শুক্রবার, মার্চ ৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

আরো খবর...

কেশবপুরের শারমিন স্বামীর গৃহে ফিরতে চায়

যশোরের কেশবপুরে বহু বিবাহের নায়ক রবিউল ইসলাম এর চতুর্থ স্ত্রী ২ সন্তানের জননী শারমিন বেগম স্বামীর গৃহে ফিরতে চেয়ে এবং শ্বাশুড়ী, ননদ ও নোন্দাই নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে ইং ২৪/০৯/২০১৮ তারিখে লিখিত অভিযোগ করেছেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তরে।

অভিযোগসুত্রে জানা গেছে- কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের (২ পাতায়) মৃত মোমিন খান একমাত্র পুত্র রবিউল ইসলাম চতুর্থ বিয়ে করেন ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের আজিজুল গাজীর কন্যা শারমিন খাতুনকে। গত ২৬/০৯/২০১২ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা ‘জজ কোট’ এর টিএম শাহাদাৎ আলীর স্বাক্ষরিত নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে শারমিন-রবিউলের বিবাহ হয়। বিবাহের পর শারমিন স্বামী রবিউলের ভিটায় ও সংসারে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে কখনো শান্তিতে ঘর সংসার করতে পারেনি। দাম্পত্য কলহের মধ্যে রবিউলের ঔরশে শারমিনের গর্ভে পুত্র হাবিব ও কন্যা জান্নাতুল নামে দুইটি সন্তান জন্মগ্রহন করে। হাবিব ৫ বছর ও ও জান্নাতুল ২.৫ বছর।

অভিযোগসুত্রে জানা গেছে- শ্বাশুড়ী, ননদ ও নোন্দাই নির্যাতন করে প্রায় পিত্রালয়ে পাঠাইয়া দেয়। শ্বাশুড়ী একমাত্র শিশু পুত্র হাবিব কে মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে জোর করে আটকে রেখে মাতৃস্নেহ-আদর থেকে বঞ্চিত করে নির্যাতন ও কষ্ট দিয়ে আসছে। এ দুঃচিন্তায় শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়লেও দুই সন্তানের ভবিষ্যতে পিতৃ পরিচয় ও বংশ মর্যাদার জন্য স্বামীর গৃহে ফিরে শ্বাশুড়ী ও স্বামীর আত্মীয় স্বজনদের খেদমত করতে চায় বলে জানা গেছে।

প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে কোমরপুর গ্রামের মৃত মোমিন খার বাড়িতে গেলে রবিউলের মা জানায় শারমিনের স্বভাব-চরিত্র ভালো না। সাংবাদিক জানতে পেরে তিনি প্রতিবেশি আনছার আলী গাজীকে মোবাইলে ডেকে নিলে আনছার আলী বলেন, ‘শারমিনের স্বভাব ভাল না। তার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। আমার আত্মীয় সম্পর্কের হওয়ায় আমি তাকে রবিউলের সাথে পূনঃবিবাহ দি।’ রবিউলের আগে বিয়ে হয়েছিল কিনা এসম্পর্কে আনছার আলী বলেন, আগে দুবার বিয়ে হয়েছিল। পাশেই প্রথম বিয়ে হয়েছিল বৌয়ের ফিটের ব্যারাম ছিল। ২য় বিয়ে পাশেই হয়েছিল। মেয়েটির চারিত্রিক দোষ ছিল। উভয় স্বেচ্ছায় ছাড়ায়ে নিয়েছিল। রবিউলের মা ও আনছার গাজী শারমিনের দোষ সম্পর্কে বলেন, সরসকাটি বাজারে রহিম শেখের ছেলে মিষ্টির দোকানের কর্মচারী সোহাগের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক আছে। শারমিন ও রবিউলের বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে লিখিব এ বিষয়টি রবিউলের মা ও আনছার আলীকে বললে তারা বলেন, সরসকাটি বাজারে গিয়ে সোহাগের কাছে সব জানতে পারবেন বলে জানায় তারা।

রবিউলের বাড়ির পাশের কয়েকজন প্রতিবেশি নারী পুরুষ বলেন, শারমিনকে তারা নির্যাতন করে। আর ঐ আনছার আলী গাজী তাদের বাড়ীতে রাত-দিন প্রায়ই আসে। আনছার গাজীই ওদের অভিভাবক। সেদিনও রাত সাড়ে বারটার দিকে এসে অনেকক্ষন ছিল বলে পাশের বাড়ির একজন জানায়।

তারা রবিউলের বিবাহ সম্পর্কে বলেন- রবিউল প্রথম বিয়ে করে সাগরদাঁড়ীর রেজওয়ান শেখের মেয়ে ফেরদৌসীকে। মৃগের রোগী বলে তাকে তাড়িয়ে দেয়। ০১৯৩৭-২৩৫০১১ নম্বরে জানতে চাওয়া হলে তার ভাই বলেন, আমার বোন ফেরদৌসী স্বামীর গৃহে ভালভাবে ঘরসংসার করছে। রবিউল একজন প্রতারক ও যৌতুক লোভী ব্যক্তি বলে জানায়।

২য় বিয়ে করে শেখপুরা গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে রুপা খাতুনকে। তাকে নির্যাতন করা ও চরিত্রের দোষ দিতে থাকলে রুপা খাতুনের অভিভাবক ছাড়াইয়া নেয়। এবিষয়ে ০১৭৬৮-৫৮৫২০৫ নম্বরে জানতে চাওয়া হলে তার পিতা বলেন, মেয়েকে দোষ দিতে থাকলে রবিউলের ঘরে সুখী হতে পারবে না বলে আমরা ছাড়াইয়া নি। ৩য় বিয়ে করে ডুমুরিয়া গ্রামের আবুল খানের মেয়ে মাহমুদা খাতুনকে। তাকেও নাকি নির্যাতন করে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে কয়েকজন প্রতিবেশি জানায়। তারা বলেন, ‘রবিউলের অভিভাবক বেশী আনছার আলী গাজী অনেক গুটি চালছে রবিউলের পরিবারকে নিয়ে। এতে রবিউলই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ইতি মধ্যে রবিউল তার ছোট ভগ্নিপতি বিল¬াল হোসেন ও আনছার আলীর পরামর্শে পুরাতন ভিটেবাড়ির জমি ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। আর বিল¬াল হোসেন তাদের জমিজমা চাষাবাদ ও দেখাশুনাসহ টাকা-পয়সা লেনদেন করে বলে জানায়।

সরসকাটি বাজারে সোহাগের মিষ্টির দোকানে সোহাগকে পৃথকভাবে- তার মালিক ও উপস্থিত হওয়া লোকজনদের কাছে শারমিন নামের কোন মেয়ের সাথে সোহাগের কোন সম্পর্ক আছে কিনা সে বিষয় সোহাগ বলে তাকে চিনি না। মালিক ও অন্যানরা বলে শারমিন নামের কোন মেয়ের সাথে সোহাগকে দেখেনি।

সোহাগের কাছ থেকে ফেরার পথে বরনডালী মসজিদ মোড়ে আসলে শারমিনের স্বামী রবিউল মালয়শিয়ায় চাকুরীরত রবিউল +৬০১৬৯১৯৩৮৩৭ নম্বর থেকে প্রতিনিধির নম্বরে ২৪.৩৮ মিনিট কথা বলেন। কথা বলিয়ে দেন, তার পাশে থাকা ইকবাল নামের বন্ধুর সাথে। ইকবাল বলেন, সেও নাকি শারমিনের সাথে প্রেমের অভিনয় করেছে। ইকবালের স্ত্রী থাকার পরও পরস্ত্রীর সাথে কেন অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন? আপনিতো রবিউল-শারমিনের সংসার ভাংগতে চেয়েছেন। আপনিতো ইভটিজিং মামলায় পড়বেন। মামলার কথা বললে ইকবাল রবিউলকে বলে, তোর কথায় আমার (ইকবালের) নামও পেপারে ও মামলায় আসতে পারে। ইকবালের নিজস্ব নম্বরে কথা বলতে চাইলে ০১১২৭-১৮০৮৩৪ নম্বরটি দেন।
শারমিন স্বামীর ঘর-সংসার করতে চেয়ে সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছে। ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, শারমিনের ৭ বছর বিবাহিত জীবনে ৭ মাসও শান্তিতে ঘরসংসার করতে পারেনি। ররিউল ও তার পরিবারের লোকজন অনেক মিথ্যা ও বনোয়াট কথাবার্তা বলে। যেকারনে সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়া এখনও যায়নি। তারা যদি ইসলামী চিন্তা চেতনা নিয়ে ও দুটি সন্তানের কথা চিন্তা করে উভয় পরিবার মিশে যায় সেটিই ভাল হবে। রবিউল আগে আরো তিনটি বিয়ে করেছে শুনেছি। বিয়ের পর ছাড়াছাড়ি করা মুসলিম পরিবারে ভাল নয়। তবে রবিউলের অভিভাবক বেশী আনছার আলী গাজী সুবিধের লোক নয়। তার ছোট ভগ্নিপতিও রবিউলের পরিবারকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে সূত্রে জানাযায়,অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্নিজ ফাতেমা শেফা বলেন,প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

নাহিদ ৩৯তম স্থান নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়েছে

যশোরের কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের অজ পাড়া গায়ের নাহিদ হাসান চান্স পেলো ঢাকা মেডিকেলে কলেজে। তার পিতা মো. নজরুল ইসলাম কেশবপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও মাতা আনজুয়ারা বেগম গৃহিণী। তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু হয় কেশবপুর কসমিক প্রি ক্যাডেট স্কুলে। সেখানে ২ বৎসর অধ্যায়ন করার পর কেশবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ র্থ ও ৫ ম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করে সেখানে সাধারন বৃত্তি লাভ করে। প্রাথমিক শিক্ষা জীবন পেরিয়ে সে কেশবপুর শহরের একটি বড়ো নামিদামি স্কুলে পড়ার আশা প্রকাশ করে। ভর্তি হয় কেশবপুর পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে। এ কলেজ থেকে এসএসসি গোল্ডেন প্লাস পেয়ে খুলনা পাবলিক কলেজে ভর্তি হয়। এ কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন প্লাসসহ ১১৭৫ নম্বর পেয়ে কৃত্তিত্বের সাথে উর্তিন্ন হয়। ২০১৮ সালে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মেধা তলিকায় ৩৯ তম স্থান নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়। সে অত্যান্ত ন¤্র ভদ্র ও শিক্ষানুরাগী ছেলে। সে ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চায়। সে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
তার পিতা-মাতা জানান, অনেক প্রতিকূল পরিবেশ ও স্বল্প আয়ের মধ্যে থেকে নাহিদের লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে হচ্ছে। আমরা তার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা

বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন

ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত

যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন

  • কেশবপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মিনা দিবস পালিত
  • কেশবপুরে মটরসাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
  • কেশবপুরে তৃণমূল সাংবাদিক দলের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা
  • কেশবপুরে জয় সাহাকে পুনরায় ক্রীড়া সংস্থার সা.সম্পাদক করার দাবী
  • ঝিকরগাছার বাঁকড়ায় আ.লীগের বর্ধিত সভা
  • শার্শার হাড়িখালি আমবাগান থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
  • কেশবপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই মহিলা চোরকে কারাদন্ড
  • কেশবপুর উপজেলা দলিত পরিষদের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত
  • কেশবপুরের ভাল্যুকঘর মাদরারাস নিয়ে এক প্রভাষক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত!
  • মারধর করায় বাচ্চা কোলে নিয়ে কেশবপুরে থানায় হনুমানের দল
  • বেনাপোল দিয়ে ইলিশমাছ ভারতে পাচারের সময় গ্রেফতার-২
  • বেনাপোল পোর্ট থানার ওসিকে পত্রিকা প্রতিনিধিদের ফুলেল শুভেচ্ছা