তালায় বাঁশের সাকোঁ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীরা
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং দেওয়ানীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার খরাইল, ভবানীপুর, কাজীডাঙ্গা এবং উত্তরঘোনা গ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাকোঁর উপর দিয়ে পার হয়ে আসছে শিক্ষা গ্রহনের জন্য। এবং একই গ্রামের সাধারণ মানুষ ঝুকি নিয়ে আসছে বাজার করার জন্য। এমনিতেই এলাকাাট বছরের ৬-৭ মাস জলাবদ্ধ থাকে রাস্তা-ঘাট বৃষ্টির মৌসুমে পানির নিচে তলিয়ে যায়। তার পর ঝুকি নিয়ে খাল পারা-পার হতে হয় বাঁশের সাকোঁর উপর দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান,তালা উপজেলার দেওয়ানীপাড়া গ্রামের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ একটি বাজার আছে। যেখানে সকাল বিকাল বাজার করতে আসা-যাওয়ার শত শত মানুষের যেমন দূর্ভোগ তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থদের চরম দূর্ভোগ। ১৯৯৫ সালে বাঁশের সাকোঁটি তৈরি নির্মিত হয়ে অদ্যবধি চলছে। আজও তার কোন সুনিদ্রিষ্ট সমাধান হয়নি। এলাবাসী ও শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী খালের উপর একটি বেইলী ব্রিজ নির্মান করলে শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারনের চলাচলের সুযোগ হবে। স্থানীয় সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুর কবির খান বলেন, স্কুলটি উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সীমানায়। এই স্কুলে লেখাপড়া করে একটি অবহেলিত জনগোষ্টির সন্তানরা। এলাকাটি অত্যান্ত অবহেলিত জনপদ।
এখানে চলাচলের চরম দূর্ভোগ। বাচ্চারা স্কুলে আসতে গেলে প্রতিনিয়ত বাঁশের সাঁেকা পার হতে দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। সুন্দর জনপদ এবং খালের উপর দিয়ে কোমলমতি শিশুরা যেন পারহয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসতে পারেন সেব্যাপারে বর্তমান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তেঁতুলিয়া ইউপি সদস্য সেকেন্দার মোড়ল বলেন,২২ বছর আগে আমার জমির উপর দিয়ে বাঁশের সাঁেকা তৈরি করা হয়েছিলো কোমলমতি শিশুরা বাঁশের সাঁেকা পার হয়ে স্কুলে আসাযাওয়া করে। কিন্তু এত বছরেও এটি কোন উপায় হয়নি আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি একটি বেইলী ব্রিজের জন্য কিন্তু হয়নি। মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীরাসহ সাধারন মানুষ দূর্ঘটনার শিকার হয়। বর্তমান সরকার যদি খালের উপর একটি বেইলী ব্রিজ করেন তাহলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগের পরিত্রান হবে।
সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন,বাঁশের সাঁেকা পারহতে গিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। আমরা এলাকাবাসী গত বছর এমপি সাহেবকে সরেজমিন নিয়ে এসেছিলাম দেখে গেছেন এবং পিআইও সাহেব বরাবর আবেদন করার কথা বলেছিলেন আমরা করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সমাধান আমরা পাইনি।
তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার রফিকুল ইসলাম বলেন,বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক আমাকে বিষয়টি অবহিত করেনি। তবে আমি আপতাত শিক্ষার্থী সহ সকলকে চলাচলের একটি ব্যবস্থা করে দিব। তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন,বিষয়টি আমার জানা নাই তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখে একটি ষ্টিমেট দিলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন