আরো খবর....
তবু নড়াইলের দিপালী’র মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি! মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রত্যাশা
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতের শরণার্থী ক্যাম্পের স্কুল শিক্ষক নড়াইলের দিপালী’র মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি। তবে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রত্যাশা করেছেন দিপালী রানী সিকদার।
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সময় ভারতের বারাসাতের একটি শরণার্থী ক্যাম্পের শিশুদের শিক্ষাদানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নিজের টাকায় অসহায় শিশুদের খাবার আর পোশাকের ব্যবস্থাও করতেন। দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম আসলেও স্বীকৃতি মেলেনি এতো বছরেও।
দিপালী রানী শিকদার। ১৯৭০ সালে জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মাগুরা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে। মুক্তিযোদ্ধার সময় বাড়িতে লুটপাট হলে তিন মেয়েকে নিয়ে ভারতের দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আশ্রয় নেন দিপালী শিকদারের বাবা। এরপর কলকাতার নেতাজি ভবনে মুজিব নগর সরকারের অফিসে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা জাতীয় চার নেতার একজন এএইচএম কামারুজ্জামানের সাথে দেখা করেন দিপালী শিকদার।
তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতে শরণার্থী ক্যাম্পের স্কুলশিক্ষক
শরনার্থী ক্যাম্পে শিশুদের শুধু শিক্ষাদান নয় নিজের খরচে তাদের খাবার ও পোশাকেরও ব্যবস্থা করেছেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর যোগ দেন মাগুরার সেই স্কুলেই। ১৯৭৫ এ বিয়ে হলে চলে আসেন নড়াইলে। যোগ দেন নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম আসে ১৯৮৬ সালে।
এর পরের প্রক্রিয়ার জন্য তার কাছে দাবি করা হয় মোটা অংকের টাকা। টাকার বিনিময়ে স্বীকৃতি পেতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
শরণার্থী ক্যাম্পের স্কুল শিক্ষক দিপালী রানী শিকদার বলেন- টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উঠাতে চান না তিনি।
দিপালী রানী শিকদারের স্বামী অধ্যাপক রমেশ চন্দ দাস জানান- টাকা দিয়ে স্বীকৃতি নিতে চান না তারা।
এদিকে, দিপালী রানীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক বলেন- দিপালী রানীর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থাই গ্রহন করা হবে।
তবে করুণায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি নয়, মৃত্যুর পর অন্তত রাষ্ট্রীয় মর্যাদা-েই প্রত্যাশা দিপালী রানীর।
জুয়ার আসরে অভিযান, গ্রেফতার-৫
পুলিশ সুপার নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের জুয়ার আসোরে অভিযান চালিয়ে নড়াইল সদর উপজেলার রতডাঙ্গা গ্রামে দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায়, মোহাম্মদ ফজর আলী (৫৫)পিতা মৃত বিশারদ সেখ, মোঃ শরিফুল পিতা মৃত সামসু জমাদ্দার, মুরাদ মোল্লা (৩৫) পিতা খবির মোল্লা, মোঃ সুমন মোল্লা (২৮) পিতা-ইদ্রিস মোল্লা সিমাখালী, মোহাম্মদ আশরাফুল আলম (২৮) পিতা আদুল হান্নান মোল্লা নড়াইলের চিলগাছা রঘুনাথপুর এদের কে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি তাস ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার করে।
নড়াইল জেলা ডিবি পুলিশের এসআই সৈয়দ জামারত’র, নেতৃত্বে সংগীয় ডিবি পুলিশের এএসআই ও কনস্টেবল নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে।
নড়াইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, নড়াইল সদর উপজেলার রতডাঙ্গা গ্রামে গভীর রাতে জুয়া খেলা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে জুয়ার আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।
এছাড়াও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নড়াইল সদর উপজেলার বুড়িখালি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া শিকদারের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী টুটুুল শিকদারকে ২৩পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেছেন।
অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে মতবিনিময় সভা
শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত নড়াইলের লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ তরফদার কামরুল ইসলামের সিমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার ও অপব্যবহারের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কলেজের আজীবন দাতা সদস্য সৈয়দ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কাজী ইবনে হাসান, লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান, সাবেক প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, লক্ষীপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিন, সাবেক চেয়ারম্যান জহির ফকির, ইউপি সদস্য জিরু কাজী, নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, সাবেক প্রভাষক শেখ নজরুল ইসলাম, সমাজসেবক বাবন শেখ, বাচ্চু শেখ, শম লুৎফর রহমান,বিএম লিয়াকত হোসেন, মনিরুজ্জামান, ইউসুফ আলী, মিরাজ শেখ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এমএম রাশেদুল হাসান রাশেদ প্রমুখ।
সভায় উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, পিয়ন স্বপন ও হিসাব রক্ষক শ্যামল ঘোষ তাদের বক্তব্য মত বিনিময় সভায় তুলে ধরেন।
সভায় শিক্ষার্থীর অভিভাবকমহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রায় দু’শতাধিক মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।
বাল্যবিয়ের বিয়ের আসরে পুলিশের অভিযান, বরসহ ৩জন আটক
এ্যানি নামে এক স্কুলছাত্রী স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বাল্যবিয়ের আসর থেকে বরসহ তিন জনকে আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালত ১৫দিন করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। উপজেলার সহকারি কমিশনারের (ভূমি) ভ্রাম্যমান আদালত বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করার চেষ্টার অপরাধে তাদেরকে ওই দন্ডাদেশ দেন।
পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, নড়াইলের জেলার চাচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও নড়াইলের কদমতলা গ্রামের সাহেব আলী শেখের মেয়ে এ্যানি খাতুনের (১৫) সঙ্গে নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলার দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের আলী আকবর শেখের ছেলে মো.রাসেল শেখের (২৫) বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বর ও তার স্বজনরা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার সময় নড়াইলের কালিয়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.নাজিবুল আলমের নেতৃত্বে নড়াইলের কালিয়া থানার একদল পুলিশ তাদের বিয়ের আসরে অভিযান চালিয়ে বর মো.রাসেল শেখ, তার নিকট আত্মীয় একই গ্রামের মৃত কওছার গাজীর ছেলে তৈয়েবুর রহমান গাজী (৪০) ও কনের চাচা নড়াইলের কালিয়ার কদমতলা গ্রামের মো.সেলিম শেখকে (৪৫) আটক করে।
পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের প্রত্যেককে ১৫দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাজাপ্রাপ্তদেরকে পুলিশে সপর্দ করা হয়।
কালিয়া থানার ওসি মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্তদেরকে রাতেই নড়াইল জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন