কেশবপুরে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন
যশোরের কেশবপুরে ভোগতী নরেন্দ্রপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে এসএম আব্দুল্লাহ তপু মঙ্গলবার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে কেশবপুর শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে সুনামের সাথে মোবাইল ও বিকাশের ব্যবসা করছেন। ব্যবসা করাকালীন তার বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরী হয়। চাকরী করার কারণেই তিনি কর্মচারী দিয়ে মোবাইল ও বিকাশের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তার পার্শ্ববর্তী দোকানদার ফাস্ট চয়েস ফ্যাশন ও গার্মেন্টস এবং আমার ক্যাফের মালিক বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত বাবুরাম বিশ্বাসের ছেলে ষ্টিফেন বিশ্বাস ব্যবসায়ীক কারণে তার সাথে বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতো। যে কারণে তার সাথে আমার সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুবাদে তার ব্যবসার কারণে টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় আমার নিকট থেকে স্টিফেন বিশ্বাস পর্যায়ক্রমে গত ২০১৮ সালের ১ মে ১ লাখ, ১৪ মে ১ লাখ ৫০ হাজার, ৯ সেপ্টেম্বর ১ লাখ, ১৬ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ ও ১৬ অক্টোবর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১০ লাখ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেন। যা আমার সিসি এ্যাকাউন্ট থেকে ৬ লাখ ও ডিপিএস থেকে লোন করে ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করে তাকে দিই। এভাবে পর্যায়ক্রমে সে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করার পর টাকা পরিশোধ করার জন্য স্টিফেন বিশ্বাস চলতি বছরের গত ১৮ এপ্রিল তার নামিয় সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার একটি ১০ লাখ টাকার চেক আমাকে প্রদান করেন। যার হিসাব নং-২৩২০০৫৩০০০০৩৩, চেক নং-৪৭৫০৬৯৪। কিন্তু ১৮এপ্রিল চেকটি সোনালী ব্যাংকে নিয়ে গেলে তার এ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় আমি চেকটি ডিজঅনার করতে চাইলে ব্যাংক ব্যবস্থাপক স্টিফেন বিশ্বাসকে এ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেয়ার জন্যে ফোন করেন। স্টিফেন বিশ্বাস টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যবস্থাপক চেকটি ডিজঅনার করেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করার খবর জানতে পেরে স্টিফেন বিশ্বাস কেশবপুর থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেন। এ সময় থানা কর্তৃপক্ষ নিজেদের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করে নিতে বলায় নিজেরা মিমাংসা করে আপোষনামার কপি থানায় জমা দেয়া হয়। এরপর আমার টাকা পরিশোধ না করে স্টিফেন বিশ্বাস ডিজঅনার করা চেকটি ফেরৎ চায় এবং টাকা পরিশোধের জন্যে কিছুদিন সময় চান। ডিজঅনার চেকটির একটি ফটোকপি চেয়ে নিয়ে তিনি ২৯ এপ্রিল বসে কখন টাকা পরিশোধ করা হবে তার একটি চুক্তিপত্র ও নতুন একটি চেক প্রদান করবো। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সে আমাকে ৫ মে কেশবপুর সোনালী ব্যাংক শাখার হিসাব নং- ০০১০১৮৫২৬, চেক নং- ৬৯৮০০১৪ এর ১ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। স্টিফেন বিশ্বাসের আর কোন চেকের পাতা না থাকায় সে আমাকে নগদ টাকা উল্লেখ করে ১৬ জুন ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ৭ জুলাই ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করবে বলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে দেন। কিন্তু তিনি দ্বিতীয় দফায়ও টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার দেয়া ওই ১ লাখ ২০ হাজার টাকার চেকটিও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনার করেন। আমার টাকা আদায়ের স্বার্থে আমি ১২জুন ও ১৬ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে দুটি লিগ্যাল নোটিস প্রেরণ করা হয়। লিগ্যাল নোটিস পাবার পর স্টিফেন বিশ্বাস আমার সুনাম ক্ষুন্নসহ টাকা পরিশোধ না করার মানসে গত ১জুলাই কেশবপুর প্রেসক্লাবে একটি কাল্পনিক মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যা ২ জুলাই বিভিন্ন পত্রিকায় খবর পরিবেশিত হয়েছে। এতে আমি ও আমার পরিবারের সম্মানহানি ঘটানো হয়েছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন।
আমি আমার পাওনা টাকা যাতে ফেরৎ পাই এবং ষ্টিফেন বিশ্বাসের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে।
সোহেল পারভেজ জেয়ার্দ্দার
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন