সাতক্ষীরার শ্যামনগরের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িতরা ধরা ছোয়ার বাইরে!
আবুল কাসেম, সিনিয়র রিপোর্টার, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগরের আলোচিত প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িতরা রয়ে গেছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। আর এ জন্য শ্যামনগরের সচেতন মহল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকেই দায়ী করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিলেও তিনি তা না করে প্রশ্ন প্রত্র ফাঁসের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ডেকে এক সভায় শুধু মাত্র এলার্ট করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি শেষ হওয়া মাধ্যমিক স্তরের পরিক্ষাতে শ্যামনগরের নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাতে অংকের প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে যায়। আর এ ফাঁস কৃত প্রশ্ন পত্রে পরিক্ষাও চলে।
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দাবী করেছেন পরদিন হাতের লেখা প্রশ্ন পত্রে আবারও পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার সাথে কয়েকজন শিক্ষক, কোচিং সেন্টার ও শ্যামনগরের প্রভাব শালী এক বই বিক্রেতা জড়িত থাকার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা প্রসাশন বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এর পর তদন্ত সম্পন্ন হয়। তদন্তে তিনি এর সত্যতাও পান। সত্যতা পাওয়ার পর তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবসস্থা নেয়ার জন্য বলেন।
কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রশ্ন প্রত্র ফাঁসের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবসস্থা না নিয়ে জড়িতদের ডেকে এক সভায় শুধু মাত্র তাদের এলার্ট করে দেন যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। এই গ্রুপটি বারবার বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় উপজেলার সচেতন মহল এই গ্রুপটির শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
শ্যামনগর উপজেলা পুস্তক প্রকাশক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও রোকন বুক ডিপোর স্বত্বাধিকারী রোকন উদ্দিন জানান, প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনার সাথে আমি বা আমার কোন আতœীয় স্বজন জড়িত নয়। এ ব্যাপারে কি হয়েছে তাও তিনি জানেননা বলে জানান।
দৈনিক ইত্তেফাকের শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হাকিমসহ একাধিক সচেতন নাগরিক জানান, বিষয়টি খুবই দূঃখ জনক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তা করেননি।
এ ব্যাপারে তিনি কোন নিরপেক্ষতার পরিচয় দেননি বরং তার ভুমিকা রহস্যময়। আর এর জন্য তিনিই দায়ী বলে তারা আরো জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম তা কেন নেননি এমন প্রশ্নের জবাবে রবিউল ইসলাম জানান, আমাকে কোন আইনগত ব্যবস্থা বা মামলা নেয়ার কথা বলা হয়নি।
তিনি জানান, সমস্ত প্রতিষ্টান প্রধানদের ডেকে তাদেও এলার্ট করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানন, সরকারী নিয়ম বাস্বায়ন করার জন্য যা কিছু করার দরকার তিনি তাই করেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম জানান, এ ঘটনার সত্যতা পাওয়াায় জড়িতদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা (মামলা দায়ের) নেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রোববার এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তার অফিসে এসে জড়িতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিলেন তা জানাবেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
১৪ জুলাই: যবিপ্রবির ল্যাবে সাতক্ষীরা জেলার ৩০ জন করোনা পজিটিভ!
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে ১৪ জুলাই,২০২০বিস্তারিত পড়ুন
‘ভূয়া’ সংবাদিকদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না। এই আয়নায় সমাজেরবিস্তারিত পড়ুন
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী গ্রেফতার ১৩, ইয়াবা-ফেন্সিডিল-গাঁজা উদ্ধার
সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে মাদক মামলারবিস্তারিত পড়ুন