সর্বজন শ্রদ্ধেয় শেখ আমানুল্লাহ স্যার স্মরণে…
“ভুলি কি করে?”
১৯২৯ সালের ১লা আগস্টে, কলারোয়া উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামে
রোমেছা খাতুন ও শেখ সুজাউদ্দীনের ঘরে,খোদা পাঠালেন তোমারে আলোকিত করে।
১৯৪৭ সালেতে এসএসসি তে, ৪৯ সালেতে এইচ,এস,সি তে
৫২ তে স্নাতকে, ৫৬ সালেতে বি,এড করলেন কৃতিত্বের সাথে।
৪৮ থেকে ৫২ পর্যন্ত জড়ালেন ভাষা আন্দোলনে
মাতৃভাষা কে করলেন জয়, জীবন বাজি রেখে।
পাকদের শিক্ষা বিভাগের চাকরিতে,বসাতে পারলেন না স্যার কে।
১৯৫২ সালেতে যশোর নিউ মডেল একাডেমিতে
মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে বসলেন চেয়ারেতে।
৫৪ সালে যশোর জেলা সাং¯কৃতিক পরিষদের সভাপতির আসনে,
অলংকরিত হলেন নিজ মহিমাতে।
৫৭ সালেতে “হেডস্যার” হিসেবে চলে এলেন বাগঁআচড়া হাইস্কুলেতে।
জন্মস্থানের টানে ধরে রাখতে পারলনা তোমাকে।
৬০ সালেতে আগমন ঘটল কলারোয়া পাইলট হাইস্কুলেতে।
দেশ-মাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে জড়ালেন সংগঠক হিসাবে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিনেটে, সদস্য হলেন প্রবাসী শিক্ষক সমিতিতে।
গঠন করলেন “আঞ্চলিক সংগ্রাম পরিষদ” মুক্তিযুদ্ধেতে
সম্পাদক হিসাবে থাকলেন অগ্রনীতে,গর্ব করি তার ভুমিকা নিয়ে,
সৌভাগ্যবান হয়েছি তার সান্নিধ্যে, শিক্ষক হিসেবে পেয়ে।
আর ও পাওয়া যাবে নিজের লেখা “একজন শিক্ষকের কতকথাতে”।
৭৫ সালে বাংলাদেশের শিক্ষকদের উন্নতিতে আসলেন নেতৃত্বে।
৭৮ সালের গণ স্বাক্ষরতা আন্দোলনে,দেখা গেল স্ব-মহিমাতে।
রইলে তুমি অগ্রনিতে শিক্ষক ফেডারেশন তৈরিতে।
৮৫ সাল থেকে শিক্ষক সমিতির সভাপতিত্বে,
শিক্ষকদের উন্নতিতে ঘুরে বেড়ালেন সারাদেশে।
৯০ সালে ট্রাস্টি বোর্ডোরে সদস্য পদে, আসিন করল তোমাকে।
দেখা গেল শিক্ষক আন্দোলনের অগ্রভাগে।
আল্লাহর পবিত্র ঘর দর্শনে ,৮৫ সালে গেলেন মক্কা -মদিনাতে।
জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি তৈরি করলেন ৭৮ সালেতে
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেন নেতৃত্বের গুনাবলীতে।
জাতীয় দৃর্যোগ প্রতিরোধ কমিটিতে, জাতীয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে,
জাতীয় পরিকল্পনা শিক্ষা কমিশনের প্যানেলেতে, আসন পেল নিজ যোগ্যতায়
নয় কারো কৃপায়, হল কলারোয়ার জয়।
২০১১ সালে “দৈনিক দৃষ্টিপাত” পদক পেলেন সাতক্ষীরাতে, সংবর্ধনা পেলেন যশোর একাডেমিতে।
“ইশারা” পত্রিকার সম্পাদক, “সমতট” পত্রিকার সভাপতি পদে
পরিচয় দিলেন সাহিত্য প্রেমী হিসেবে।
আঞ্চলিক শিক্ষা প্রসারে দরদ ছিল সর্বদায়, ছোঁয়া আছে সবখানে তাই
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো স্মরণ করে সর্বদা তোমায় ।
পটু ছিলেন বাগ্মীতাম, শুনত সবাই মন্ত্র – মুগ্ধতায়, তারে ভুলি কোন ভাবনায়।
দু;খের সাথে সবাইকে জানাই, না ফেরার দেশে চলে গেলেন
২০১৩ সালের ৩১ শে আগষ্টে, সকলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে।
দোয়া করি আল্লাহর দরবারে থাকেন যেন শান্তিতে পরপারে।
শেখ শাহাজাহান আলী শাহিন
সহকারী শিক্ষক
কলাারোয়া আলিয়া মাদরাসা
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে’: লুৎফুল্লাহ এমপি
সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেছেন- ‘করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবেও উন্নয়নবিস্তারিত পড়ুন
কলারোয়ায় ‘মিনা দিবস’ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে জনপ্রিয় কার্টুন ‘মিনা দিবস’ উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় র্যালি,বিস্তারিত পড়ুন
‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই’ : জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্বারোপ করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফাবিস্তারিত পড়ুন