উপজেলা নির্বাচন : খুলনায় নৌকা ৪, আ.লীগ বিদ্রোহী ৪
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খুলনায় নৌকা ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সমানে সমানে রয়েছেন। রবিবার চতুর্থ ধাপে এই জেলায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রূপসা ও পাইকগাছায় নৌকার প্রার্থী বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। আর তেরখাদা, দাকোপ, কয়রা ও দিঘলিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন।
এছাড়া বটিয়াঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশরাফুল আলম খান ও ফুলতলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের মো. আকরাম হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ডুমুরিয়ায় ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
খুলনার ৮টি উপজেলায় রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, তেরখাদা উপজেলায় দোয়াত কলম প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ৩২ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতিকের বর্তমান চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৩৯ ভোট। উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রকিবুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
আর রূপসা উপজেলায় নৌকা প্রতীকে কামাল উদ্দিন বাদশা ২৯ হাজার ১৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে আলী আকবার পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৫৭ ভোট।
কয়রা উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪৪ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে জিএম মহসিন রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৩০ ভোট।
পাইকগাছা উপজেলায় নৌকা প্রতীকের গাজী মোহাম্মদ আলী ৩৪ হাজার ৭৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মটরসাইকেল প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৮৬ ভোট।
দাকোপ উপজেলায় চিংড়ি মাছ প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনসুর আলী খান ৩১ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৮১ ভোট।
দিঘলিয়া উপজেলায় আনারস প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মারুফুল ইসলাম ১৭ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে খান নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩১ ভোট।
এছাড়া তেরখাদা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে শরাফাত হোসেন টিউবওয়েল ১৫ হাজার ২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী মাইক প্রতীকে এমডি মফিজ উদ্দিন পেয়েছেন ১০ হাজার ৬১৯। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমা খান কলস প্রতীকে ১৮ হাজার ৭৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম পাখি রানী বিশ্বাস পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৮৬। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তা মো. রকিবুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন। দিঘলিয়া উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে আলী রেজা বাচা ১৭ হাজার ৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উড়োজাহাজ প্রতীকে মিজানুর রহমান রূপম পেয়েছেন ৮ হাজার ১২৯ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে মমতাজ শিরিন ময়না ২৩ হাজার ৭০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীকে সামছুন্নাহার পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪ ভোট।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
ঢাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাগেরহাট জেলা
গত ১৩ তারিখ অনুষ্ঠিত ‘গ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতেবিস্তারিত পড়ুন
এমটিসি গ্লোবাল একাডেমিক লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন এনইউবিটি খুলনার উপাচার্য
নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা-এর উপাচার্য প্রফেসর ড.বিস্তারিত পড়ুন