আরো খবর...
আশাশুনিতে ৩ দিনের ফলদ বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন
আশাশুনিতে বৃক্ষরোপন আন্দোলন ও ফলদ বৃক্ষমেলা-২০১৮ উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৩ দিনের মেলার উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশাশুনির আয়োজনে বেলা ১১.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ইউনিয়ন পরিষদের সামেন গিয়ে শেষ হয়।
পরিষদের গেটে লালফিতা কেটে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন।
পরে মেলায় নার্সারী মালিক সমিতি ও বন বিভাগের উদ্যোগে ১৭ টি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন অতিথিবৃন্দ। এসব স্টলে বিপুল ফলজ বৃক্ষ এবং বনজ ও ঔষধি বৃক্ষের স্টল সমুহের খোজখবর নেন অতিথিবৃন্দ। পরিষদ চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ইউএনও মাফফারা তাসনীন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শামিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউএইচএ ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আবম মোছাদ্দেক, আশাশুনি প্রেসক্লাব সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি স ম সেলিম রেজা সেলিম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত্র ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
বড়দলে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি উপজেলার বড়দলে ব্যবসায়ীরা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার গোয়ালডাঙ্গা বাজারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনকরা হয়।
গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী শামীম রেজা (জুতা ও কসমেটিক্স ব্যবসা), আছাফুর রহমান টেলিকম ও ফ্লেক্সি), আবু তোহা টেলিকম) ও বড়দল বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম (বাঁশ ও আটন ব্যবসা) লিখিত বক্তব্যে জানান, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুনামের সাথে স্ব স্ব ব্যবসা করে আসছেন। তাদের সুনাম ও সুখ্যাতি নষ্ট করা ও ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে ‘আশাশুনিতে চড়া সুদের ছোবলে বহু অসহায় পরিবার’ বিষয়ক খবর প্রকাশ করে ব্যবসায়ীমহলসহ এলাকাবাসীকে হতবাক করে তুলেছে। আমরা উক্ত অনিয়মের সাথে জড়িত নই। বাজারে যারা সুদের ব্যবসা করে নিরিহ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নিরিহ মানুষকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। শামিম বাজার কমিটির সদস্য হিসাবে শালিস বিচার করে থাকেন। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যবসার কাজ করে যাচ্ছি। আছাদুল ও গোলাম মোস্তফা তাদের কুকীর্তি ঢাকতে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা কথা বলেছে। মুরশিদার বরাত দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তা তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি আমরা কিছু জানিনা, কিছু বলেনি, কারো নাম বলিনি, সাংবাদিকরা কোথায় পেয়ে তার জানানেই— এখন শুনলাম বলে সংবাদে প্রকাশিত তথ্যকে অস্বীকার করেছেন। বরং তিনি তার স্বামী পলাতক, তারা নিজেদের নিয়ে খুবই চিন্তিত, অন্যদের নিয়ে ভাববার সময় নেই বলেছেন। তার এমন কথার একটি রেকর্ড উপস্থাপন করেন।
কুল্যায় ওয়াপদার গাছের ডাল কেটে মুড়ো
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় পাউবো’র বেড়ী বাঁধের স্লোবের অসংখ্য গাছের ডাল কেটে গাছ মুড়ো করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে গুনাকরকাটি ব্রীজের পূর্ব পাশে ওয়াপদার বেড়ীবাধের স্লোবে বহু বাবলা গাছ আছে। আইনকে তুয়াক্কা না করে রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব থাকা হায়দার মোল্যা গাছের ডাল বিক্রী করে দিয়েছেন। ফলে গাছ মুড়ো করে ডাল কেটে নেওয়া হচ্ছে গত ৩ দিন ধরে। সাতক্ষীরা পাউবো থেকে ২০০৬ সালে গুনাকরকাটি এলাকার মৃত মানিকচান মোল্যার পুত্র হায়দার মোল্যাকে ৬/৮ নং পোল্ডারের গুনাকরকাটি থেকে বাহাদুরপুর পর্যন্ত ওয়াপদার বেড়ীবাঁধের স্লোবে লাগানো নারিকেল ও বাবলা গাছের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান হায়দার মোল্যা দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে প্রতি বছর মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গাছ মুড়ো করে গাছের ডাল স্থানীয় মৎস্য ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। তারই অংশ হিসেবে প্রতিবছরের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে তিনি কচুয়া গ্রামের সাঈদুল ঢালী, গুনাকরকাটি গ্রামের খালেক সরদারের পুত্র মইনুর ইসলাম সহ আরও অনেকের নিকট মোট ৬হাজার ৪শত টাকার বিনিময়ে অর্ধশত বাবলা গাছ মুড়ো করে গাছের ডাল কেটে বিক্রি করে দেন। পাওবো’র চুক্তি পত্রে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে যে উক্ত গাছ রক্ষনাবেক্ষনের জন্য তিনি কোন প্রকার টিএ, ডিএ বা আর্থিক সুযোগ সুবিধা পাবেন না। তারপরও তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেআইনি ভাবে প্রতিবছর তিনি চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গাছের ডাল কেটে গাছ মুড়ো করে বিক্রি করে দেন। এতে করে প্রতি বছর অনেক গাছ শুকিয়ে মারাও যায় বলে জানান স্থানীয়। এব্যাপারে হায়দার মোল্যা জানান, গাছের ডাল বিক্রি না করলে আমি খাব কি? গাছের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকা কালিন প্রতি বছরই গাছের ডাল কাটবো। এব্যাপারে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে অধিক লাভ ওবিস্তারিত পড়ুন