খুব শীঘ্রই আসছে
নানা ক্লাইমেক্সে ভরা ব্যতিক্রমী টেলিফিল্ম ‘বদঅভ্যাসের’ গল্প!
নজরুল ইসলাম তোফা: অভ্যাস মানুষেরই দাস। সে অভ্যাস দিনে দিনে বদভ্যাসে পরিনত হয়। বেশীরভাগ মানুষেরই সে অভ্যাস আছে বৈকি। কিন্তু সেটি আবার যদি নেশা থেকে শুরু করে নারী ইভটিজিং হয়, তাহলে তো দেশিও দণ্ডবিধি অনুযায়ী শালীনতার উদ্দেশ্যে কোন মন্তব্য, অঙ্গ ভঙ্গি বা কোন কাজ করলে এক বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা আবার তা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
কিন্তু টেলিফিল্মে নাট্যকার নজরুল ইসলাম তোফা সে দিকে যেতেই চাচ্ছেন না। বলতে চাচ্ছেন, নিম্ন আয়ের মধ্যবিত্ত এক স্কুল শিক্ষকের কুড়িয়ে পাওয়া ছেলের কথা। স্কুল শিক্ষকের সৎ উপার্জনে সংসার চালানোই মুশকিল, তার উপর পালিত ছেলের দ্বাবি, আই ফোন, দামি ল্যাপটপ, হাই সোসাইটির ছেলেদের মতই দামি পোশাক-আশাক, কি করে দিতে পারে বাবা স্কুল মাষ্টার? অতি সামান্য বেতনের চাকরি তাঁর।
এদিকে ছেলে জানবে কি করে মা তার ছোট বেলা থেকেই ঘরে নেই, বাবা পালিত ছেলের মতো করেই কখন দেখে না তাকে। আপনের আক্ষেপ, তার চাহিদার অপূর্ণতার মতোই মার চাহিদাকে পুরন না করে কষ্ট দিয়ে অকালেই মেরে ফেলেছে। আপন মায়ের কথা বাবাকে বললেই বাবা স্কুল মাষ্টার এড়িয়ে চলেন। কারণ আপনের বাবা তো বিয়েই করেনি। আপনকে এই কথা জানালে যদি কষ্ট পায়।
অপর দিকে, বাবার উপর জেদ করে আপন অবাধ্য হয়ে অসৎ সংগে দিনে দিনে বদঅভাসের দিকে পা বাড়ায়। আবার আপন মেয়ে দেখলেই তাকে মা সরূপ মনে করে অপলক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকে! কিন্তু ধনীর দুলালি স্নেহা তা না বুঝে, আপনকে কটুক্তি করে। স্নেহা এমন দৃষ্টি মেনে না নিয়েই প্রতিবাদ করে এবং তার মা নার্গীসের কাছে বলে, আহসান মাষ্টারের ছেলে সর্বদাই কলেজের করিডোরে পথে-ঘাটে ইভটিজিং করে। মা নার্গীস অবাক হয় এবং কল্পনায় আনে, আমার প্রেমিক কি সেই আহসান।
মেয়েকে জিজ্ঞেস করে আহসান কোন স্কুলের মাষ্টার? একদিন নার্গীস সেখানে গিয়ে দেখে তার সেই প্রেমীক আহসান। এমন উপস্হিতিতে কি করবে সে, নার্গীস রাগ লুকিয়ে রেখে বলে তুমি কি বিয়ে করে ঘর সংসার করে দুষ্ট ছেলের জন্ম দিয়েছ ?
আহসান তাকে আর মিথ্যা বলতে পারেনা। প্রেমিক আহসান তো বিয়েই করেনি, নার্গীস অবাক হয়ে বলে, তাহলে সন্তান আপন কি করে জন্ম নিলো। তখন আবেগ তাড়িত কন্ঠে আহসান বলে, তোমার কাছ থেকে যেদিন শেষ দেখা করে বাড়ী ফিরি সেই মুহুর্তেই পথের মাঝে এই ছোট্ট ছেলেটি কাঁদে, অনেকেই তাকে দেখে চলে যায়, আমি যেতে পারিনি। তাকে আজ লালন পালন করে নাম রেখেছি আপন। কথা গুলো শুনে নার্গীসের চোখে পানি আসে এবং বলে, আমি তোমাকে বলেছিলাম আমাদের ছেলে হলে ‘আপন’ নাম রাখবো। তুমি কিনা কুড়িয়ে পাওয়া ছেলের ‘আপন’ নাম রেখে আমাদের প্রেমকে অমর করেছ।
অপর দিকে নার্গীস আহসানের কথাও রেখেছে, মেয়ের নাম রেখেছে স্নেহা। আপন, স্নেহার এমন প্রেম কাহিনী নিয়ে নার্গীস ও আহসান আসলে কি করতে পারে। শেষ হবে তা টেলিভিশনের পর্দায়। তরুন নাট্যকার নজরুল ইসলাম তোফা এমনিভাবে তার টেলিফিল্মে চমৎকার ক্লাইমেকস্ এনেছেন।
পরিচালক মোঃ আশিক উল আলম বলেন, পৃথিবীতে এমন অনেক মহান পেশা বা নেশা আছে, যা করতে ক্রিয়েটিভিটির প্রয়োজন পড়ে। এ কথার সাথে একমত না দ্বিমত-সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। তবে একটা বিষয়ে মোটামুটি সবাই কম বেশি এক মত হবেন যে, এদেশের নির্মাণের মান এখন অনেকটাই এগিয়েছে অথবা মানসম্মত করার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন উৎসবে দেশীও সিনেমা প্রদর্শনী হচ্ছে। চমৎকার ও দুর্দান্ত সব সিনেমা সুধী মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। এমন কি মাঝে মধ্যে পুরস্কারও ছিনিয়ে আনছে। অর্থের অভাবে অথবা অন্য কোন কারণে যখন একটা ফিল্ম, সিনেমা হলের উপযোগী করে বানানো যায় না কিংবা গুটি কয়েক সিনেমা হল ছাড়া সারা দেশের সিনেমা হল গুলোতে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয় না, সেটা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের দীনতা বোঝাতেই যথেষ্ট।
এই আলাপ গুরুজন-অভিজ্ঞজনেরা আরো বিশদভাবে ব্যাখা দিতে পারবেন বলে মনে করেন পরিচালক মোঃ আশিক উল আলম। তবে টেলিফিল্মটির গল্পের গাঁথুনি ও চিত্রনাট্যে পরিপূর্ণতা সম্পূর্ণভাবে আধুনিক প্যার্টানে বিরাজমান। ভুল-ত্রুটির অভাব থাকলেই বরং দর্শকের প্রাণের তেষ্টা মেটে। সেখানে সমালোচনার খাতায় দারুণ প্রভাব ফেলে। এই ফিল্মের পরিচালক আশিক উল আলম সে আশাটুকুই করেন।
সহকারী পরিচালক হিসেবে ফাহিম শাহারিয়ার, উয়াইব আহম্মেদ অপু, অনি ও রেহান হাবিব রয়েছেন। গ্রীন এ্যারো প্রডাকশন হাউজের ব্যানারে টেলিফিল্মটি অবশ্যই নির্ভর হবে বলে আশা পোষন করেন পরিচালক। যোগ্য অভিনেতা ও অভিনেত্রীর সমন্নয়ে এই শৈল্পিক বিনোদন নির্ভর টেলিফিল্ম ‘বদঅভ্যাস’ এবং বেসরকারি চ্যানেলের জন্যই নির্মিত হচ্ছে
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
এবার অভিনয়ে পরিচালক শিমুল সরকার
নজরুল ইসলাম তোফা:: পরিচালক শিমুল সরকার। সময়ের তরুণ জনপ্রিয় একজনবিস্তারিত পড়ুন
সালমানকে উৎসর্গ করে গাইলেন টুটুল
জনপ্রিয় রেডিও উপস্থাপক জহিরুল ইসলাম টুটুল শ্রোতা মহলে আরজে টুটুলবিস্তারিত পড়ুন
সন্তানকে নিয়ে নিউইয়র্কের পথে পথে তাহসান-মিথিলা
সন্তানকে নিয়ে নিউ ইয়র্কের পথে পথে তাহসান-মিথিলা। বিচ্ছেদ হলেও তাহসান-মিথিলাবিস্তারিত পড়ুন