তাজমহল কোন শিব মন্দির নয়, সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ মহলের সমাধি সৌধ
তাজমহল কোন শিব মন্দিরের ক্ষেত্র নয়। সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী মমতাজ মহলের সমাধিসৌধ। কট্টরপন্থী হিন্দুদের তোলা দাবিতে জল ঢেলে এই মর্মেই আগ্রা কোর্টে অ্যাফিডেভিট দাখিল করলো আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) আদালতে হলফনামা দিয়ে জানায়, তাজমহল আদতে মুঘল সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর পত্নী মমতাজ বেগমেরই সমাধি সৌধ। তাজমহলকে যে তেজো মহালায়া নামে মন্দির বলে দাবি করা হচ্ছে তার কোনও ভিত্তি নেই।
যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি দাবি করা আসছে স্থাপত্য তাজমহল আসলে ছিল শিবমন্দির। এই দাবি নিয়ে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে আগ্রা জেলা আদালতে ৬ আইনজীবী পিটিশন করে দাবি করেন, তাজ মহল কোনও স্মৃতিসৌধ নয়। ওটি একটি শিব মন্দির। তাই শিব ভক্তদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। ওই আবেদনের পর আদালত এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি নোটিশ জারি করে এর উত্তর দিতে বলে।
পুরো বিতর্কটি দানা বেঁধেছিল তথাকথিত ঐতিহাসিক পিএন ওকের লেখা একটি গ্রন্থ ঘিরে। ওই গ্রন্থটিতে তাজমহল আসলে শিবমন্দির ছিল বলে দাবি করা হয়। গ্রন্থটি প্রকাশের পর রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের বিবৃতিতে তাজমহল সংক্রান্ত বিতর্ক আরও উস্কে দেয়।
এদিকে মামলার শুনানিতে আদালতে (এএসআই)-এর আইনজীবী আনজানি শর্মা বলেন, শাহজাহান তাঁর মৃত স্ত্রী মুমতাজের স্মরণে তাজমহল তৈরি করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, তাজমহল আসলে ‘তেজো মহালয়’ শিব মন্দির – এই যুক্তির স্বপক্ষে যে প্রমাণ দাখিল করা হয়েছিল, তা কাল্পনিক। তাজমহলের কোনও অংশ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে আর কোন অংশ বন্ধ থাকব, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। কাজেই সেই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে দাবি করেন (এএসআই)-এর আইনজীবী।
অনেকেই দাবি তুলেছেন, বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম এই নিদর্শনটি শিবমন্দির হিসেবে মোগল সম্রাজ্যকে উপহার দিয়েছিলেন এক রাজপুত রাজা। এই দাবির পক্ষে ২০১৫ সালে দেশটির ইতিহাসবিদ পি এন ওক ও আইনজীবী যোগেশ সাক্সেনাসহ ছয়জন তাজমহলকে শিবের মন্দির দাবি করে একটি মামলা করেন।
বর্তমানে তাজমহলে নিয়মিত নামাজ পড়েন মুসলিমরা। প্রতি শুক্রবার তাজমহল সংলগ্ন মসজিদে জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
পাকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৯ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৯বিস্তারিত পড়ুন
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হিক্কা
ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিক্কা। এর ফলে ঝড়ের পাশাপাশি ভারীবিস্তারিত পড়ুন
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি একটিবিস্তারিত পড়ুন