আরো খবর....
নড়াইলের আগুনে পুড়ে দরিদ্র কৃষকের গরুর মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতি
নড়াইলের মল্লিকপুর ইউনিয়নের মহিষাপাড়া গ্রামে দরিদ্র কৃষক সাইফুল শেখের গোয়াল ঘরে আগুন লেগে দু’টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো দু’টি গরু আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছে। আগুন নেভানোর আগেই গরুগুলো মারা যায় ও দগ্ধ হয়। সাইফুল শেখ এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে জানান, গরুগুলো মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরে মশার কয়েল দেন তিনি। এ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, নাকি অন্য কারণে আগুন লেগেছে; তা বুঝতে পারছেন না। আগুনে একটি ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের ষাঁড় ও ৪৫ হাজার টাকার গাভী মারা গেছে। এছাড়া একটি ৫৫ হাজার টাকার গাভী ও ৪৫ হাজার টাকার ষাঁড় পুড়ে দগ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি টিনের গোয়ালঘরটিও পুড়ে গেছে। সবমিলে অন্তত সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশিরা। সাইফুল বলেন, আমি অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে কোন রকম দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে জীবনযাপন করছি। গরুগুলো মারা ও পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেলাম। প্রতিবেশি সুলতান শেখ জানান, বর্ষাচাষী সাইফুলের গরুগুলো পুড়ে মারা ও দগ্ধ হওয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেল। তার স্কুল পড়–য়া দু’টি সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় তার সহযোগিতা প্রয়োজন।
নড়াইলে পুলিশের অভিযানে ৪২বোতল বাংলা মদসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা খাদ্য গুদামের সামনে থেকে গোপন সংবাদের দিবাগত রাত ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে ২১লিটার (৪২বোতল) বাংলা মদ উদ্ধার করা হযেছে। আলিম চৌধুরী (৩৩) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ আটক করেছে। আলিম উপজেলার চেরখালি গ্রামের মহি চৌধুরীর ছেলে বলে পুলিশ জানায়। পিতার নাম সঠিক থাকলেও অনুসন্ধানে তার প্রকৃত ঠিকানা জানা যায়,অত্র নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউপির মঙ্গলপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে জানান নড়াইলের কালিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪২বোতল বাংলাসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃতের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নড়াইলকে আমরা ইতোমধ্যে মাদকের করাল গ্রাস থেকে অনেকাংশে মুক্ত করে ফেলেছি। তবে বেশ কিছু মাদকব্যবসায়ী প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসা করা শুরু করছে। কিন্তু নড়াইল জেলা পুলিশের টিমগুলোর কাছে তাদেরকে পরাজয় বরণ করতে হচ্ছে। এ কারণে সকলকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকার জন্য কঠোর হুঁশিয়ারিও প্রদান করেন তিনি।
নড়াইল-ফুলতলা মানুষের যাতায়াতে খুবই গুরুত্বপূণ সড়কের খানাখন্দে ভরপুর: বৃষ্টি-বর্ষায় নাকাল অবস্থা!
নড়াইল-ফুলতলা গোবরা সড়কটি ৭কিলোমিটার। অন্তত পক্ষে ১২ বছর পূর্ব থেকে পুরোটা সংস্কার করা হয়। সেই সময় সংস্কারের ২বছর পরই সড়কের পিচ-খোয়া উঠতে থাকে। এরপর ক্রমন্বয়ে তৈরি হয় ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। এসব খানাখন্দ মেরামত করতে পিচঢালাই ওই পাকা সড়কের ওপর জায়গায় জায়গায় উঁচু করে বসানো হয় ইটের সোলিং। এখন এ সড়কটি কাতচিত সড়কে পরিনত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ইটের সোলিংও এখন নড়বড়ে, ভাঙা চোরা। বাকি পিচের অংশ খানাখন্দে ভরপুর। উল্লেখ্য, নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা মোড় থেকে নড়াইল সদর গোবরা বাজার পর্যন্ত এ সড়কের অবস্থান। এ সড়কটি নড়াইল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন। নড়াইল-খুলনাসহ এ অঞ্চলে যতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। স্থানীয় লোকজন ও সওজ বিভাগ জানায়, নড়াইল-ফুলতলা-খুলনা, নড়াইল-নওয়াপাড়া-খুলনা, নড়াইল-ভাটপাড়া-খুলনা ও নড়াইল-রঘুনাথপুর-কালিয়ায় যাতায়াত করতে এই সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এ সড়ক ব্যবহার করলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর যশোরের নওয়াপাড়ার সঙ্গে নড়াইল যাতায়াতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার কমে। নড়াইল-খুলনা যাতায়াতে এ সড়ক দিয়ে ফুলতলা হয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে। স্থানীয়রা জানান, নড়াইল-নওয়াপাড়া ও নড়াইল-ফুলতলা সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলে। প্রতিদিন অন্তত ভাড়ায়চালিত দেড় হাজার মোটরসাইকেল চলে। এছাড়া কার্ভাড ভ্যান, ট্রাক, পিকআপ, টেম্পু ও ইজিবাইকসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এই সড়কের আশপাশে গোবরা মিত্র মহাবিদ্যালয়, গোবরা মহিলা কলেজ, গোবরা পার্ব্বতী বিদ্যাপীট, প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কৃষ্ণলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বীর গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুশুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সাত কিলোমিটারের পুরোটাই ভাঙাচোরা। জায়গায় জায়গায় পাকার ওপর উঁচু করে করা হয়েছে ইটসোলিং। সে ইটের সোলিং অংশ নড়বড়ে, কোথায় ধসে গেছে। উঠে গেছে সেই ইট। অন্য অংশের পিচ-খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। গাড়ি গেলে ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায়। গাড়ি চলে ঝুঁকি নিয়ে। গর্তে প্রায়ই আটকে যায় যানবাহন। ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃষ্টি-বর্ষায় নাকাল অবস্থা দাঁড়ায়। দুর্ভোগের শুরু ধোপাখোলা মোড় থেকেই। সেখানে পিচ-খোয়া উঠে হয়েছে অসংখ্য গর্ত। এ অবস্থা পৌর এলাকার ব্রাক্ষ্মণডাঙ্গা হয়ে উজিরপুর পর্যন্ত। এরপর কাড়ার বিল এলাকায় কিছুটা ভালো। এরপরই পড়েছে নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়ন অংশ। এ অংশের বীরগ্রাম, কলোড়া ও গোবরা গ্রাম অংশে পিচের ওপর মাঝে মাঝে ইটের সোলিং। সেখানে চলাচল অনুপোযোগী প্রায়। কলোড়া ও গোবরা গ্রাম অংশে যেখানে পিচঢালাই, সেখানে ছোট-বড় খানাখন্দ ও ধুলাময়। ধোপাখোলা মোড়ের বাসিন্দা প্রবীণ ব্যক্তি অমরেশ বিশ্বাস জানালেন, অন্তত ১২ বছর আগে সড়কের পুরোটা সংস্কার করা হয়েছিল। এর দুই বছর পর থেকেই ভাঙাচোরা। আর গত তিন বছর আগে ইটের সোলিং দিয়ে দোতলা সড়ক তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, ‘জীবনে দেখিনি পিচঢালাই সড়কের ওপর ইটের সোলিং দেয়।’ বাসচালক আব্বাস বললেন, ‘ইটসোলিং অংশে এমনিতেই খানাখন্দের জায়গার মতো গাড়ি ঝাঁকুনি খায়, তারপর আবার ইট নড়বড়ে হয়ে ধসে গেছে। আবার উঁচু ইটসোলিং অংশে গাড়ি উঠতেও ঝাঁকি, নামতেও ঝাঁকি। সাত কিলোমিটার অংশ বাসে যেতে ১০ মিনিট সময় লাগার কথা, সেখানে লাগছে প্রায় এক ঘণ্টা।’ গোবরা এলাকার সচেতন নাগরিক ইব্রাহিম বললেন, ‘কাচ বা ও সিরামিকের সামগ্রী পরিবহণ করাই যায় না। অন্য মালামাল পরিবহনে সময় লাগে, ভাড়াও লাগে বেশি। খাদে পড়ে গাড়িও ভাঙে।’ গোবরা পার্ব্বতী বিদ্যাপীটের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রশিদ জানান, ‘হাইওয়ের মতো প্রচুর গাড়ি চলে এ সড়কে। নড়াইল, যশোর ও খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। নড়াইল সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ওমর আলী বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটির মেরামতের বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন আছে। দ্রুতই কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।
নড়াইলের কালিয়ায় প্রায় তিন লাখ জনসংখ্যা: হাসপাতালে মানুষ অত্যাবশকীয় চিকিৎসাসেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত!
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন মাত্র চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার)। রোগী দেখছেন চিকিৎসা সহকারিরা (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট)। বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ ও ভর্তি হওয়া রোগীদের সামাল দিচ্ছেন তাঁরা। প্রচুর রোগীর ভিড়। ৪-৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন রোগীরা, তারপরও পাচ্ছেন না চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসক-সংকটের এ চিত্র নতুন নয়। বরাবরই এ চিত্র নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হঠাৎ গত মাসে (২০ জুন) একদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে অবস্থান করে এ চিত্র দেখা যায়। এহেন পরিস্থিতিতে এ উপজেলায় প্রায় তিন লাখ জনসংখ্যা মানুষ অত্যাবশকীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । এদিকে হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালটি ছিল ৩১ শয্যার। ২০০৮ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। চিকিৎসকের পদ আছে ২১টি। এরমধ্যে ৮টি চিকিৎসা কর্মকর্তা পদের মধ্যে আছেন একজন। ১০টি বিশেষজ্ঞ পদের মধ্যে আছেন শুধু গাইনি বিশেষজ্ঞ। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ও ডেন্টাল সার্জন পদও শূণ্য। এদিকে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় একটি নড়াইলের কালিয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ১৩টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটিতে আছে একজন করে চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ। তার সবগুলোই শূণ্য। চিকিৎসা সহকারী ও কর্মচারীরা জানান, এতদিন ছোটখাটো অস্ত্রোপচার হচ্ছিল। অ্যানেসথেসিয়ার কাজটি করতেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি সম্প্রতি বদলি হওয়ায় অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে। অত্যাধুনিক এক্স-রে যন্ত্রটি প্রায় ১০ বছর ধরে বিকল। অপারেটর না থাকায় আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্রটি প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে পড়ে আছে। নড়াইলের কালিয়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে কমরত ফার্মাসিস্ট আশিষ বাগচী জানান, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন শ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেয়। কোনো কোনো দিন পাঁচ শ রোগীও হয়। এর অধিকাংশই নারী রোগী। সরেজমিনে দেখা গেছে, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন চিকিৎসা সহকারীরা। নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরীফ সাহাবুবুর রহমান ঘুরে ঘুরে সব বিভাগ সামলাচ্ছেন। বহির্বিভাগের ১১ নম্বর কক্ষে রোগী দেখছিলেন মুক্তা পাল। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১৫০-২০০ রোগী দেখি।’ ১০ নম্বর কক্ষে বসে রোগী দেখছিলেন লিপু অধিকারী। তিনি বলছিলেন, ‘চিকিৎসা কর্মকর্তা না থাকায় সব বিভাগ আমাদেরই সামাল দিতে হয়। সাড়ে চার বছর ধরে এভাবে সামলাচ্ছি।’ দুই অশীতিপর বৃদ্ধা গোলেজান বিবি (৮২) ও আখিতোননেছা (৮১) পাশাপাশি বসে আছেন বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের সামনে মেঝেতে। দুজনেরই মাথায় জ্বালা-পোড়া। সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের। তখনও ডাক্তার দেখাতে পারেননি তাঁরা। কালিয়ার সিতারামপুরের বাসিন্দা গোলেজান বিবি বলছিলেন, ‘ডাক্তার দেখাতি আইছি সকাল সাতটায়। বিটার বউ আমারে নিয়ে আইছিল, কয়ঘণ্টা বসে অধর্য্য অয়ে সে চলে গেছে।’ কলেজ পাড়ার বাসিন্দা আখিতোননেছা বললেন, ‘সকাল সাতটায় আইছি, হ্যান্নেও টিকিট কাটতি পারিনেই। লাইনি দাঁড়াইছিলাম, ঠেলাদে ফেলায় দেছে, এহেনে বসে রইছি।’ একইভাবে ইসলাম পুরের মুরছালিনা (৫০) এসেছেন সকাল আটটায়, বিলবাউচের রাজিয়া বেগম (৬২) সাড়ে আটটায় ও বড়কালিয়ার নমিতা মাঝি (২৮) নয়টায় এসেছেন। তাঁরা দুপুর ১২টায়ও চিকিৎসা নিতে পারেননি। নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য নার্স তত্ত্বাবধায়ক বিদিশা রায় জানান, প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ জন রোগী ভর্তি থাকে। সবাইকে বিছানায় দেওয়া যায় না। চিকিৎসক না থাকায় সেবা ব্যাহত হয়। এসব কারণে নার্সদের ওপরই যত চড়াইওতরাই। হামলাও শিকার হতে হয়। নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরীফ সাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘একজন মাত্র চিকিৎসা কর্মকর্তা, তাও নারী। হাসপাতালের এ অবস্থায় পারিবারিক অতি প্রয়োজনেও তিনি ছুটিতে যেতে পারেন না। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে একদিনের ছুটিতে গেছেন। এ অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা, বহির্বিভাগ ও ভর্তি হওয়া রোগীদের সামাল দেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। এরপর রয়েছে প্রশাসনিক কাজকর্ম, প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন সভায় যোগদান, মামলার সাক্ষ্য দেওয়াসহ নানা কাজ।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ হাসপাতালটি সম্পর্কে নড়াইলের কালিয়া কালিয়াবাসীর নেতিবাচক ধারণা ছিল। আমি আসার পর হাসপাতালমুখী করেছি রোগীদের। রোগী বেড়েছে। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রোগীদের সেবা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। সমস্যার ব্যাপারে নিয়মিত লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন