আরো খবর...
কেশবপুরের চিংড়া বাজারে মুদি দোকানে অগ্নিকান্ড ॥ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
কেশবপুরের চিংড়া বাজারে মুদি দোকানে অগ্নিকান্ডে লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চিংড়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ি চিত্ত রঞ্জন দত্তের পুত্র অমল দত্তের দোকানে শনিবার সকাল ৭টার দিকে আগুন লাগে। স্থানীয় লোকজন প্রথমে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে ঐ এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর পানি দিয়ে আগুন নেভায়। তবে আগুন নেভানোর আগেই ভিতরে থাকা লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বৈদ্যুতিক শর্ক সার্কিটের মাধ্যমে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার স্থানীয় অনেকেই বলেছেন, অমল দত্ত সকালে তার মুদি দোকান খুলে ধুপ জালিয়ে আবার দোকান বন্ধ করে মাঠে যান। ওই ধুপের আগুনেও অগ্নিকা ঘটতে পারে।
গুজব আর অজানা আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা
কেশবপুর উপজেলার জনসাধারণ অজানা আতঙ্কে আতংকিত হয়ে পড়েছেন। দুটি মাইক্রোবাসে করে একটি বোরকা পরিহিত বাহিনী এলাকায় ঢুকে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে মহিলাদের সম্ভ্রমহানিসহ ধন-সম্পদ লুটে নিয়ে যাচ্ছে বলে একটি কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে মহিলাদের মাধ্যমে গোটা উপজেলা ব্যাপী গুজব ছড়াচ্ছে। যার ফলে অনেক এলাকার জনগণ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। বাস্তবে এর কোন ভীক্তি না থাকলেও গত ২সপ্তাহ ধরে এ গুজব গোটা উপজেলা ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় ছাত্রী, মহিলাসহ অভিভাবকরাও আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দুটি মাইক্রোবাসে করে একটি বোরকা পরিহিত বাহিনী এলাকায় ঢুকে বাড়ির সকলকে জিম্মি করে মহিলাদের সম্ভ্রমহানিসহ ধন-সম্পদ লুটে নিয়ে যাচ্ছে বলে বেশ গত ২ সপ্তাহ ধরে গুজোব রটছে। এমন খবরে আতঙ্কিত গ্রামাঞ্চলের মহিলারা সন্ধ্যা নামার সাথেই ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা, জানালা বন্ধ করে দিচ্ছে। এসব এলাকার পুরুষেরা মহিলাদের সম্ভ্রম ও ধন-সম্পদ রক্ষায় সন্ধ্যার পরই বাজার সওদা সেরে বাড়ি ফিরছেন।
উপজেলার লহ্মীনাথকাটি গ্রামের জিয়াউর রহমান জানান, মঙ্গলবার শিকারপুর গ্রামে এক মহিলা ওই বাহিনীর হাতে ধর্ষনের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনা এলাকায় রটে গেলে মহিলাদের সম্ভ্রম ও ধন-সম্পদ রক্ষায় ১ মে থেকে পাহারা দেয়া শুরু হয়েছে।
মির্জাপুর গ্রামের তুহিন জানান, শুনেছি বিভিন্ন এলাকায় নাকি ওই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এ কারণে তাঁর মহল্যায় মিটিং করে একে অপরের কাছে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাথে সাথেই মোবাইলের মাধ্যমে সবাই জড়ো হয়ে প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শ্রীফলা গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, তাঁর গ্রামে গত ২ সপ্তাহ ধরে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এখনও পাহারা দেয়া শুরু না হলেও খুব তাড়াতাড়িই শুরু করা হবে। তবে এ ব্যাপারে জনগণ যথেষ্ট সচেতন রয়েছে।
শিকারপুর গ্রামের মেম্বার মনিরুজ্জামান মনির জানান, মঙ্গলবার রাতে এলাকায় রটে যায় শিকারপুর কদমতলার আকরামের স্ত্রীর হাত ধরে নাকি কারা টানাটানি করেছে। এ নিয়ে ব্যাপক চেচামিচি হয়েছে। পরের দিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর কোন সত্যতা মেলেনি। এমনকি থানা পুলিশও খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সরেজমিনে মজিদপুর, হাসানপুর, বিদ্যানন্দকাটি ও মঙ্গলকোট ইউনিয়ন ঘুরে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা শুধু গুজবের কথা শুনেছেন। বাস্তবে কোন নারীর সম্ভ্রমহানী বা ডাকাতি হয়েছে এর কোন সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারছে না। এ ধরনের অপপ্রচার কারা করছে তাও কেউ বলতে পারছে না। উপজেলা ব্যাপী জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন জানান, বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের ঘটনা শুনে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। একটি মহল এলাকাকে অস্থিতিশীল করে পুলিশকে ব্যাকফুটে নেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মহিলাদের দিয়ে ওই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভীতি দূর করতে এলাকায় উঠান বৈঠক, সভা, সমাবেশ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং গ্রাম পুলিশরাও একই কাজ করে যাচ্ছেন।
পৌরসভায় মেয়র রফিকুল ইসলাম অসুস্থ্য
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম অসুস্থ্য হয়ে খুলনার হৃদরোগ হাসপাতাল ফর্টিস এসকর্টস কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, শুক্রবার ইফতারির পর হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম। তাৎক্ষনিক তাকে কেশবপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নিতে বললে খুলনার ফর্টিস হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ফর্টিস হাসপাতালে (ফর্টিস এসকর্টস কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউটে) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তাঁর অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে। পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের আশু সুস্থ্যতার জন্য তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পৌরসভা-সহ উপজেলা বাসির নিকট দোয়া চেয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক বর্জন করলো সাংবাদিকরা
বেনাপোল স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের দ্বিতীয়তলায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও স্থলবিস্তারিত পড়ুন
ঝিকরগাছায় বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশুসহ দু’জন নিহত
যশোরে বাস চাপায় এক শিশু ও এক মোটসাইকেল আরোহীর মৃত্যুবিস্তারিত পড়ুন