বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

আরো খবর...

কেশবপুরে এক সুদখোরের সুদের রেট লাখে ঘণ্টায় ১ হাজার টাকা!

যশোরের কেশবপুরে এক সুদখোর ব্যবসায়ীর পাতানো ফাদে পড়ে শহরের ১০ জন ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা লাখে ঘন্টায় এক হাজার টাকা সুদ দিয়েও সুদখোরের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না।

সোমবার (আজ) সকালে কেশবপুর প্রেসক্লাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পক্ষে স্টিফেন বিশ্বাস সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ওই সুদখোরের বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্য পাঠাকলে ষ্টিফেন বিশ্বাস বলেন, আমি একজন পেশায় ব্যবসায়ী ও খ্রীষ্টান মিশনে চাকুরী করি। এর ওপর নির্ভর করে চলে আমার সংসার। অপরদিকে, উপজেলার ভোগতী গ্রামের নওশের আলীর ছেলে এস এম আব্দুল্লাহ তপু কেশবপুর শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে বিকাশের ব্যবসার পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরী করেন। তিনি কর্মস্থলে না গিয়ে ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া সুদে টাকা বিনিয়োগ করে ইতোমধ্যে শহরের শীর্ষ সুদখোর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বন্ধু সেজে কাউকে উপকারের নামে স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্প ও ব্যাংকের সাদা চেক পাতা নিয়ে সুদে টাকা দিয়ে থাকেন। এরপর ওই স্ট্যাম্প ও চেকের পাতায় নিজের ইচ্ছামত টাকা বসিয়ে তা আদায় করেন। আমি এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার চেকবই এর একটি পাতা দিয়ে তার কাছ থেকে সুদে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করি। সুদাসলসহ আমি তাকে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করি এবং আমি আমার দেয় সাদা চেকের পাতাটি ফেরৎ চাই। কিন্তু সে ওই চেকপাতা দিতে তালবাহানা শুরু করে এবং আমার ব্লাংক চেকটি নিজের কাছে রেখে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন।

আমি উপায়ন্তর না পেয়ে গত ১৮ এপ্রিল তপুর বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। যার প্রেক্ষিতে, ১৯ এপ্রিল উভয়ের মধ্যে একটি আপোষনামা হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি ১ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি চেক তাকে দিলে তিনি আগের চেকটি ফেরৎ দেন। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে অদ্যাবধি তার সুদের ওই ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হই। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি নতুন ফাদ পেতে আমার স্বাক্ষর জাল করে সাদা স্ট্যাম্পে নিজের ইচ্ছামত ১০ লাখ টাকা বসিয়ে ২৬ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে টাকা পরিশোধের জন্যে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়ে আমাকে হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন। আমি ছাড়াও তার পাতানো সুদের ফাদে পড়ে শহরের প্রিন্টিং ব্যবসায়ী অমিত সরকার ২৫ হাজার টাকা সুদে নিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এএস কম্পিউটারের মালিক আব্দুস শহীদ ৬ লাখ টাকা সুদে নিয়ে ২২ লাখ টাকা দিয়েও তার সুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে না পেরে বর্তমান তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। টিএ ডিজিটাল ও প্রিন্টিং ব্যবসায়ী মারুফ হোসেন ১ লাখ টাকা নিয়ে তপুকে ৫ লাখ টাকা দিয়েও তার সুদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। এভাবে সে আমার মত উপজেলাব্যাপী কমপক্ষে ৫০/৬০ জন ব্যবসায়ীকে তার সুদের ফাদে ফেলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন। এমতাবস্থায় ওই সুদখোর মহাজনের হাত থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের রক্ষার দাবি করেছেন স্টিফেন বিশ্বাস।

এ ব্যাপারে এস এম আব্দুল্লাহ তপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি চাকরীর পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসা করি। আমি সুদের কারবার করি না। যারা অভিযোগ করেছেন তারা আমার পাশ্ববর্তী দোকানদার। তাদের ব্যবসায়ীক কাজের জন্যে আমার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে এখন পরিশোধ করতে তালবাহানা করছেন। আমার টাকা আদায়ের স্বার্থে স্টিফেন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছি।

কিশোর শাহিনকে হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেফতার

যশোরের কেশবপুরের কিশোর শাহিনকে(১৪) হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় পিতা বাবুর আলী মোড়ল ও পুত্র নাঈম হোসেনকেগ্রেফতার করেছে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ।

আহত শাহনের চাচা বলেন, তাঁর ভাইপো উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার মোড়লের ছেলে কিশোর আবু শাহিন(১৪) গোলাঘাটা দাররুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। সে সংসারের অভাব অনাটনের কারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি মটরভ্যান চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ২৮ জুন শুক্রবার সকালে ফোনের মাধ্যমে কে বা কারা ভাড়ায় নিয়ে যায় । ওইদিন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ধানদিয়া গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় তারা শাহিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে মটরভ্যানটি দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়। এলাকাবাসী শাহিনকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত কিশোর শাহিনের ঘটনা টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচার হলে প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়ে। তিনি বিস্তারিত জেনে শুনে চিকিৎসার দায়িত্বভার নেন বঙ্গবন্ধু কন্যাদেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন বলেন, রোববার রাতে কিশোর শাহিনকে হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের মোকাম মোড়লের ছেলে বাবুর আলী (৫২) ও তার পুত্র নাঈম হোসেনকে (২০) গ্রেফতার করে সাতক্ষীরায় নিয়ে গেছে।

ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মিজানূর রহমান ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
জানা গেছে, রোববার রাতে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান শহরের চাউল পট্টিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় চাউল ব্যবসায়ী কমল সাহা (৪৫) এর গোডাউনে ব্যাপক ভাবে প্লাষ্টিকের বস্তা পাওয়া যায়। প্লাষ্টিকের বস্তা রাখার দায়ে ব্যবসায়ি কমল সাহাকে পন্যে পাট জাত দ্রব্যের বাধ্যতা মূলক ব্যবহার আইন ২০১০ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা

বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন

ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত

যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

  • কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মিনা দিবস পালিত
  • কেশবপুরে মটরসাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
  • কেশবপুরে তৃণমূল সাংবাদিক দলের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা
  • কেশবপুরে জয় সাহাকে পুনরায় ক্রীড়া সংস্থার সা.সম্পাদক করার দাবী
  • ঝিকরগাছার বাঁকড়ায় আ.লীগের বর্ধিত সভা
  • শার্শার হাড়িখালি আমবাগান থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
  • কেশবপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই মহিলা চোরকে কারাদন্ড
  • কেশবপুর উপজেলা দলিত পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
  • কেশবপুরের ভাল্যুকঘর মাদরারাস নিয়ে এক প্রভাষক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত!
  • মারধর করায় বাচ্চা কোলে নিয়ে কেশবপুরে থানায় হনুমানের দল
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশমাছ ভারতে পাচারের সময় গ্রেফতার-২
  • বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে পত্রিকা প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছা