কেশবপুরে ছাত্রলীগের প্রতীকী অনশন কর্মসূচী পালন
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে কেশবপুর উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক প্রতীকী অনসন কর্মসূচী শহরের ডাকবাংলা সড়কে পালন করেছে। উক্ত অনসন কর্মসূচীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক, যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকির হোসেন মুন্না, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু হাসান, টিনু, পৌর ছাত্রলীগের সাইফুল, রোকন, সোহাগ, শাহীন, মিথুন, কলেজ ছাত্রলীগের হাবীব, প্রসনজিত, ছাত্রলীগনেতা জয়ন্ত, আব্দুল্লাহ, আমিনুর, রাসেল, বিল্লাল, মুস্তাফিজ, মুন্নাব, রাজু, রবিউল, সাগর প্রমুখ। অনসন চলাকালে সন্ধ্যায় জুস পান করিয়ে অনসন ভাঙ্গান কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা ও যশোর জেলা প্রজন্মলীগের সদস্য আশরাফুজ্জামান।
ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় কেশবপুরের মডার্ণ ক্লিনিক সীলগালা
ভুল অপারেশনে এক প্রসূতির মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার কেশবপুরের মর্ডাণ ক্লিনিক সীলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় জানান, কেশবপুরের মর্ডান ক্লিনিকে ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার সাতবাড়িযা ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সাইফুল্লাহর স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে সিজার করা হয়। ক্লিনিক মালিক রবিউল ইসলাম ওই রোগি ভর্তি করিয়ে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডাক্তার আব্দুল বারীকে দিয়ে তাসলিমার অপরারেশন করায়। অপারেশনের পর তাসলিমার রক্তক্ষর শুরু হয়। বার বার রক্ত দেয়ার পরেও রোগীর অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কৌশলে খুলনার একটি ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীর স্বজনরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তারা চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং তাসলিমাকে খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগীর আত্মীয়রা খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর চারটার দিকে তাসলিমা বেগম মারা যান। ওই ঘটনার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন পৃথক পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যশোর জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন অফিসে ক্লিনিকের অবহেলা ও অদক্ষতার কারনে রোগির মৃত্যু ঘটেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে। জেলা প্রশাসন দুটি তদন্ত রিপোর্টেই মর্ডান ক্লিনিকের লাইন্সেস বাতিল করার সুপারিশ করে স্বাস্থ্য বিভাগের ডাইরেক্টরের কাছে প্রতিবেদন প্রেরন করে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন মর্ডান ক্লিনিক সাময়িকভাবে সীলগালা করে বন্ধ করা সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল সার্জন ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কবির হোসেন পলাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শেখ আবু শাহীন, থানার এস আই রবিউল ইসলাম ও এ এস আই শ্যামল সরকারসহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাসপাতালের সামনে অবস্থিত আলোচিত মর্ডান ক্লিনিক বদ্ধ করে দেন। এ সময় ক্লিনিকে ভর্তি থাকা প্রায় ২০ জন রোগিকে উপজেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সিভিল সার্জন ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় জানান, আপাতত ক্লিনিক বন্ধ করা হলো। ডিজি থেকে পরবর্তী নির্শেদ মোতাবেক ক্লিনিক মালিক ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তার আব্দুল রাবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ক্লিনিক বন্ধ করায় অভিযোগকারী নিহতের স্বামী সাইফুল্লাহ জানান, খুব ভাল লাগছে। তবে ক্লিনিক মালিক ও ডাক্তারের শাস্তি হওয়া দরকার। যাতে ওদের হাতে আর কারো মৃত্যু না হয়।
কেশবপুর থানার ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে নগদ টাকা সহ ৫ লাখ টাকার স্বার্ণালংকার লুটের অভিযোগে আদালতে মামলা
যশোরের কেশবপুর থানার ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে নগদ টাকা সহ ৫ লাখ টাকার স্বার্ণালংকার লুটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
যশোরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার আঠন্ডা গ্রামের বজলুর রহমান মোড়লের ৩ পূত্র জাহাঙ্গীর, জাহিদুল ও শহিদুল ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করে। তবে জাহিদুল ইসলাম পুরাতন মোটর সাইকেল ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন। তবে পুলিশের কথিত সোর্স ফজলুর রহমান জাহিদুলের নিকট প্রায়ই চাঁদা দাবী করত। গত ৬ নভেম্বর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে কেশবপুর থানার এস আই মুজাহীদুল, এ.এস.আই জাহাঙ্গীর, এ.এস.আই আশরাফুল, কনস্টবেল সালাহউদ্দীন, ড্রাইভার মজনু ও সোর্স বাগদাহ গ্রামের ফজলুর রহমান বজলুর রহমান মোড়লের বাড়িতে যেয়ে পুলিশ পরিচয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। ঐ বাড়িতে অবৈধ অন্ত্র ও মাদক দ্রব্য আছে এই মর্মে বাড়ির সকল বাসিন্দাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে সকল আলো নিভেয়ে দেয় তল্লাসি করতে থাকে। বাঁধা দেওয়ায় তারা বজলূর রহমানের স্ত্রী আয়েশা বেগমকে বেগম মারপিট করে এবং তার পূত্রদের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে দেওয়ার হুমকী দেয়। এসময় তারা জাহিদুল ইসলামের ঘরের সোকেসের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে মোটর সাইকেল বিক্রির নগদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং জাহাঙ্গীরের ঘরের সাব বক্সের তালা ভেঙ্গে ৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬ ভরি স্বার্ণালংকার লুট করে নেয়। চলে যাওয়ার সময় পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি কাউকে জানালে মাদক ও মার্ডার কেসের পেইনডিং মামলার আসামী করার হুমকী প্রদান করে চলে যায়। ঐ দিন সকালে ১০ টার দিকে বজলুর রহমান মোড়লের স্ত্রী আয়েশা বেগম থানায় মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার বিষয়টির প্রতি কর্নপাত করেনি এবং মামলা গ্রহণ করেননি। বাধ্য হয়ে ৮ নভেম্বর আয়েশা বেগম আসামীদের নাম উল্লেখ করে যশোরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার নং সিআর ৩৪০/১৭।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আনোয়ার হোসেন বলেন, আয়েশা বেগমের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে আটকের জন্য পুলিশ তার বাড়িতে গেলে অসুস্থ থাকার কারণে জাহাঙ্গীরকে রেখে তারা চলে আসে। জাহাঙ্গীরের মা আয়েশা বেগম ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন