শুক্রবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরার সর্বাধুনিক অনলাইন পত্রিকা

আরো খবর...

কক্সবাজার থেকে পেটের মধ্যে ১৫০০ পিচ ইয়াবা এনে নড়াইলে ডিবির হাতে গ্রেফতার

নড়াইলে কক্সবাজার থেকে আসা এক ব্যক্তিকে ১৫০০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে নড়াইল ডিবি পুলিশ।
গতকাল রাতে লোহাগড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামের মোঃ বোরহান মল্লিকের ছেলে মোঃ আল-আমিন মল্লিক (২৫)। জানা যায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নিকট একটি গোপন সংবাদ আসে কক্স-বাজার থেকে পেটের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে এক ব্যক্তি নড়াইলের দিকে আসছে। সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার ডিবির ওসি আশিকুর রহমানকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। ডিবির ওসি এস.আই তাহিদুর রহমান, এ.এস.আই রাজ্জাক, নাহিদ রিয়াজ, আনিচ, সোহেল, জহির, কনস্টবল মোহন কুন্ডু, ছরোয়ার, মফিজ, রাকিব, নারায়ন ও নারি কনস্টবল পলিকে নিয়ে একটি চৌকশ টিম গঠন করে নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভাধীন আলামুন্সির মোড়সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর ওৎ পেতে বসে থাকে এবং বিভিন্ন প্রকার তল্লাশি চালায়। এসময় গাড়ি থেকে নামা ব্যক্তিদের পুলিশ কৌশলে তল্লাশি চালানোর সময় ঐ ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হলে তাকে বিভিন্ন প্রকার জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে ইয়াবা বহনের বিষয়টি স্বীকার করে। স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার পেট থেকে বায়ু পথে অভিনব কায়দায় পেটে রাখা ১৫০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) আজ দুপুর ১২টায় তাঁর নিজস্ব কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিং এর আয়োজন করেন। প্রেসব্রিফিং এ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরফুদ্দিন আহম্মেদ, ডিবির ওসি আশিকুর রহমানসহ ডিবি পুলিশের চৌকশ টিমসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী বিন্দ। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, বুলু দাস, জাহাঙ্গীর শেখসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। প্রেসব্রিফিং এ পুলিশ সুপার বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক না কেন এবং সে যে প্রক্রিয়াই মাদক বহন করুক না কেন নড়াইলের উপর দিয়ে কাউকে কোন প্রকার মাদক বহন করতে দেওয়া হবে না। আমাদের দৃঢ় প্রচেষ্টায় নড়াইলকে মাদকমুক্ত করেই ছাড়ব। এ বিষয়ে আকটকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নড়াইলের লোহাগড়া থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা করা হয়েছে, মামলা নং- ০১, তাং ০১/০৬/২০১৯।

মোটরসাইকেল সহ চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

নড়াইলে চোরাই মোটরসাইকেলসহ মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঘাঘা গ্রামের কালু শেখের পুত্র আশরাফুল ও কুমড়ি গ্রামের রতন সরদারের ছেলে মিলন সরদার। শনিবার (০২ জুন) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রাজাপুর গ্রাম থেকে তাদের করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা। জানা গেছে, মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যতম দুই সদস্য কালু ও আশরাফুল দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল নিয়ে রাজাপুর গ্রামে অবস্থান করছে মর্মে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর নিকট একটি গোপন সংবাদ আসে। ওই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিনি নড়াইলের লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে নির্দেশ দেন। ওসির নির্দেশে লোহাগড়া থানার এসআই মিলটন কুমার দেবদাস ও মোঃ আতিকুজ্জামান ওই এলাকায় গিয়ে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার),আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, এই চোর চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে বিক্রি করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

‘স্বপ্ন বিথী’পার্কে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া কাঠ ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

নড়াইলের রামপুরা ‘স্বপ্ন বিথী’পার্কে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও কাঠব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে নড়াইলের শালনগর ইউপির চরশালনগর গ্রামের মৃত জহুর মোল্যার ছেলে। স্ত্রী শারমিন বেগম বাদী হয়ে থানায় বুধবার (২৯মে) হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছে।তবে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করে। ২৪মে দুপুরে ওই পার্কে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

পার্কের তিন কর্মচারীসহ পাঁচজন ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫জনকে ওই হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে।তারা হলো, উপজেলার কচুয়া গ্রামের শামীম জমাদ্দার(৩৫),লক্ষ্মীপাশার মুকুল মোল্যা(৪০), নড়াইল সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের তারিক মুন্সী(৩৬),নিহত নূর মোহাম্মদের প্রতিবেশী চেরাক আলী(৫০) ও নড়াইলের লাহুড়িয়া ইউপির ডহরপাড়ার শলোকা বেগম(২৫)।

নূর মোহাম্মদের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,পার্কের তিন কর্মচারীসহ একটি প্রতারক চক্র নূর মোহাম্মদকে ফাঁদে ফেলে পার্কের মধ্যে থেকে তার নিকট থাকা ৭৩হাজার টাকা ছিনায় নেয়।ওই সময় তাকে মারধোর করে।এতে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখন তার স্ত্রী শারমিন বেগম থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা নেয়নি। বরং বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত আছে। পুলিশ তড়িঘড়ি করে ওই ঘটনার রাতেই থানায় অপমৃত্যু (ইউডি)মামলা রুজু করে।ওই এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা বা প্রশ্ন এ হত্যার আসল রহস্য উদঘাটনসহ আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে কি?

এ বিষয়ে নড়াইলের লোহাগড়া নড়াইলের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো.লুৎফর রহমান, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান,‘লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে।’

মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার

নড়াইল শহরে দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি হলেও চোর ধরা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ধরা পড়ল মোটরসাইকেল চোর। ধরা পরার পর স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
নড়াইল পৌর এলাকার বাণিজ্যিক এলাকা রূপগঞ্জ বাজারে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিচে থেকে শাকিল (২৫) নামে ওই চোরকে আটক করা হয়। সে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের সাদিক মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, পুরাতন বাসটার্মিনাল এলাকার ব্যবসায়ী ও ভওয়াখালী এলাকার মোস্তাক হোসেন ব্যবসায়ীক কাজের জন্য নড়াইলের রূপগঞ্জ বাজারের ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিচে মোটরসাইকেল (ডিসকভারি ১০০) রেখে প্রবেশ করেন। কাজ শেষে ফিরে এসে দেখেন শাকিল তাঁর মোটর সাইকেলের তালা খুলে ফেলেছেন। এ সময় গাড়ির মালিক শাকিলকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে। এ সময় তার কাছ থেকে তালা খোলার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়। পরে, স্থানীয় জনতা তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) হরিদাশ কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে রবিবার (২৬ মে) নড়াইল পৌর এলাকার বাণিজ্যিক এলাকা রূপগঞ্জ বাজারে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিচে থেকে শাকিল (২৫) নামে ওই চোরকে আটক করা হয়। সে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের সাদিক মিয়ার ছেলে। ‘মোটরসাইকেল চোর শাকিলকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।’ নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৭,মে) সকালে নড়াইলের গুরুত্বপুর্ণ শপিংমল ও বিপনী বিতান গুলো পরিদর্শন করেন বর্তমানে নড়াইলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। সকলে মিলে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের সেবার মান আরও উন্নত হবে। যেহেতু মানুষের বিপদের সময়ের প্রধান আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ সেহেতু পুলিশকে তার কাজের প্রতি আরও আন্তরিক হতে হবে। এছাড়াও মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে যেতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় যে কোন ধরণের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ছিনতাই নির্মুলে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।

স্ত্রী নির্যাতন মামলায় পুলিশের এএসআই কারাগারে!!

নড়াইলে স্ত্রী নির্যাতন মামলার স্বামী আশুলিয়া থানার প্রত্যাহারকৃত এএসআই সাইফুল্লার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। নড়াইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার নিজামকান্দি গ্রামের শাহিদুল ইসলামের ছেলে সাইফুল্লার সাথে নড়াইলের নড়াগাতি থানার পাটনা গ্রামের গঞ্জর খানের মেয়ে রাশিদা খানমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান হয়। যার বয়স এখন ১৩ মাস। একপর্যায়ে রাশিদার স্বামী পুলিশের এএসআই সাইফুল্লা তাকে (রাশিদা) শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দাবি করলে রাশিদার বাবার বাড়ি থেকে সাইফুল্লাকে মোটরসাইকেল কিনে দেন। এরপর ঢাকায় জমি কেনার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। টাকা দিতে না পারায় গত ২ জানুয়ারি সকালে রাশিদাকে ঢাকার বাসায় শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেন সাইফুল্লা। এরপর শিশু সন্তানসহ রাশিদাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এসব ঘটনায় রাশিদা খানম বাদী হয়ে গত ৩১ মার্চ নড়াগাতি আমলি আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। এরপর মীমাংসার শর্তে গত ২৫ এপ্রিল বিজ্ঞ আমলি আদালতে (নড়াগাতি) সাইফুল্লার অন্তবর্ন্তীকালীন জামিন হয়। পরবর্তীতে গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল জজকোর্ট ভবনের নিচতলায় বাদী ও বিবাদীসহ দুইপক্ষের আত্মীয়-স্বজন, পিপি ও আইনজীবীর উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়, ২ মে আসামিপক্ষ বাদীর বাবার বাড়ি থেকে রাশিদাকে স্বামীর সংসারে নিয়ে যাবে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওইদিন (২ মে) রাশিদা ও তার সন্তানকে স্বামীর বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার নিজামকান্দি গ্রামে নিয়ে যায়। এরপর পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গত ৬ মে রাতে স্বামী সাইফুল্লা রাশিদাকে আবারো নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখেন। এ খবর পেয়ে রাশিদার ভাই ও ভাবী গত ৭ মে তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে এ সময় রাশিদার ১৩ মাসের শিশু সন্তান রোহানকে ওই বাড়িতে (সাইফুল্লা) জোর করে রেখে দেয়। এ ঘটনায় রাশিদা নড়াইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার শিশু সন্তান উদ্ধারের জন্য মামলা করেন। তবে এখনো শিশু সন্তান ফিরে পায়নি রাশিদা। এদিকে আসামি এএসআই সাইফুল্লা মীমাংসার শর্ত ভঙ্গ করায় গত ১৬ মে আদালতে অন্তবর্তীকালীন জামিন বাতিলের আবেদন করেন রাশিদা। এ প্রেক্ষিতে রোববার (২৬) বাদী-বিবাদী পক্ষের শুনানি অন্তে গৃহবধূ রাশিদার স্বামী আশুলিয়া থানার প্রত্যাহারকৃত এএসআই সাইফুল্লার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ আদেশ দেন আদালত।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী রাশিদা খানম তার শরীরে নির্যাতনের চিহৃ দেখিয়ে, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, আমার স্বামী চরম ভাবে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। তার যথাযথ শাস্তি দাবি করছি। আমাকে নির্যাতনের কারণে তাকে ঢাকার আশুলিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় পুলিশ ব্যারাকে নিয়েছে। তবুও নমনীয় হয়নি সাইফুল্লা। এদিকে আমার শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। আমার বুকের ধন আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। রোববার (২৬ মে) দুপুরে নড়াইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এ আদেশ দেন।

সেই স্কুলছাত্রীকে হাতুড়ি পেটার ঘটনায় মামলা

নড়াইলের স্কুলছাত্রীকে হাতুড়ি পেটার ঘটনায় দুজনের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় এ মামলা করেন। গতকাল ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীটি নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলায় ওবায়দুর রহমান (২০) ও কাবুল জমাদ্দারকে (২৫) আসামি করা হয়েছে। কাবুল নড়াইলের দীননাথপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী। তাঁকে শনিবার দুপুরেই গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কাবুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার তদন্ত করবেন নড়াইলের লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ওবায়দুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। শনিবার ভোরে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। রাস্তায় বখাটে ওবায়দুর ও তাঁর সহযোগী কাবুল ছাত্রীর পথরোধ করেন। ওবায়দুর তাকে আটকে রাখেন। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে ওবায়দুর তাকে বেধড়ক হাতুড়ি পেটা করেন এবং কাবুল কিল-ঘুষি মারেন।
আহত ওই স্কুলছাত্রী বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে নড়াইলের লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কাবুলকে গ্রেফতার, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশিকুর রহমান, ডিআইও-১ এস এম ইকবাল হোসেন, এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাসহ ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, পুলিশেরœ ইউনিটের কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, আমি ঘটনার পরপরই হাসপাতালে যাই এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কাবুলকে গ্রেফতার, সেই সাথে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

‘জনগণকে মূল্যায়ন করতে হবে থানার ওসিদের: নড়াইলের পুলিশ সুপার!

নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেছেন, পুলিশের কোন সদস্য যদি সন্ত্রাস বা মাদকের সাথে জড়িয়ে পরে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করুন। ‘জনগণকে মূল্যায়ন করতে হবে নড়াইলের চার থানার ওসিদের। পৃথিবীর সব দেশে জঙ্গিদের সরাসরি ‘ক্রসফায়ার’ করা হয়। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা গ্রেফতার হতে চায় না। উদের কাছে বোমা, ধারালো অস্ত্র ও গ্রেনেট থাকে। তাই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। পুলিশের মনবলকে দুর্বল করার জন্যই তারা পুলিশের সংঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়াচ্ছে, মারা পড়ছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠি এটা সহ্য করতে পারছে না। তারা জঙ্গি দমনে এমন কার্যক্রমের সমালোচনা করছেন। জঙ্গি-সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজকে সারা দুনিয়ার কাছে বাঙালি জাতি মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। এ গর্ব ষোলকোটি মানুষের। তবে অজ্ঞতা ও ধর্মান্ধতার কারণে জঙ্গিবাদ ও মাদক মাথাচারা দিতে না পারে সেদিকে সজাক থাকতে হবে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার),
আরও বলেন, কোন ব্যক্তি যাতে অপরাধমূলক কাজে জড়াতে না পারে সে জন্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সাধারণ মানুষকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যাতে সন্ত্রাস, মাদকসহ সকল ধরনের অন্যায় কাজ কমিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যেই পুলিশ কাজ করে। সেজন্যে পুলিশ রয়েছে নিরাপত্তার জন্য কঠোর অবস্থানে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় সারবিক সহযগিতা করছেন, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন (পিপিএম) সহ নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশিকুর রহমান, ডিআইও-১ এস এম ইকবাল হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা, ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ফাঁড়ি এলাকায় পুরো নজরদারীতে রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৭,মে) সকালে নড়াইলের গুরুত্বপুর্ণ শপিংমল ও বিপনী বিতান গুলো পরিদর্শন করেন এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার), নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, বলেন, বর্তমানে নড়াইলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। সকলে মিলে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের সেবার মান আরও উন্নত হবে। যেহেতু মানুষের বিপদের সময়ের প্রধান আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ সেহেতু পুলিশকে তার কাজের প্রতি আরও আন্তরিক হতে হবে। এছাড়াও মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে যেতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় যে কোন ধরণের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ছিনতাই নির্মুলে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।

ঈদ মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তায় পুলিশের টহল

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নড়াইলের প্রধান প্রাণকেন্দ্র প্রতিটি হাটবাজার ও মার্কেট গুলোতে থাকবে উপচে পড়া ভীড়। সেজন্যে পুলিশ রয়েছে নিরাপত্তার জন্য কঠোর অবস্থানে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর দিক নির্দেশনায় এ ব্যাপারে সারবিক সহযগিতা করছেন, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন (পিপিএম) সহ নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশিকুর রহমান, ডিআইও-১ এস এম ইকবাল হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তা, ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ফাঁড়ি এলাকায় পুরো নজরদারীতে রেখেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ২৬ মে সকালে নড়াইলের গুরুত্বপুর্ণ শপিংমল ও বিপনী বিতান গুলো পরিদর্শন করেন এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার), নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, বলেন, বর্তমানে নড়াইলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। সকলে মিলে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের সেবার মান আরও উন্নত হবে। যেহেতু মানুষের বিপদের সময়ের প্রধান আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ সেহেতু পুলিশকে তার কাজের প্রতি আরও আন্তরিক হতে হবে। এছাড়াও মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে যেতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় যে কোন ধরণের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ছিনতাই নির্মুলে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। নড়াইলেরোজার শুরুতে জন গনের জানমালের নিরাপত্তা দিতে আরো জুড়ালো ভাবে প্রতিটি এলাকায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে, বিপনীবিতান ও প্রতিটি অলিতে গলিতে মার্কেটের আশপাশে পুলিশ প্রতিনিয়ত অবস্থান করছে। চুরি, ছিনতাইকারী, পকেটমার, মলম পার্টি যারাই এগুলোর সাথে জড়িত আছে তাদের কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ রেহাই পাবেন না। রমজানে এই শহরে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে বহু লোকের আনাগুনা হয়, ঈদের কেনা কাটার জন্য এলাকা থেকে আশে। তারা যাতে করে নিরাপদে বাড়ী ঘড়ে ফিরতে পারে, তার জন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানান ফাঁড়ির এ এস আই বিকাশ কুমার দা।

স্কুল ছাত্রী কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে কর্তৃক হাতুড়িপেটা: গ্রেফতার-১

নড়াইলে বখাটের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে হাতুড়িপেটা করে আহত করেছে। অভিযুক্ত ওই বখাটের নাম ওবায়দুর রহমান (২০)। সে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাধীন লাহুড়িয়া দীননাথপাড়া গ্রামের আজমল মোল্যার ছেলে। গতকাল সকালে একই এলাকার ৮ম শ্রেণি পড়–য়া এক শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত বখাটে ওবায়দুর ও তার সাথে থাকা একই গ্রামের মোঃ আজিজ মোল্যার ছেলে কাবুল মোল্যা (২৫) তার পথরোধ করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় এবং কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই স্কুলছাত্রী কুপ্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা তাকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। আহত ওই স্কুলছাত্রী বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কাবুলকে গ্রেফতার, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ শরফুদ্দীন, নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশিকুর রহমান, ডিআইও-১ এস এম ইকবাল হোসেন, এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাসহ ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, পুলিশেরœ ইউনিটের কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, আমি ঘটনার পরপরই হাসপাতালে যাই এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কাবুলকে গ্রেফতার, সেই সাথে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়াও অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নড়াইল জেলা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন, ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়-এর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির কেবি স্কয়ারের গেম-অন ক্যাফেতে এই ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এই সংগঠনটি রাজধানী ঢাকার ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নড়াইল জেলার ছাত্রদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে। এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মির্জা গালিব সতেজ বলেন, “আজকের এই ইফতার মাহফিলে আমরা সবাই এক জায়গা হতে পেরে আনন্দিত। ঢাকার ভূ-খ-ে একখ- নড়াইল দৃশ্যমান হয়েছে। এখানে আমরা সবাই নড়াইলবাসী। আমাদের সকলের উদ্দেশ্য সবাই সংঘবদ্ধ থেকে নড়াইল তথা দেশ গড়ার লক্ষে কাজ করা। আপনারা জানেন, আমাদের সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মাশরাফি ভাই (এমপি নড়াইল-০২)। তাঁর নেতৃত্বে অবহেলিত নড়াইলকে বসবাসের যোগ্য করার জন্য কাজ চলছে। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বপ্নের নড়াইল গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবো।” উক্ত অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি সৌভিক বোসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইনোভেটিভ ডিজাইন কনস্ট্রাকশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য সৈয়দ তারিকুল ইসলাম তারিক, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাবিবুল ইসলাম বিপ্লব, নড়াইল জেলা ছাত্র কল্যাণ সংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সম্পাদক মোঃ মিনহাজুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কে.এম. রাহাদ নেওয়াজ খান, রনি ঘোষ প্রমুখ।

ইয়াবাসহ কুশল কুন্ডু গ্রেফতার

গভীর রাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) এর নিকট আসা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র নেতৃত্বে নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকা থেকে ৪০ পিস ইয়াবা, এক বোতল ও বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি কুশল কুন্ডুকে (৩০) আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়। কুশল নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামের মৃত কিশোর কুন্ডুর ছেলে। এ সময় ইয়াবা সেবন করার বিভিন্ন সরাঞ্জামও জব্দ করা হয়। নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র ওসি আশিকুর রহমান জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সেলিম রেজা নেতৃতে মাদক কারবারি কুশল কুন্ডু ভওয়াখালীস্থ শাহাজাহান মোল্যার বাড়িতে ভাড়া থেকে এলাকায় দীর্ঘদিন মাদক বিক্রি করে আসছে। এ খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ এসব মাদক উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নড়াইল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার),আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধিকে জানান, নড়াইলকে আমরা ইতোমধ্যে মাদকের করাল গ্রাস থেকে অনেকাংশে মুক্ত করে ফেলেছি। তবে বেশ কিছু মাদকব্যবসায়ী প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসা করা শুরু করছে। কিন্তু নড়াইল জেলা পুলিশের টিমগুলোর কাছে তাদেরকে পরাজয় বরণ করতে হচ্ছে। এ কারণে সকলকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকার জন্য কঠোর হুঁশিয়ারিও প্রদান করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, নড়াইল জেলাকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে মাদক বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন

এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন

‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে

সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন

  • নড়াইলে শিশু মহিমা খুন ।। দাদা-দাদিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • টিকাদানের সাফল্যে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী
  • সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার আহ্বান
  • নড়াইলে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করলেন এসপি জসিম উদ্দিন
  • এবার বাংলাদেশেও ভাঙল প্রচলিত নিয়ম, যাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে বরের বাড়িতে কনে!
  • তবু নড়াইলের দিপালী’র মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি! মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রত্যাশা
  • আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সুপ্রিম কোর্টে মিন্নি
  • ইউপি নির্বাচন : চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ‘গুজব’
  • পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
  • নড়াইলে ইয়াবাসহ ইউএনও অফিসের সহায়ক গ্রেফতার
  • নড়াইলে ভাইস চেয়ারম্যানের জামিন ও রিমান্ড না মঞ্জুর
  • ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাগেরহাট জেলা…