উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া আ.লীগে দ্বিধা-বিভক্তি!
আসন্ন মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
আগামী ১৮ জুন মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায় মূলত আওয়ামীলীগ প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।নেতাকর্মীরা যে যার মত আওয়ামীলীগ ২ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকুর (নৌকা) পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসসহ একটি অংশ থাকলেও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের (আনারস) পক্ষে নির্বাচনী মাঠে প্রকাশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন স্হানীয় মুক্তিযোদ্ধা সাংসদের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের একটি অংশ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিগত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই মঠবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামীলীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে।আওয়ামীলীগের এ গ্রুপিংকে পুঁজি করেই এ এলাকা থেকে এম পি নির্বাচিত হন ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী।এম পি নির্বাচিত হওয়ার আগে ও পরে আওয়ামীলীগের একটি অংশকে সুস্হ ধারার রাজনীতি এবং আরেকটি অংশকে বিপথগামী বলে আসছেন।আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের জয় পরাজয়ে এম পি মহোদয়ের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা থাকলে এটাকে ফ্যাক্টর মনে করেণ অনেকেই।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর জানান,”মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগে কোন গ্রপিং নেই।হোসাইন মোশারেফ সাকু আওয়ামীলীগের কেউ নন।তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলা বি এন পির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকার একটি দূতাবাসের গাড়ি চালক। উপজেলা আওয়ামীলীগের ১৪ আনি লোকই ওনার পক্ষে নাই।”
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সাদিকুর রহমান জানান,”দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকা ঠিক নয়। তবে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ দুই ভাগে বিভক্ত – একটি অংশ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আর অপর অংশ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি।মঠবাড়িয়ায় দলীয় কাউন্সিল হলে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রত্যাখানের মাধ্যমে এই গ্রুপিং দূর করা সম্ভব।”
মঠবাড়িয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাকিল আহমেদ নওরোজ জানান,আমি যদি একজন মুসুল্লী হই তাহলে ইমাম সাহেবকে অবশ্যই মানতে হবে।দলীয় সভানেত্রি শেখ হাসিনার মনোনয়নের বিরুদ্ধে যারা বিদ্রোহ করে তারাতো আওয়ামীলীগের কেউ হতে পারে না।
তিনি আরো জানান,হোসাইন মোশারেফ সাকু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ৫ বছর পূর্বে আওয়ামীলীগের সদস্যপদ সংগ্রহ করে দলে যোগ দিয়েছেন।তিনি কখনোই বিএনপি করেণ নাই এবং বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কোন নির্বাচন করেণ নাই।বি এন পি’র খাতায় তার কোন নাম নেই। দুই এক দিনের মধ্যে সেলিম মাতুব্বরসহ অনেকেই নৌকায় ভোট চাওয়া শুরু করবেন।হোসাইন মোশারেফ সাকুর নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা আছে।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি সেন্টারে ২২৪০ ভোট কাস্ট হয়েছিল যার ২২২০ ভোট ছিল সাকু মিয়ার।”
বিদ্রোহী প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান,”নির্বাচনে বিজয়ী হলে সন্ত্রাস ও মাদক শতভাগ নির্মূলের মাধ্যমে মঠবাড়িয়া উপজেলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত আধুনিক ডিজিটাল উপজেলায় পরিনত করব।ভূমিদস্যু এবং চাঁদাবাজদের বেপরোয়া দৌরাত্ব বন্ধ করব।”
দলীয় প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু জানান,”আমি নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। ১৮ তারিখের পূর্বে আমি কোন সাক্ষাৎকার দিতে পারব না। এজন্য দুঃখিত।”
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসের সথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
এনামুল-সম্রাটসহ ৪ জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে সংসদবিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন