নড়াইলে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রসুতির গর্ভের ৭মাসের সন্তানের মৃত্যু!
নড়াইলে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের ভুল চিকিৎসায় মুসলিমা বেগম নামের এক প্রসুতি মায়ের গর্ভের ৭মাসের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সদর হাসপাতালে তার মৃত সন্তান সিজার করা হয়। ভূক্তভোগী মা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ইয়ানুর রহমান নড়াইল সদরের গোবরা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) হিসেবে কর্মরত।
প্রসুতি বা গর্ভবতী মুসলিমা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ তুহিন ঢাকায় একটি বেসরকারী অফিসের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি নড়াইল সদরের রঘুনাথপুর গ্রামে।
তার স্বামী মোহাম্মদ তুহিন জানায়- গত ৮জুন গর্ভবতী স্ত্রী মুসলিমা বেগম তার মায়ের সাথে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে দালালের খপ্পরে পড়ে হাসপাতালের সামনে টাউন মেডিকেলে ইয়ানুর রহমানের চেম্বারে আসেন। সেখানে রোগির পরীক্ষা করে কতগুলো টেস্টসহ ব্যবস্থাপত্র দেন। এর কয়েকদিন পরে গর্ভবতী স্ত্রীর গর্ভের শিশুর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেলে গত শনিবার তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার (২৬জুন) আল্ট্রাসোনো রিপোর্টে দেখা যায় গর্ভের শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন- ডাক্তার নামধারী ঐ ইয়ানুর রহমান যে ঔষুধ লিখেছে তার মধ্যে ফ্রুলাক নামের একটি ঔষুধ দেয়ায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে।
তিনি এর বিচারের দাবিতে পুলিশ সুপারের কাছে যান। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
নড়াইল সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা.মিনা হুমায়ুন কবীর জানান- ঐ চিকিৎসক যে ঔষুধ লিখেছেন তার মধ্যে একটি ঔষুধ শিশুর বেঁচে থাকার জরুরী ফ্লুইড প্রশ্রাবের সাথে বের করে দেয়। পানিশূন্য হবার ফলে শিশুর মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে বলে তার ধারনা।
এ ব্যাপারে নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা.মো. আসাদ-উজ-জামান মুন্সী জানান- ঐ স্যাকমো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পূর্বে এ ধরনের আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাইনী রোগী চিকিৎসা দেবার তার কোন এখতিয়ার নেই। ভূক্তভোগি পরিবার আমার কাছে এসেছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক মো.ইয়ানুর রহমান জানান- গর্ভবতী ওই মহিলার প্রেসার এবং রক্তশূন্যতা ছিল। এছাড়া তার পায়ে অতিরিক্ত পানি থাকার কারণে তাকে ফ্রলাক দেয়া হয়। আমার জানা বোঝা মতে এ ওষুধের কারণে তার মৃত্যু ঘটেনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন