উপবৃত্তি টাকা আত্মসাতের আভিযোগ
আশাশুনিতে টাকার বিনিময়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ
আশাশুনি উপজেলার বসুখালী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার অসহায় ও গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের আভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় এক সাংবাদিকের ফেসবুক লাইভের পর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অসহায় ও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দকৃত টাকা এখন থেকে রকেট এ্যাকাউন্ট এর পরিবর্তে ব্রাক ব্যাংক এর আওতাধীন বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যমে পবে। আর এজন্য জেলার অধিক অংশ মাদ্রাসার উপবৃত্তিধারি ছাত্র-ছাত্রীদের বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। সাথে সাথে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের ওই বিকাশ এ্যাকাউন্ট নম্বরটি সংগ্রহ করছে। কিন্তু আশাশুনির বসুখালী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার অবস্থা ভিন্নরুপ। সত্রে জানায়, বসুখালী মাদ্রাসার মোট ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে। শিক্ষকরা তাদের অভিভাবকদের মাদ্রাসায় ডেকে তাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়ে তাদের নামে একটি করে নতুন বাংলালিং প্রি-পেইড সিম নিচ্ছে। যেটিতে বিকাশ এ্যাকাউন্ট খুলে সম্পুর্ণ অবৈধভাবে ওই সিমটি শিক্ষকরা নিয়ে নিচ্ছে। উপবৃত্তিধারি ছাত্র সাকিব ও ওসামাসহ নাম প্রকাশে আনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্র ও অভিভাবক বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কায়েকবার ওই সাংবাদিকের কাছে মোবাইল ফোনে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমরা এবছর মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরিক্ষা দিয়েছি। তাই অন্যদের মত আমরাও উপবৃত্তির টাকা পাবো। আর এজন্য অমরাও আমাদের অভিভাবকদের নামে ৫০ টাকা দিয়ে মাদ্রাসা থেকে সিম কিনে বিকাশ এ্যাকাউন্ট খুলেছি। কিন্ত আমাদের সিম এমনকি আমাদেরসহ সকল ছাত্র-ছাত্রীর বিকাশের পাসওয়ার্ডও দেয়নি। আমরা দ্বায়িত্বে থাকা শিক্ষক মাওলানা জিয়াউর রহমান, মাওলানা শহিদুল ইসলাম ও ব্লাস চন্দ্র বাবুর কাছে আমাদের সিম চাই।
তখন ব্লাস চন্দ্র স্যার আমাদের বলেন, সিম নিতে হলে প্রতিজন ১ হাজার টাকা করে দিতে হবে। না হলে টাকা দেওয়া শেষ হলে তোমাদের সিম দেব। এদিকে খবর পেয়ে ঐ সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যেয়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ঘঠনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এর পরপরই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়, অনেক শিক্ষার্থীর বিকাশ এ্যাকাউন্ট খুলতে বাকি থাকলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসা বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, উপবৃত্তির জন্য নির্ধারিত টাকার থেকে আমাদের একাংশ আত্মসাত করার জন্য শিক্ষকরা আমাদের সিমগুলো তাদের কাছে রেখেছে।
ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকের কাছে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা জিয়াউর ফোন দিয়ে টাকার বিনিময়ে ফেসবুক লাইভটি মুছে ফেলা ও সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সিম ও বিকাশের পিন নাম্বার ফিরে পায় সে জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
আশাশুনিতে পূর্বের বিয়ের তথ্য গোপন করে আবারো অন্যত্র বিয়ে দেয়ার অভিযোগ!
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পূর্ববর্তী বিয়ের তথ্য গোপন করে অধিক লাভ ওবিস্তারিত পড়ুন