ধর্মঘটের ২য় দিনেও বানিজ্য বন্ধ বেনাপোলে
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি বানিজ্য দ্বিতীয় দিনের মত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারনে বন্দরে অচলবস্থার সৃষ্টিহয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ বর্ডারম্যানদের বকশিশের টাকা নিয়ে এ ধর্ম ঘটের ডাকদেয়া হয়। এতে করে দুপারেরই আমদানি রফতানি বানিজ্যেরর ক্ষতিহচ্ছে।
বন্দরের সিএন্ড এফ ব্যবসায়ি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি দুই দেশের ব্যবসা বানিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে যাতে উভয় রাষ্ট সহনশীলতার সাথে ব্যবসা বানিজ্য করতেপারে তার জন্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। কিন্তু সপ্তাহ পার না হতেই আবার ও আমদানি বানিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়িদের লোকসান সহ সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
বন্দরেরর সাবেক সিবিএর সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন মজুমদার বলেন, সিএন্ডএফ বর্ডারম্যানরা ৬ চাকার গাড়িতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও ১০ চাকার গাড়িতে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা বকশিশ পেত পন্য খালাশ করার জন্য। বর্তমানে ভারতের ব্যাবসায়িরা সেই ৬ চাকার গাড়িতে ৪০০ টাকা এবং ১০ চাকার গাড়িতে সাড়ে ৫০০ টাকা প্রদান করায় বাংলাদেশী সিএন্ডএফ এর বর্ডারম্যানরা তা মেনে না নেওয়ায় আমদানি বানিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সংগঠনগুলো ধর্মঘটের ঘোষনা দেয়।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি রফতানি ব্যবসার সহ সভাপতি আমিনুল হক বলেন ভারতের সাথে বেনাপোল বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় আমদানি কারকরা এ পথে আমদানি করে থাকে সিংহ ভাগ পন্য। দুই দিনের বন্ধে ভারতের ওপারে হাজার হাজার গাড়ির লাইন পড়েছে। এবং পচনশীল পন্য রয়েছে গাড়িতে। যা রোদ বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন ট্রাক ভাড়ার ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন বাংলাদেশের ব্যাবসায়িদের কিছু কর্মচারির অতিরিক্ত পন্য আনলোডের অর্থের দাবিতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ব্যাবসায়ি সংগঠনগুলো আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধের ডাক দেয়। তিনি আরো বলেন দুই দেশের ব্যবসায়ি প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে।
চেকপোষ্ট কার্গো শাখার কাস্টমস এর রাজস্ব সহকারী সুপার হাবিবুর রহমান বলেন গতকাল শনিবার বেলা ২ টা পর্যন্ত ভারতীয় আমদানি পন্যর ২৬ টি গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর আর কোন গাড়ি আসেনি।
এ দিকে বেনাপোল বন্দরের একটি সুত্র জানায় গাড়ি আটক থাকায় আমদানি পন্য দেশে প্রবেশ নাকরায় সরকার প্রতিদিন ২ শত কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশী অসুবিধা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ শিল্প কলকারখানার উৎপাদনের কাঁচামাল আটকে থাকায়। সময় মত নির্ধারিত জায়গায় এসব কাচামাল পৌছাতে না পারলে মালিক পক্ষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন শ্রমিকদের অযথা অলস সময় কাটাতে হচ্ছে। ধর্মঘটে মাছ, পিয়াজ, ফল জাতীয় পচনশীল পন্য পচতে শুরু করেছে।
ধর্মঘটের কারনে ওপারে হাজার হাজার আমদানি পন্য নিয়ে গাড়িগুলি দাড়িয়ে আছে। ওপারের সংগঠনগুলো মাইকে এর সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবসায়ি নেতা কর্মীদের আহবান করছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন