিশে চাকরী পেয়েছেন ২০ জন। চাকরী পাওয়ার ঘোষনা শুনে খুশিত কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকের পিতা-মাতা।

উল্লেখ্য যে, পরিচ্ছন্ন নিয়োগের কারিগর হচ্ছে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)’র। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরীর জন্য। তার মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। চুড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ হন ২০ জন। পুলিশ সুপারের ঘোষনা অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নড়াইলের পুলিশের ইতিহাসে ঘুষ বিহীন চাকরী প্রদান করায় বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)কে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে তিনি প্রশংসায় ভাসছেন।

উল্লেখ্য এর আগে নড়াইলের অনেক যুবক ভিটেবাড়ি বিক্রি করে চাকরী গ্রহনের ইতিহাস রয়েছে। সাবেক অনেক পুলিশ সুপার এমন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। আবার কেও দালালদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন এমন কথাও শোনা গেছে। নড়াইলে মাত্র ১শ টাকায় পুলিশ কনেস্টবল পদে নিয়োগ পেয়েছে দরিদ্র পরিবারের ২০ জন ছেলে-মেয়ে। শারীরিক, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিয়োগপ্রাপ্ত ২০ জনের নাম ঘোষণা করেন নিয়োগ বোডের সভাপতি ও নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)।
এ সময় নিয়োগ বোডের সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহকারী পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া পুলিশ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে গত ২৯ জুন পুলিশ লাইন্সে প্রায় ১ হাজার চাকরী প্রার্থী শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে শারীরিক পরীক্ষায় ৬২৪ জন উত্তীর্ণ হয়ে ৩০ জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮০ জনের মধ্যে ভাইভা পরীক্ষায় চুরান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়। পরে পুলিশ সুপার কনেস্টবল পদে এই ২০ জনের নাম ঘোষণা করেন। এদের অধিকাংশই দিনমজুর, রিক্সা ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তান। মাত্র ১শ টাকায় দরিদ্র পরিবারের ২০ জন কনেস্টবল পদে চাকরী পেয়ে অনেকেই খুশিতে কেঁদে ফেলেন। নিয়োগ হয়েছে পুলিশ কনস্টেবল পদে। চাকরী পেয়ে খুশিতে কান্না ধরে রাখতে পারলেন না। বলেন,আমি একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আমার মা একজন সামান্য ভ্যান চালিয়ে সবজি বেচে। আমি কখনো ভাবিনি আমার চাকরী হবে। অনেকে অনেক ধরনের কথা বলছে। টাকা ছাড়া চাকরী হবে না এ কথাও বলছে। আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করি। আজ আমার চাকরী হয়েছে। ১শ টাকা ছাড়া আমার কোন টাকা লাগে নাই। এজন্য আজকে আমি খুশি ও আনন্দিত। বিনা টাকায় চাকরী দেওয়ার জন্য আমি পুলিশ সুপার স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। মতো আরো অনেকেই টাকা ছাড়া চাকরী পাওয়ার গল্প শোনান। যারা সবাই দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। চাকরী পেতে কোন টাকা না লাগায় তারা সকলেরই পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, আজ যারা এখানে পুলিশ কনেস্টবল চাকরী পেয়েছে তারা সকলেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এই দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিনা টাকায় চাকরী দিতে পেরে আমি গর্বিত। কারণ যাদের টাকা পয়সা আছে, তারা অনেক ভাবে আরাম আয়েশ করতে পারে। দামি জামা প্যান্ট জুতা পড়তে পারে। ভালো খাবার খেতে পারে, ঘুরতে পারে। কিন্তু যারা দরিদ্র পরিবারের সন্তান তাদের ইচ্ছা থাকলেও ভালো দামি একটা শার্ট কিনতে পারে না, ইচ্ছে করলেই দাবি খামার খেতে পারে না। তাই আমি এই দরিদ্র ছেলে-মেয়েদের চাকরী দিতে পেরে গর্ববোধ করছি। হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য হয়েও পুলিশে নিয়োগ পেয়েছেন অনেকেই। মেধাকে মূল্যায়ন করায় এমন হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন চাকরির সুযোগ পেয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) পুলিশ বাহিনীকে দক্ষ করতে মেধাবী নিয়োগের বিকল্প নেই। তাই ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় কোনো তদবির ছাড়াই যোগ্যদের কনস্টবল ট্রেইনি পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। ২৯জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত কয়েক ধাপে পরীক্ষা শেষে সহস্রাধিক প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়েছে। যার মধ্যে নারী ও পুরুষ। সদ্য নিয়োগ প্রাপ্তরা মেধার পরিচয় দিয়ে আগামী দিনে পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তিকে আরো উজ্জল করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নড়াইলের দায়রা জজকে কারণ দর্শাতে বললেন হাইকোর্ট!

নড়াইলের এক বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করা হবে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে নড়াইলের ওই দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। নড়াইলের কালিয়া থানায় করা একটি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের সময় এজাহারে থাকা প্রধান আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে এ আদেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। নড়াইলের ওই আদালত গত ১০ জুন অভিযোগ গঠনের সময় অভিযোগপত্রে থাকা আসামি মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। এর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝা নামের ওই ব্যক্তিকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন। অবিলম্বে মাঝহারুল ইসলাম মাঝাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে আবেদনকারী ওই হত্যা মামলার বাদী নাজমুল হুদা। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল আলিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান। আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, অভিযোগ গঠনের সময় মাঝাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ১০ জুন বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইনজীবী সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়ার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে বিএল কলেজের মাস্টার্স শেষ বষের শিক্ষার্থী এনামুল শেখকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৭ আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতানামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে পরদিন নড়াইলের কালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই নাজমুল হুদা। মাঝাসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অভিযোগ পত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। ওই মামলায় গত বছরের ২৯ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন মাঝা। পরে চলতি বছরের ১০ জুন ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়, তবে মাঝাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে ২৭ জুন হাইকোর্টে আবেদন করেন বাদী। এর শুনানি নিয়ে ওই আদেশ দেওয়া হয়।

কৃষকের ধান বাড়ীতে: সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ধান সরকারি খাদ্য গুদামে

জেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। নড়াইলের চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের উৎপাদিত ধান ঘরের গোলায় ও বস্তায় রেখে অনিশ্চয়তায় মধ্যে দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। অপরদিকে অসাধু সিন্ডিকেটের দখলে থাকা প্রভাবশালী ও ব্যবসায়ীদের ধানে খাদ্য গুদামে সরকারী টার্গেট পরিপূর্ণ হচ্ছে। সাধারণ অনেক কৃষক খাদ্য গুদামে ধান দিতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টদের এদিকে কোন খেয়ালই নেই। নড়াইলের কালিয়ার সচেতন মহল ও প্রকৃত কৃষকরা জেলা পশাসক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, নড়াইলের কালিয়ায় চলতি মৌসুমে ১৬হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। চলতি মৌসুমে ধান উৎপাদন হয়েছে ১ লক্ষ ০৯ হাজার ৯৭৫ মেট্রিক টন। এ মৌসুমে সরকার নড়াইলের কালিয়া ও বড়দিয়া খাদ্য গুদামের জন্য ধান ক্রয় করবেন মোট ১হাাজার ৪২১ মেট্রিক টন। ২০১১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী অত্র উপজেলার খাদ্য গ্রহন করতে ধানের প্রয়োজন ৭০ হাজার ৯১৯ মেটিক টন। উদ্বৃত্ত ধান থাকে ৩৭হাজার ৬৩৫ মেট্রিক টন। কৃষকের উৎপাদিত ধান পুরোটাই রয়ে গেছে তাদের ঘরের গোলায় বা বস্তায়। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সরকার প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে ৪৪৩ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবেন। যা উৎপাদিত ধানের তুলনায় একেবারেই নগন্য। তাও সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করার কথা। কিন্তু এপর্যন্ত প্রথম পর্য্যায় নড়াইলের কালিয়া খাদ্য গুদাম ২৬২মেট্রিক টন ধান ক্রয় করেছেন। বাকী আছে ১৮১ মেট্রিক টন।

গত মঙ্গলবাব (২জুলাই) নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার দিনে ৮মেট্রিক টন ধান ক্রয় দেখানো হয়। এরপর ধান ক্রয় বন্ধ রাখা হয়েছে। নড়াইলের কালিয়ায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শকের যোগসাজসে সিন্ডিকেট চক্র রাতে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ধান পূণরায় ক্রয় করার আগে মাইকিং করবেন না বলে খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পুূণরায় কবে ধান ক্রয় করবেন তাও তারা জানাচ্ছেন না। যা কৃষকদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে বলে বাকা গ্রামের শরীফ নাসির মাহমুদ নামে এক কৃষক মন্তব্য করেন। নওয়া গ্রামের গোলাম নামে এক কৃষক জানান, কৃষি কার্ড নিয়ে কালিয়া খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয়ের জন্য গেলে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নানা তাল বাহানা করে ফেরত পাঠিয়েছেন। একই অভিযোগ জোকা গ্রামের মামুন নামে অপর কৃষকের। নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সুবির কুমার বিশ্বাস সোমবার সকালে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। বিধায় সর্বাগ্রে প্রকৃত কৃষকদের প্রাধান্য দিতে হবে। তানাহলে তারা কৃষিকাজে উৎসাহ হারাবে। এ বিষয় সংশ্লিষ্টদের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া উচিত।’

তবে কালিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শক বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘খাদ্য গুদামে জায়গা নেই। অপরদিকে জুন ক্লোজিং এর জন্য ধান ক্রয় বন্ধ আছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৮৮ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের কাজ প্রক্রিয়াধীন।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন

‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে

সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন

  • নড়াইলে শিশু মহিমা খুন ।। দাদা-দাদিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
  • নড়াইলে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন এসপি জসিম উদ্দিন
  • এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
  • তবু নড়াইলের দিপালী’র মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি! মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রত্যাশা
  • আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সুপ্রিম কোর্টে মিন্নি
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
  • নড়াইলে ইয়াবাসহ ইউএনও অফিসের সহায়ক গ্রেফতার
  • নড়াইলে ভাইস চেয়ারম্যানের জামিন ও রিমান্ড না মঞ্জুর
  • ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাগেরহাট জেলা…