আরো খবর...
নড়াইলে নির্মাণ কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করতে দুদকের অভিযান
নড়াইল পৌর এলাকায় দুদকের অভিযান ৩৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল পৌর এলাকায় প্রতিঘন্টায় ৩৫০ কিউবিক লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়াটার টিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে চালু করতে বিলম্ব করা হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন এক অভিযান পরিচালনা করেছে।
শুক্রবার দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলার সহকারি পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবালের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান চলাকালে মো. মাহফুজ ইকবাল জানান, আমরা নড়াইল পৌর মেয়র মো: জাহাঙ্গীর বিশ্বাস এর সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন বিষয়টি পাবলিক হেলথের। তারা এখনো আমাদের কাছে নির্মীত কাজ হস্তান্তর করেনি। তিনি আমাদেরকে আরো জানান, ‘ওয়াটার টিমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়াকে এবং পৌর মেয়র মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ চালু হওয়ার কারনসমূহ দুদক প্রয়োজনে আরো খতিয়ে দেখবে। এ অভিযানের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, দুদক যশোরের পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামন, সহকারি পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম, কনস্টাবল মো: মহসিন হাসান।
এ অভিযান চলাকালিন সময় নড়াইল জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান ও সদস্য আব্দুস সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া জানান, ‘৬৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল পৌর এলাকায় প্রতিঘন্টায় ৩৫০ কিউবিক লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ কাজের দুইটি ধাপ। একটি ৮ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৮৬ টাকা ব্যয়ে ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ অন্যটি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার ২০৪ টাকা ব্যয়ে ‘উৎপাদন নলকুপ স্থাপন’। ইতিমধ্যে ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ কাজ আরো দেড়/দুই বছর আগে সম্পূন্ন হয়েছে। কিন্তু ‘উৎপাদন নলকুপ স্থাপন’ সম্পূন্ন ও সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়ায় নড়াইল পৌরসভার নিকট হস্তান্তর যায়নি। আমরা আশা করছি এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে হস্তান্তরসহ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ সুপেয় পানি উৎপাদন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি চালু করা যাবে।
‘সততা স্টোর’ পরিচালনার জন্য দুদকের ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর
নড়াইলের ১২টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘সততা স্টোর’ পরিচালনার জন্য দুদকের ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর ‘আগামি প্রজন্মের ভেতর নীতি নৈতিকতা মূল্যবোধভিত্তিক জীবনবোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন সারা দেশে মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষার্থীদের এ সচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ‘সততা সংঘ’ নামে একটি কমিটি পরিচালিত করে আসছে। এর পাশাপাশি এসব স্কুলে পরিচালনা করছেন দোকানদার বিহীন দোকান। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘সততা স্টোর’।
এসব সততা স্টোরে থাকবে না কোন বেচাকেনার লোক। শুধু থাকবে একটি মূল্য তালিকা, ১টি ক্যাশ বাক্স এবং ১টি রেজিষ্টার খাতা। শিক্ষার্থীরা যার যার প্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য তালিকা দেখে রেজিষ্টারে নাম লিখে নির্ধারিত পণ্যের মূল্য ক্যাশ বাক্সে রেখে পণ্যটি গ্রহণ করবে। এ ধরনের বেচাকেনার অনুশীলনের মধ্যদিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততার মনোভাব সৃষ্টি হবে। মিথ্যা বা ফাঁকি দেয়ার মানসিকতা মন থেকে একদিন নির্মূল হবে।’
তারই ধারাবাহিকতায় নড়াইলে ১২টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘সততা স্টোর’ পরিচালনার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেছে।
নড়াইল জেলা শিক্ষা অফিসারের সভাকক্ষে প্রধান শিক্ষকবৃন্দের হাতে এ চেকসমূহ তুলে দেন যশোর দুদকের সহকারি পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল। এ ১২টি স্কুলের মধ্যে নড়াইলের ৫টি লোহাগড়ার ৪টি এবং কালিয়ার ৩টি স্কুলকে এ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য প্রতিটি স্কুলকে ৩০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার এসএম ছায়েদুর রহমান, সদরের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম ফজলুল হক, দুদক পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামন, সহকারি পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম, নড়াইল জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
চেক হস্তান্তর সময় বক্তারা বলেন, প্রতিদিন সকালে স্কুল এ্যাসেম্বেলিতে দুদক কর্তৃক দেয়া শপথবাক্য পাঠ করানো, প্রতি মাসে একবার ‘সততা সংঘ’ কমিটির সভা করা, ‘সততা স্টোর’ ক্লোজ মনিটরিং ও শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিষয়ের ওপর একটি ক্লাস নেয়া। এ ধরণের মোটিভেশনাল আলোচনার মধ্যদিয়ে আগামি প্রজন্ম সৎ ও ন্যায়ভিত্তিক জীবন পরিচালনার অভ্যাসে গড়ে উঠবে।
পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা আন্দোলনে, ভোগান্তিতে পৌরবাসী
নড়াইলের তিনটি পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা পৌরসভার সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন, ভাতা ও পেনশন প্রদানের দাবীতে দেশের ৩৭২ টি পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী একযোগে এ আন্দোলনে নেমেছেন। ফলে রোববার থেকে গত পাচঁদিন নড়াইল জেলা সদর নড়াইলের কালিয়া ও নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা সব ধরনের নাগরিক পৌরসেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশী পৌর নাগরিকরা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন