তালায় দুর্যোগের স্থায়ী আদেশাবলীর উপর দু’দিনের কর্মশালা শুরু
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সোমবার সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্থায়ী আদেশাবলী ও অন্যান্য দুর্যোগের সাথে সম্পর্কযুক্ত আইনের উপর দুইদিন ব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে।
আশ্রয় ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে, ভুমিষ্ট এর আয়োজনে এবং দাতা সংস্থা অক্সফ্যাম এর অর্থায়নে এলনা প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইখতিয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিয়ার রহমান, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবল, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারবাইজার প্রভাস কুমার দাস এবং আশ্রয় ফাউন্ডেশন এর এলনা প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভুমিষ্ট সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পারভিন আক্তার। প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ভুমিষ্ট সংস্থার উপদেষ্টা মোঃ শাহেদ। কর্মশালায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্থায়ী আদেশাবলীর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা ছাড়াও তালা সদর, তেঁতুলিয়া ও ধানদিয়া ইউনিয়নের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষকবৃন্দ ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
আধুনিক চিকিৎসা সেবায় ধারাবাহিক সাফল্যে এগিয়ে চলেছে ক্লিনিকটি তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক অসহায়-গরীব রোগীদের অবলম্বনের নাম
সরকারি হাসপাতালের পর গরীব-অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক। শুধু এখানেই শেষ নয়,বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে স্বাস্থ্য পীড়িত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় ক্লিনিকটি। প্রায় ১৫ বছর আগে তালা সদরে প্রতিষ্ঠিত হাঁটি হাঁটি পা-পা করে প্রতিষ্ঠানটি আজ একটি আধুনিক স্বাস্থ্য সেবার নাম। এ্যাপেন্ডিক্স থেকে শুরু করে সিজার,পিত্ত পাথর,হার্নিয়া,গ্যাষ্ট্রিক-আলসার,কিডনি পাথর,অভারিয়ান,হাইড্রোসিল,ব্রেষ্ট টিউমার,নরমাল ডেলিভারী,প্রোস্টেট,ইউট্রিয়াস অপারেশন সহ বিভিন্ন চিকিৎসায় অসহায় মানুষের এক অবলম্বনের নাম তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক।
সরকারী নিয়মানুযায়ী,উপজেলা পর্যায় ক্লিনিক প্রতি ১০ টি বেড,১ জন সার্জন,১ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, ১ জন ডিপ্লোমা সহ ৫ জন নার্স,প্রশিক্ষিত ওয়ার্ডবয়সহ সকল নিয়ম মেনেই চলছে ক্লিনিকটি। ক্লিনিকটিতে নিয়মিত রোগী দেখেন ও অপারেশন করেন,ডাঃ শরিফুল ইসলাম,ডাঃ জ্যোতির্ময় সরকার,ডাঃ রাজীব সরদার,ডাঃ বন্যা দাশ,এছাড়া সেখানে সার্বক্ষণিক ডিউটি করেন,ডাঃ রুহুল আমিন। রোগীদের সাথে ভাল আচরণ থেকে শুরু করে সুষ্ঠু চিকিৎসা সেবায় তারা এখন প্রথম সারিতে অবস্থান করায় এলাকার অন্যান্য ক্লিনিক থেকে শুরু করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। এমনকি তাদের দাবি অনুযায়ী সুবিধা প্রদান না করায় বিভিন্ন যায়গায় মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবার বাস্তব চিত্র দেখতে গতকাল সরেজমিন তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে গেলে কথা হয় তালার মদন পুরের রাবেয়া খাতুনের সাথে। তিনি একজন সিজারিয়ান রোগী। স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। কথা হয় উপজেলার পাঁচরুখীর হালিমা বেগম(৩৮),হাজরা কাঠির অঞ্জনা রাণী,জাতপুরের সের আলী বিশ্বাস সহ বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের সাথে। এসময় ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার,কম্পিউটারাইজড ইসিজি রুম,ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন,অত্যাধুনিক আলট্রাসনোগ্রাফি থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পদচারণা রয়েছে তাদের।
এদিকে তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের অভাবনীয় ধারাবাহিক সাফল্যে লাটে উঠতে বসেছে স্থানীয় কতিপয় ক্লিনিকের মূল ব্যবসা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বিভিন্ন লবিষ্ট নিয়োগ করে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। কতিপয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদও পরিবেশন করিয়েছেন। এতে রীতিমত এলাকার রোগী সাধারণ থেকে শুরু করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিশিষ্টজনরা।
এব্যাপারে ক্লিনিক মালিক বিধান চন্দ্র রায়ের নিকট ক্লিনিকের লাইসেন্স আছে কিনা বা সরকারি নিয়ম নীতির বাইরে কোন অপ চিকিৎসা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,সরকারের সব বিধি নিষেধ মেনেই তিনি ক্লিনিক পরিচালনা করছেন। তার ক্লিনিকের রেজিস্ট্রেশন নং-১৯৬৭। এসময় তিনি আরো জানান,চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ঠ এলাকাবাসীর রোগীর চাপ সবসময় থাকে। যাদের অনেককে সময় ও বেড স্বল্পতায় কিৎিসা করাতেও ব্যর্থ হন তিনি বলে জানান ক্লিনিক মালিক বিধান চন্দ্র রায়।
এদিকে রোগী সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্লিনিকটিতে পর্যাপ্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রয়েছে। মফস্বল উপজেলা সদরে বে-সরকারি ক্লিনিকে আধুনিক সব চিকিৎসা ব্যবস্থায় রীতিমত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ এলাকাবাসী।
তালায় জমি দখলের উদ্দেশ্য কৃষককে হয়রানির অভিযোগ
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামে শান্তিপূর্ন ভোগদখল কারির সম্পত্তি থেকে ধান কাটার সময় পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । এতে ভুক্তভোগী কৃষক সুষ্ঠ বিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোপের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক ঘোনা গ্রামের মৃত শামসুদ্দীন গাজীর ছেলে আফাজ উদ্দীন গাজী জানান, তার বাড়ির পাশ্ববর্তী পৈত্রিক সম্পত্তি ঘোনা মৌজার ১৬ শতক জমি দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন । গত ২০ নভেম্বর ২জন ক্ষেত মজুরকে নিয়ে ঐ জমিতে পাকা ধান কাটতে ছিলেন। এসময় দেওয়ানী পাড়া গ্রামের মৃত ছমির উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে দুবৃত্ত নিজাম উদ্দীন বিশ্বাস (জনি’র) একটি মিথ্যা অভিযোগে তালা থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ধান কাটতে নিষেধ করে। সেই অবস্থায় ঐ জমিতে আর ধান কাটেননি তিনি।
তিনি জানান, সম্পদলোভী জনি এর আগেও নিরীহ মানুষদের বিভিন্ন লোভ লালসা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হয়রানি করে অসহায় মানুষের কাছ থেকে জোর পূর্বক সম্পত্তি দখল করে তাকে ভিটামাটি ছাড়া করেছে। তার অত্যাচারের স্বীকার হয়ে ঘোনা গ্রামের সিরাজুল শেখের ভিটামাটি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লিখে নিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করেছেন । তাছাড়া একই গ্রামের নারায়ন চন্দ্র কে একই কায়দায় এলাকাছাড়া করেছেন শিবিরের ক্যাডার জনি।
ঘোনা গ্রামের অসীম মল্লিক ও তপন মল্লিকসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সম্পত্তিতে চাষাবাদ করে আসছেন আফাজ উদ্দীন গাজী। এবারও সে ধানের চাষ করে এবং কিন্তু কি কারণে অভিযোগ এনে ধান কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে তা আমাদের জানা নেই । তবে জনি আগেও অন্যর জমি দখল করে নিয়েছে সেটা এলাকার সকলে জানে।
এঘটনায় তালা থানার এসআই মদন কুমার জানান, একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধান কাটা আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি । উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
তালায় ইউএনও’র প্রেরণায় গার্লস হাইস্কুলে ডেইলি স্টার কর্নার চালু
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র অনুপ্রেরণায় শহীদ আলী আহম্মেদ বালিকাবিস্তারিত পড়ুন